Posts

আপনি গ্রেফতার হলে যা করতে হবে

Image
আপনি গ্রেফতার হলে যা করতে হবে    আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বা অন্যান্য প্রয়োজনে পুলিশ বিভিন্ন অভিযানে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের আটক করে থাকে। তবে কোন অভিযোগ ছাড়া কাউকে অনির্দিষ্টকাল আটক করে রাখতে পারে না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে ছেড়ে দিতে হয় বা কোন আইনের আওতায় তাকে গ্রেফতার দেখাতে হয় এবং কোন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করতে হয়। ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনে আটকাদেশ দিতে পারেন। পুলিশ গ্রেফতার করলে করণীয়: পুলিশের নিকট নাম, ঠিকানা ও পেশাসহ পরিচয় তুলে ধরতে হবে। পেশজীবি বা ছাত্র হলে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করা যেতে পারে। একারণে সবসময় পরিচয়পত্র সাথে রাখা উচিত। এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পরিচিত আইনজীবির ফোন নম্বর সাথে রাখা যেতে পারে এবং গ্রেফতারের পর দ্রুত আইনজীবিকে বিষটি জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা উচিত। অন্তত আত্নীয় বা বন্ধুকে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে নেয়া হয়, আর যে কোন থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে সংশ্লিষ্ট থানায় নেয়া হয়। গ্রেফতারের পর কাউকে লকআপে রাখার আগে তা...

অনলাইনে কর পরিশোধ পদ্ধতি

Image
অনলাইনে কর পরিশোধ পদ্ধতি   আয়কর, ভ্যাট এবং অন্যান্য শুল্ক অনলাইনে পরিশোধের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর ই-পেমেন্ট সার্ভিস চালু করেছে। এর মাধ্যমে যে কেউ ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড, বা অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে শুল্ক পরিশোধ করতে পারবেন। অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও কর দেয়া যাবে। অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও Q-Cash এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় এ উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে। অনলাইনে   কর   পরিশোধ   পদ্ধতি : অনলাইনে কর পরিশোধ করার জন্য প্রথমে  http://www.nbrepayment.org/  সাইটে যেতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য ও সুবিধাদি: ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার চালু ই-মেইল ঠিকানা বিজনেস এরিয়া কোড TIN, AIN, BIN (যটি প্রযোজ্য) ডেবিট/ক্রডিট কার্ড/অনলাইন ব্যাংকিং এর প্রয়োজনীয় তথ্য প্রথম   ধাপ -  রেজিস্ট্রেশন http://www.nbrepayment.org/  গিয়ে “Register” বোতামে ক্লিক করতে হবে। এরপর নিচের ফরমের মত একটি ফরম পাওয়া যাবে। এখানে নাম, ই-মেইল ঠিকানাসহ অন্যান্য তথ্য দিতে হবে। তারকা (×)...

ফৌজদারী কার্যবিধি ৫৪ ধারা

ফৌজদারী কার্যবিধি ৫৪ ধারা   ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা মোতাবেক পুলিশ বিনা পরোয়ানায় ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ছাড়াই ৯টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যেকোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে করতে পারে। কোন ব্যক্তি কোন মামলাযোগ্য অপরাধের সাথে জড়িত থাকলে বা জড়িত বলে বিশ্বাসযোগ্য খবর বা অভিযোগ থাকলে পুলিশ তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করতে পারে। আইনগত কোন অজুহাত (যুক্তি) ছাড়া কারো কাছে ঘর ভাঙার সরঞ্জাম থাকলে তাকে গ্রেফতার করা যেতে পারে। আইন অনুসারে বা সরকার আদেশ দ্বারা কাউকে অপরাধী বলে ঘোষণা করলে তাকে গ্রেফতার করা যায়। কারো কাছে থাকা মালপত্র চোরাই বলে সন্দেহ করার যুক্তি সঙ্গত কোন কারণ থাকলে। পুলিশের কাজে বাধা দিলে, বা কেউ পলায়ন করলে বা করার চেষ্টা করলে। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী হতে পলায়ন করেছেন এই মর্মে যৌক্তিক সন্দেহ থাকলে। যে কাজ বাংলাদেশে করা হলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচনা করা হত তা বলাদেশের বাইরে করে থাকলে বা করেছেন এই মর্মে নির্ভরযোগ্য তথ্য বা যুক্তিসঙ্গত তথ্য সন্দেহ থাকলে। মুক্তিপ্রাপ্ত আসামী কাঃ বিঃ ৫৬৫ (৩) উপধারার নিয়ম  লংঘন করলে। এই নিয়মানুযায়...

দন্ডসম্পর্কিত ধারাগুলো

দন্ডসম্পর্কিত ধারাগুলো ধারা-৫৩ ।   দন্ডসমূহ এই বিধির বিধানসমূহ অনুযায়ী অপরাধকারীগন যে যে দণ্ডে দণ্ডার্হ হইবে তাহা হইতেছেঃ প্রথমত  মৃত্যু: দ্বিতীয়ত  যাবজ্জীবন কারাবাস: তৃতীয়ত  (বাতিল): চতুর্থত  কারাবাস; উহা দুই প্রকারের যথা: (১) সশ্রম, অর্থাঃ কঠোর শ্রম সহকারে; ২) বিনাশ্রম; পঞ্চমত  সম্পত্তি বাজেয়াফত; ষষ্ঠত  অর্থদণ্ড। ধারা ৫৩-ক। কারাবাস উল্লেখের ব্যাখ্যা : (১) (২) উপধারার শর্তাবলী সাপেক্ষে, সাময়িকভাবে প্রচলিত অন্য যেকোন আইনে যেখানে যাবজ্জীবন ‘দ্বীপান্তর’ এর উল্লেখ আছে, সেখানে উহা ‘যাবজ্জীবন কারাবাস’ ধরিতে হইবে। (২) বর্তমানে প্রচলিত যেকোন আইনে কোন মেয়াদের বা স্বল্প মেয়াদের জন্য যেকোনাভাবে হউক না কেন, দীপান্তরের উল্লেখ থাকিলে উহা রদ গণ্য হইবে। (৩) বর্তমানে প্রচলিত অন্য যেকোন আইনে, যেখানে দীপান্তর উল্লেখ আছে: (ক) সেখানে উহা যদি যাবজ্জীবন দীপান্তর বুঝায়, তাহা হইলে উহাকে যাবজ্জীবন কারাবাস ধরিতে হইবে; (খ) সেখানে উহা যদি স্বল্পতর মেয়াদের দীপান্তর বুঝায়, তাহা হইলে ইহা রদ গণ্য হইবে। ধারা ৫৪ ...

ফৌজদারী আদালত ও অফিসের গঠন এবং ক্ষমতা সম্পর্কিত ধারা

ফৌজদারী আদালত ও অফিসের গঠন এবং ক্ষমতা সম্পর্কিত ধারা ধারা   ৬।   ফৌজদারী   আদালতের   শ্রেণীবিভাগ সুপ্রীম কোর্ট এবং এই বিধি বহির্ভূত কিন্তু বর্তমানে বলবৎ অন্য আইন দ্বারা গঠিত আদালত ব্যতীত বাংলাদেশে পাঁচ শ্রেণীর ফৌজদারী আদালত থাকিবে। যথাঃ (১) দায়রা আদালত। (২) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। (৩) প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট। (৪) দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট। (৫) তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট। আঞ্চলিক   বিভাগ ধারা   ৭।   দায়রা   বিভাগ   ও   জেলা।   বিভাগ   ও   জেলা   পরিবর্তনের   ক্ষমতা।   পরিবর্তন   না হওয়া   পর্যন্ত   বর্তমান   বিভাগ   ও   জেলা   বজায়   রাখিবার   ব্যবস্থা : (১) বাংলাদেশে কতিপয় দায়রা বিভাগ থাকিবে, এবং এই বিধির আওতায় প্রত্যেকটি দায়রা বিভাগ একটি জেলা হইবে অথবা প্রত্যেক দায়রা বিভাগে একাধিক জেলা থাকিবে। (২) সরকার এইরূপ বিভাগ ও জেলার সীমারেখা অথবা সংখ্যা পরিবর্তন করিতে পারিবে। (৩) এই বিধি বলবৎ হইবার স...

আদালতের ক্ষমতা-ফৌজদারি কার্যবিধি :

আইন আদালত সম্পর্কিত সাধারণ তথ্য গুলো সকলের ই জানা থাকা দরকার। তাই এই ক্ষুদ্র প্রয়াস ০১ আদালতের ক্ষমতা: ফৌজদারি কার্যবিধি : ধারা   ২৮।   দন্ডবিধির অধীনে   অপরাধ : এই কার্যবিধির অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে দন্ডবিধিতে বর্ণিত যেকোন অপরাধের বিচারঃ (ক) হাইকোর্ট বিভাগ, অথবা (খ) দায়রা আদালত, অথবা (গ) অন্য কোন আদালত, যে আদালত এইরূপ অপরাধের বিচার করিতে পারেন বলিয়া দ্বিতীয় তফসিলের অষ্টম কলামে দেখান হইয়াছে, করিতে পারেন। ধারা   ৩১।   হাইকোর্ট   ও   দায়রা   জজ   যে   দন্ড   দিতে   পারেন : (১) হাইকোর্ট বিভাগ আইনে অনুমোদিত যেকোন দন্ড দিতে পারেন। (২) দায়রা জজ অথবা অতিরিক্ত দায়রা জজ আইনে অনুমোদিত যেকোন দন্ড দিতে পারেন; তবে এইরূপ কোন জজ মৃত্যুদন্ড দিলে তাহা হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষ হইবে। (৩) সহকারী দায়রা জজ মৃত্যুদন্ড অথবা দশ বৎসরের অধিক কারাদন্ড ব্যতীত আইনে অনুমোদিত যেকোন দন্ড দিতে পারেন। (৪) যেই সহকারী দায়রা জজ ৯ ধারায় (৩) উপধারার বিধান অনুযায়ী অতিরিক্ত দায়রা জজ রূপে নিয়োজিত হইয়অছেন বলিয়া গণ্য হন, তিন...

আমাদের শিক্ষার মান নিয়ে কি তারপরেও প্রশ্ন জাগবেনা?দেখুন আমাদের শিক্ষক এর সঠিক অনুভব।

জিপিএ-৫ প্রাপ্তরা নিদারুণভাবে অযোগ্য! শেখ হাফিজুর রহমান |   সহযোগী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।  আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত একটি খবর দেখে মর্মাহত হলাম। চমকে উঠিনি বা বিস্ময়ে হতবাকও হইনি; কেননা, এ বিষয়ের হাঁড়ির খবর আগে থেকেই জানা ছিল এবং এ বিষয়ে আগে থেকেই আমার মধ্যে প্রবল শঙ্কা ও উৎকণ্ঠা ছিল। খবরটি হচ্ছে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক—উভয় পরীক্ষাতেই জিপিএ-৫ পাওয়া বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর পাচ্ছেন না। ওই প্রতিবেদনে যে সংখ্যাতাত্ত্বিক পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হয়েছে, তা দুর্ভাগ্যজনক, মর্মান্তিক এবং ভবিষ্যতের বাংলাদেশের জন্য আশঙ্কাজনক। ওই প্রতিবেদনের ভাষ্য অনুযায়ী, এ বছর স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষে ক, খ ও গ ইউনিটে জিপিএ-৫ পাওয়া ৪৪ হাজার ৬৪২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৯ হাজার ৮৬৮ জন বা প্রায় ৪৫ শতাংশ। বাকি ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণই হতে পারেননি। ২০১০ ও ২০১১ সালে এই অনুত্তীর্ণের হার ছিল যথাক্রমে ৫২ ও ৫৩ শতাংশ। ভাবুন তো একবার, জিপিএ-৫ পাওয়া ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্বব...