Posts

স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে ৩ (তিন) উপায়ে তালাক চাইতে পারে :--

স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে ৩ (তিন) উপায়ে তালাক চাইতে পারে :-- ১.তালাক-ই-তৌফিজ ২. খুলা ৩. আদালতের মাধ্যমে তালাক-ই-তৌফিজ: তালাক-ই-তৌফিজ হল কাবিনে স্ত্রীকে তার স্বামীকে তালাক দেয়ার ক্ষমতা দেয়া। কাবিন নামার’ ১৮ নং কলামে এই ক্ষমতা অর্পন করা হয়। এই ক্ষমতার বলে স্ত্রী আদালতের সাহায্য ছাড়া তার স্বামীকে তালাক দিতে পারবে। (এর জন্য ১৯৬১ সালের মুসলিম পারবারিক অর্ডিন্যান্সের ৭ ধারায় বর্ণিত নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।)। খুলা: খুলা তালাক হল স্বামী স্ত্রীর আলোচনা স্বাপেক্ষে তালাক। ব্যবস্থা স্ত্রীকেই করতে হবে। প্রয়োজনে কোন চুক্তির মাধ্যমে স্বামীকে তালাকে রাজি করাতে হবে(চুক্তিতে কখন কখন স্ত্রী তার দেনমোহর ছাড় দিয়ে দেয়)। ইদ্দত পালনকালে স্ত্রী তাঁর গর্ভের সন্তানের জন্য স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী হবে। আদালতের মাধ্যমে: স্ত্রী চাইলে আদালতের মাধ্যমে তালাকের আবেদন করতে পারবে এর জন্য স্ত্রীকে তার কারণ দর্শাতে হবে। অভিযোগ প্রমানের দায়িত্ব স্ত্রীর। এ ক্ষেত্রে স্ত্রী মোহরানা ও পাবে ইদ্দত পালনকালে স্ত্রী তাঁর গর্ভের সন্তানের জন্য স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী হবে।

বাংলাদেশের আইন কানুন আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২

বাংলাদেশের আইন কানুন আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২ ২৷ (খ) “আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ” অর্থ- (অ) কোন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করিয়া বা বেআইনী বল প্রয়োগ করিয়া- (১) কোন ব্যক্তি, বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে চাঁদা, সাহায্য বা অন্য কোন নামে অর্থ বা মালামাল দাবী, আদায় বা অর্জন করা বা অন্য কোন প্রকার সুযোগ-সুবিধা আদায় করা বা আদায়ের চেষ্টা করা; বা (২) স্থলপথ, রেলপথ, জলপথ বা আকাশপথে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা বা বিঘ্ন সৃষ্টি করা বা কোন যান চালকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যানের গতি ভিন্ন পথে পরিবর্তন করা; অথবা (আ) ইচ্ছাকৃতভাবে কোন যানবাহনের ক্ষতিসাধন করা; অথবা (ই) ইচ্ছাকৃতভাবে সরকার, বা কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বা কোন প্রতিষ্ঠান, বা কোন ব্যক্তির স্থাবর বা অস্থাবর যে কোন প্রকার সম্পত্তি বিনষ্ট বা ভাংচুর করা; অথবা (ঈ) কোন ব্যক্তির নিকট হইতে কোন অর্থ, অলংকার, মূল্যবান জিনিসপত্র বা অন্য কোন বস্তু বা যানবাহন ছিনতাই এর চেষ্টা করা বা ছিনতাই করা বা জোরপূর্বক কাড়িয়া লওয়া; অথবা (উ) কোন স্থানে, বাড়ী-ঘরে, দোকান-পাটে, হাটে-বাজারে, রাস্তা-ঘাটে, যানবাহনে বা প্রতিষ্ঠানে পরিকল্পিতভাব...

অর্ধশত আইন কাগুজে বাঘ !!!দেশে প্রায় অর্ধশত আইনের কোন প্রয়োগ বা কার্যকারিতা নেই।

অর্ধশত আইন কাগুজে বাঘ !!!দেশে প্রায় অর্ধশত আইনের কোন  প্রয়োগ বা কার্যকারিতা নেই। আইনগুলো নামেমাত্র প্রচার ও নথিপত্রে লিপিবদ্ধ থাকলেও সরকারের সংশ্লিষ্টদের কার্যকর ব্যবস্থাপনাহীনতার কারণে এর প্রয়োগ বা কার্যকারিতা বলতে কিছুই নেই, ফলে এই আইনগুলো 'কাগুজে বাঘে' পরিণত হয়েছে। প্রয়োগবিহীন অকার্যকর আইনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ রয়েছেঃ- বিশুদ্ধ খাদ্য আইন'১৯৫৯, গ্রাম আদালত আইন'২০০৬, মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, ভবঘুরে, নিরাশ্রয় (পূনর্বাসন) আইন'২০১১, ট্রেডমার্ক আইন'২০০৯, নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন'২০০২, মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন'১৯৯৯, বাংলাদেশ পানি আইন'২০১৩, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন'২০১০, কপিরাইট আইন'২০০০, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন'২০১০, পলিথিন নিয়ন্ত্রণ আইন'২০০০, নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন'২০১৩, বাংলা ভাষা প্রচলন আইন'১৯৮৭, পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন'২০১২, মোটরযান নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ'১৯৮৩, ভোজ্যতেলে ভিটামিন "এ" সমৃদ্ধকরণ আইন'২০১৩, তথ্য ও যোগাযোগ ...

বণ্টন দলিল ও বাটোয়ারা মামলা বন্টন দলিল কি?

বণ্টন দলিল ও বাটোয়ারা মামলা বন্টন দলিল কি? ১৮৯৯ সালের স্ট্যাম্প এক্টের ২ (১৫) ধারায় বলা হয়েছে বণ্টন দলিল ও বণ্টক দলিল অর্থ একই ৷ যখন কোন সম্পত্তির সহ-শরিকগণ তাদের সম্পত্তি ব্যক্তিগত মালিকানায় পৃথকভাবে ভাগ করে নেয় বা নিতে সম্মত হয়ে কোন দলিল করে তাকেই বণ্টন দলিল বলে ৷ বণ্টন সম্পন্ন হওয়ার শর্ত: •সীমানা চিহ্নিতকরণ বা পরিমাপ দ্বারা সম্পত্তির প্রকৃত বিভাজন হতে হবে; •বন্টন তালিকায় প্রত্যেক সহ-মালিকের বরাদ্দকৃত সম্পত্তির উল্লেখ থাকতে হবে; •তালিকায় মালিকানার বিভাজন সকল সহ-মালিক কর্তৃক স্বীকৃত হতে হবে; •বন্টনের বিবরণ সুস্পষ্ট হতে হবে; •প্রত্যেকটি তালিকা সহ-মালিকবৃন্দ কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে; •যথাযথভাবে স্ট্যাম্প শুল্ক দিয়ে দলিলটি রেজিস্ট্রি করতে হবে; •সহ-শরীকগণ আপোষ বন্টন করে পরবর্তীতে তাদের কেউ তা না মানলে দেওয়ানী আদালতের মাধ্যমে তা কার্যকর করা যায় ৷ বন্টননামা রেজিষ্ট্রির ফি:সকল সহ-শরিকের মধ্যে জমি হিস্যানুযায়ী (স্ট্যাম্প এর উপর) বন্টন করে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দাখিল করে বন্টননামা দলিল রেজিষ্ট্রি করা যায় ৷ এ দলিল রেজিস্ট্রির জন্য স্ট্যাম্প খরচ লাগবে স্ট্যাম্প এর গায়ে জ...

ইসলাম ধর্মের পবিত্র উৎস্ গুলো থেকে শরীয়া আইন অনুযায়ী পরিচালিত বিধায় এই আইনকে মুসলিম আইন বলা হয়।

ইসলাম ধর্মের পবিত্র উৎস্ গুলো থেকে শরীয়া আইন অনুযায়ী পরিচালিত বিধায় এই আইনকে মুসলিম আইন বলা হয়। ইসলাম ধর্ম যেহেতু একটি সার্বিক জীবন বিধান, বিবাহের ব্যাপারেও এর কোন ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয় না। এখানে বিবাহের আইনগত গুরুত্ব, সামাজিক ও ধর্মীয় মর্যাদা বিশেষ ভাবে পরিলক্ষিত হয়। একটি ছেলে ও মেয়ের বা পুরুষ ও নারীর সহবাস, জীবন যাপন ও সংসার ধর্ম পালন এর লক্ষে, ধর্মীয় ও সামাজিক সুরক্ষা দিতেই বিবাহ প্রথার জন্ম। মুসলিম আইন অনুযায়ী বিয়ে হলো দেওয়ানী চুক্তি (Contractual Agreement)। মুসলিম পারিবারিক আইন এর অধীনে একটি আইন সম্মত নিকাহ/বিবাহ সম্পাদনের জন্য ৫ (পাঁচ) টি শর্ত অবশ্যই পালন করতে হবে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী একটি বৈধ বিবাহের জন্য নিম্ন বর্ণিত বিষয় গুলো উপস্থিত থাকতে মেনে চলতে হবে - ১। পক্ষ গণের প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে, অর্থাৎ বিয়েটি বাল্য বিবাহ হওয়া যাবে না। (এক্ষেত্রে ছেলেদের ২১ এবং মেয়েদের ১৮); ২। পক্ষ গণের বিয়েতে সম্মতি থাকতে হবে (ইজাব ও কবুল); বিশেষভাবে নারীদের ক্ষেত্রে জোরপূর্বক বিয়েতে বাধ্য করা যাবেনা; ৩। উপযুক্ত এবং প্রাপ্ত বয়স্ক/বয়স্কা ২ (দুই) জন সাক্ষীর উপস্...

•••প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার•••

•••প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার••• (১) প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সংক্রান্ত আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইন বা আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন দলিলের বিধিবিধানের সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী, প্রত্যেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নিম্নবর্ণিত অধিকার থাকিবে, যথা :- (ক) পূর্ণমাত্রায় বাঁচিয়া থাকা ও বিকশিত হওয়া; (খ) সর্বক্ষেত্রে সমান আইনী স্বীকৃতি এবং বিচারগম্যতা; (গ) উত্তরাধিকারপ্রাপ্তি; (ঘ) স্বাধীন অভিব্যক্তি ও মত প্রকাশ এবং তথ্যপ্রাপ্তি; (ঙ) মাতা-পিতা, বৈধ বা আইনগত অভিভাবক, সন্তান বা পরিবারের সহিত সমাজে বসবাস, বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন ও পরিবার গঠন; (চ) প্রবেশগম্যতা; (ছ) সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে, প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী, পূর্ণ ও কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ; (জ) শিক্ষার সকল স্তরে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তি সাপেক্ষে, একীভূত বা সমন্বিত শিক্ষায় অংশগ্রহণ; (ঝ) সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মে নিযুক্তি; (ঞ) কর্মজীবনে প্রতিবন্ধিতার শিকার ব্যক্তি কর্মে নিয়োজিত থাকিবার, অন্যথায়, যথাযথ পুনর্বাসন বা ক্ষতিপূরণপ্রাপ্তি; (ট) নিপীড়ন হইতে সুরক্ষা এবং ...

যৌতুক ও নারী নিপিড়ন

যৌতুক ও নারী নিপিড়ন বর্তমানে নারীরা পুরুষ কর্তৃক যত প্রকার নির্যাতিত হচ্ছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে যৌতুকের শিকার। বর্তমানে এ যৌতুক একটি প্রথা হিসেবে দেখা দিয়েছে। যা নারী সমাজের জন্য এক অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যৌতুকের ফলে কত নারীর সোনার সংসার ভেঙ্গে তছনছ হয়েছে তার কোন হিসেব নেই। কত নারী যে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে তারও কোন পরিসংখ্যান নেই। যুগ যুগ ধরে এ যৌতুক প্রথা আমাদের সমাজে প্রচলিত হয়ে আসছে। আজ যৌতুক নামক এ কু-প্রথাটি ক্রমান্বয়ে সমাজের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে। আজ প্রায় প্রতিটি ছেলে পরিবারের অভিভাবকরা প্রতিযোগিতায় লেগে যায় কে কত বেশি যৌতুক আনতে পারে। এই সমাজে যে যত ভাল পাত্র সে তত বেশি যৌতুকের দাবিদার। ঠিক বাজারের পণ্যের মতো। বাজারে যে পণ্যটি সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও মজাদার সেই পণ্যের দাম বেশি। বিয়ের বাজারে পাত্রের ক্ষেত্রেরও শিক্ষা-দীক্ষায়, গুণে মানে সুঠাম দেহের অধিকারীরা খুম দাবী পাত্র। বিয়ের মজলিশে ভাল পাত্রের বাবারা ফেভারিটের তালিকায় থাকেন। আগে যৌতুক হিসেবে উপটৌকন নেয়া হতো রেডিও, চার্জ লাইট, লেপ-তোষক, ঘড়ি, গরু-বাছুর, নগদ ১/২ হাজার টাকা ইত্যাদি। যুগ পাল্টানোর সাথে সাথে রঙিন ...