Posts

** 'হেবা' ও 'হেবা-বিল-এওয়াজ' কী? **

** 'হেবা' ও 'হেবা-বিল-এওয়াজ' কী? ** মুসলিম আইনে দানকে 'হেবা' বলা হয়। যখন কোনো একজন ব্যক্তি তার সম্পত্তি অপর ব্যক্তির কাছে কোনো প্রকার বিনিময় ছাড়াই অবিলম্বে হস্তান্তর করে এবং শেষোক্ত ব্যক্তি বা তার পক্ষে অন্য কেউ সেটি গ্রহণ করে, তখন সেই সম্পত্তির হস্তান্তরকে 'হেবা' বা দান হিসেবে অভিহিত করা হয়। মুসলিম আইন অনুসারে, সুস্থ মনের অধিকারী এবং নাবালক নন- এমন যেকোনো মুসলিমই দান বা হেবা করে তার সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেন। হেবা বৈধ হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রথমত, দাতা কর্ত ৃক দানের কথা ঘোষণা করতে হয়, দ্বিতীয়ত, দানগ্রহীতা বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক সুস্পষ্টভাবে ওই দান গ্রহণ করতে হয় এবং তৃতীয়ত, দাতা কর্তৃক দান গ্রহীতাকে দানের বিষয়বস্তুর দখল দিতে হয়। সম্পত্তির হস্তান্তর আইন কিংবা মুসলিম আইন- কোনোটিতেই স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির দান আইনসিদ্ধ হওয়ার জন্য লিখিত দলিল হওয়া জরুরি নয়। মুসলিম আইনানুসারে, দানকৃত সম্পত্তির দখল দানগ্রহীতাকে অর্পণ করার আগে যেকোনো দাতা দান বাতিল করতে পারেন। কারণ, দখল অর্পণের আগে হেবা বা দান সম্পূর্ণ হয় না। দখল অর্পণের ...

***জমি ক্রয় এবং রেজিস্ট্রেশনের সময় যেসব সাবধানতা অবলম্বন করা আবশ্যক***

***জমি ক্রয় এবং রেজিস্ট্রেশনের সময় যেসব সাবধানতা অবলম্বন করা আবশ্যক*** ১৯০৮ সালের রেজিষ্ট্রেশন আইনের (সংশোধনী ২০০৫ মতে ) • এক খণ্ড জমির মালিক হওয়া প্রতিটি মানুষেরই মনের একটি অদম্য কামনা। কিন্তু এই অদম্য মনের বাসনা পূরণ করতে গিয়ে মানুষ অনেক সময় এত বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে যে,কোনটি সঠিক কিংবা কোনটি ভুল তা বুঝে উঠতে পারে না।তারপরও জমি ক্রয়-বিক্রয়েদালাল,টাউট,বাটপার, প্রতারকদের প্রতারণা তো আছেই।বিশেষ করে শহর,উপশহর বা শহরের আশেপাশের এলাকার জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা সবচেয়ে বেশি।তাই বিভিন্ন রকমের বিভ্রান্তিতে পড়ে জমি ক্রয় করতে গিয়ে ক্রেতারা প্রায়ই প্রবঞ্চিত হচ্ছে।সেই কারণে জমি ক্রয় কালে ক্রেতাদেরকে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে তা তুলে ধরা হলো।একে ক্রেতা সাবধান (Doctrine of Caveat Emptor)নীতিও বলা যেতে পারে। • জরিপের মাধ্যমে প্রণীত রেকর্ড অর্থাত্‍ খতিয়ান ও নকশা যাচাই করে নিতে হবে। • জমির তফসিল অর্থাত্‍ জমির মৌজা, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর ও উক্ত দাগে জমির মোট পরিমাণ। • জমি ক্রয় করার পূর্বে উক্ত জমির সিএস রেকর্ড, এসএ রেকর্ড;আরএস রেকর্ড এবং মাঠ পর্চাগুলি ভালোভাবে দেখে...

প্রশ্ন: বাংলাদেশ কোড কী?

প্রশ্ন: বাংলাদেশ কোড কী? উত্তর : বাংলাদেশ কোড হলো বাংলাদেশে বলবৎ সকল আইনের সংশোধিত, অভিযোজিত এবং নির্ভরযোগ্য পাঠের কালানুক্রমিক সংকলিত প্রকাশনা। প্রশ্ন: বাংলাদেশ কোডে কোন সাল থেকে আইন সংকলন শুরু হয়? উত্তর : বাংলাদেশ কোডে ১৮৩৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হতে আইন সংকলন করা হয় এবং প্রথম সংকলিত আইনের শিরোনাম ডিস্ট্রিক্ট এ্যাক্ট, ১৮৩৬ (১৮৩৬ সনের ২১ নং আইন)।

আসুন জেনে নিই parliament কর্তৃক পাশকৃত আইনের বিভিন্ন অংশের নাম

আসুন জেনে নিই parliament কর্তৃক পাশকৃত আইনের বিভিন্ন অংশের নাম i) সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ( Short Title) ii) পূর্ন শিরোনাম বা মুখবন্ধ ( Long Title or Preamble) iii) ধারার শিরোনাম (Heading or Head Note) iv) বিষয়বস্তু বা ধারাসমূহ v) Marginal Notes or Side Notes viii) তফশিল (Schedule) ix) উদাহরণ বা ব্যাখা বা শর্ত (Exampless, illustration, explanation & proviso)

১৩ বছর পর জানা গেল তদন্তকারীই খুনি !!!!

১৩ বছর পর জানা গেল তদন্তকারীই খুনি !!!! ভারতের উত্তর প্রদেশের রামপুরে শামশাদ মির্জা খুন হয়েছিলেন ২০০১ সালে। হত্যার জন্য দায়ী করা হয়েছিল তার স্ত্রী জাহিদা তাবাসসুমকে। কিন্তু দীর্ঘ ১৩ বছর পর আদালত বুঝতে পারে, পি ডি রত্মাকর নামের যে পুলিশ সাব-ইনসপেক্টর এই খুনের তদন্ত করছিলেন, তিনিই খুনি। আদালত ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রমাণ ধ্বংস, কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ এনেছে। আদালত সাক্ষীদের বিশেষ করে মির্জার মেয়ে সৈয়দা ফাতিমার বক্তব্য আমলে নিয়ে এই রায় দেয়। ফাতিমা আদালতে জানান, ২০০১ স ালের ১২ ডিসেম্বর সিভিল লাইনে যে কয়েকজন মুখোশধারী ব্যক্তি তার বাবাকে হত্যা করেছিল, তিনি তাদের মধ্যে রতœাকরকে দেখেছিলেন। মির্জার ২০ বছর বয়স্ক ছেলে কামাল আহমেদ ২০০২ সালের জানুয়ারিতে রতœাকরের জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রাপ্ত আঘাতে মারা যান। তদন্ত কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে বলেছিলেন, পারিবারিক ঝগড়ার জের ধরে জাহিদা ও কামাল মিলে শামশাদ মির্জাকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু ফাতিমা প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার বাবার কাছে কিছু ভয়ঙ্কর নেগেটিভ নিয়ে এসেছিলেন ডেভেলপ করার জন্য। কিন্তু তিনি তা না করে বরং নেগেটিভগু...

জমি রেজিষ্টেশন আইন

জমি রেজিষ্টেশন আইন ============= ১৯০৮ সালের রেজিষ্ট্রেশন আইন ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সংশোধন করা হয়েছে৷ আইনটি ১ জুলাই ২০০৫ ইং থেকে কার্যকর হয়েছে ৷ নতুন আইন অনুযায়ী জমি রেজিষ্ট্রেশনের সময় ক্রেতা ও বিক্রেতার করণীয় বিষয়গুলো হলো : (১) ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের নিজের স্বাক্ষর/টিপ সহি যুক্ত ছবি দিবে ৷ (২) সম্পত্তির বিবরণসহ মানচিত্র আঁকিয়ে দিতে হবে ৷ (৩) সম্পত্তির মালিকানা রয়েছে মর্মে ক্রেতাকে হলফনামা দিতে হবে ৷ (৪) শেষ ২৫ বছর জমিটি কার কার মালিকানায় ছিল তা দাখিল করতে হবে ৷ (৫) জমির মূল্য ৫ লাখ টাকার কম হলে রেজিষ্ট্রেশন ফি হবে ৫০০ টাকা, ৫ লাখ হতে ৫০ লাখ টাকা হলে রেজিষ্ট্রেশন ফি ১০০০ টাকা, জমির মূল্য ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে রেজিষ্ট্রেশন ফি ২০০০ টাকা ৷ (৬) উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমির মূল্য যাই হোক রেজিষ্ট্রেশন ফি ১০০ টাকা দিতে হবে ৷ (৭) জমি হস্তান্তরের সকল চুক্তি লিখিত হতে হবে এবং রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামূলক ৷ (৮) বর্তমানে জমি ক্রয়ের চুক্তি,চুক্তি সম্পাদনের তারিখ হতে ১ বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে ৷ (৯) সম্পত্তি বিক্রির বাযনা চুক্তিও রেজিষ্ট্র্রেশন করতে হবে, যে বায়না চুক্তিগুলি এখনও রেজি...

একটি পূর্ণাঙ্গ এজাহারের (FIR) বৈশিষ্ট্য

একটি পূর্ণাঙ্গ এজাহারের (FIR) বৈশিষ্ট্য (১) অপরাধীর নাম ও ঠিকানা (জানা থাকলে) সুস্পষ্ট হওয়া; (২) অপরাধের বর্ণনা যৌক্তিকভাবে লিপিবদ্ধ করা; (৩) অপরাধ সংঘটনের তারিখ ও সময় উল্লেখ করা; (৪) অপরাধের ঘটনাস্থল (পিও) উল্লেখ করা; (৫) অপরাধ সংঘটনের কোন পূর্ব সূত্র বা কারণ থেকে থাকলে তার বর্ণনা তুলে ধরা; (৬) সন্ধিগ্ধ ব্যক্তিদের সম্পর্কে ধারণা দেয়া; (৭) অপরাধ পরবর্তী অবস্থা যেমন সাক্ষীদের আগমন, আহত ব্যক্তির চিকিত্‍সা ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণনা; (৮) অপরাধীদের কেহ বাঁধা দিয়ে থাকলে তার ধারাবাহিক বর্ণনা করা; (৯) কোন বিষয় তাত্‍ক্ষনিক ভাবে লেখা সম্ভব না হলে পরবর্তীতে সে বিষয়টি সংযোজন করা হবে এমন একটি কৈফিয়ত এজাহারে রাখা৷ (১০) এজাহারে কোন ঘষা-মাজা, কাটা-কাটি করা উচিত না৷