Posts

মুক্তি / অব্যহতি /খালাস

মুক্তি ======================================================== ১ কোন কারনে মামলার কার্যক্রম বন্ধ হলে আসামী মুক্তি পাবে। ধারা ২৪৯ অব্যহতি ======================================================== ১ মামলার শুরুতে মামলার নথি, পুলিশ রিপোর্ট, মেডিকেল রিপোর্ট ( যদি থাকে)ও অন্যান্য কাগজপত্র বিবেচনার পর যদি আসামীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ না থাকে তবে আসামী অব্যহতি পাবে (আসামীর দাখিল করা কোন কাগজ বিবেচনায় আসবে না)। ধারা ২৪১ক ২। পুলিশি মামলায় রাষ্ট্র পক্ষ চার্জ গঠনের পুর্বে মামলা প্রত্যাহার করিলে আসামী অব্যহতি পাবে। ধারা ৪৯৪ খালাস =========================================================== ১। শুনানিতে আসামীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হলে আসামী খালাস পাবে। ধারা ২৪৫ ২। নালিশি মামলায় শুনানির তারিখে ফরিয়াদি অনুপস্থিত থাকলে আসামী খালাস পাবে। ধারা ২৪৭ ৩। নালিশি মামলায় ফরিয়াদি যদি মামলা প্রত্যাহার করে তবে আসামী খালাস পাবে। ধারা ২৪৮ ৪। মামলার উভয় পক্ষের আপোষমীমাংসায় মিমাংসা হলে আসামী খালাস পাবে, তবে সর্ত থাকে মামলাটি মীমাংসাযোগ্য হতে হবে। ধারা ৩৪৫ ৫। পুলিশি মামলায় রাষ্ট্র পক্ষ চার্জ গঠনের ...

দেওয়ানী আদালতে রিভিশন

দেওয়ানী আদালতে রিভিশন ++++++++++++++++++ ক) দেওয়ানী কার্যবিধি অনুযায়ী রিভিশনের ধারা ১১৫ এবং কোন আদেশ নেই। খ) দেওয়ানী আদালতের রিভিশনের এখতিয়ার শুধুমাত্র জেলা জজ  ও হাইকোর্ট বিভাগের। গ) যে ক্ষেত্রে আপিলের বিধান নেই সেই ক্ষেত্রে রিভিশন দায়ের করা হয়। ঘ) রিভিশন দায়ের করা হয় আইনগত ভুল ও ন্যায় বিচারে বিঘ্ন ঘটার কারনে। ঙ) দেওয়ানী আদালতে রিভিশন দায়ের জন্য কোন তামাদি সময় নেই। চ) জেলা জজ প্রদত্ত রিভিশন মামলায় প্রদত্ত আদাশের বিরুদ্ধে অনুমতি সাপেক্ষে হাইকোর্ট বিভাগে পুনরায় রিভিশন দায়ের করা যায়। সুতরাং দেওয়ানিতে ২য় রিভিশন চলে। কোথায় রিভিশন হবে? ++++++++++++++ ১) সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ ও যুগ্ম জেলা জজ প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন জেলা জজ আদালতে। ২) অতিরিক্ত জেলা জজ ও জেলা জজ প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন হাইকোর্ট বিভাগে। ৩) ৫ টি দেওয়ানী আদালত প্রদত্ত ডিক্রির বিরুদ্ধে রিভিশন হাইকোর্ট বিভাগে।

দেওয়ানী মোকদ্দমায় বিভিন্ন খরচার তালিকা

দেওয়ানী মোকদ্দমায় বিভিন্ন খরচার তালিকা  _______________________ ১। বাদী পক্ষের অপর্যাপ্ত কারনে গ্রেফতার, ক্রোক বা নিষেধাজ্ঞা দিলে বিবাদী অনধিক ১০০০০ টাকা ক্ষতিপ ূরণ পাইতে পারে যা আদালতের আর্থিক এখতিয়ারের অধিক হবে না। ২। একতরফা ডিক্রি রদ-রহিতের জন্য সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা জমা দিতে হয়। ৩। দেওয়ানী মোকদ্দমা তদবিরের অভাবে প্রদত্ত খারিজের আদেশ সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা প্রদানে সরাসরি রদ-রহিত করা জায়। ৪। কোন পক্ষের আবেদনে আদালত মুলতবী অনুমোদন করিলে অন্যপক্ষকে কমপক্ষে ২০০ টাকা এবং অনধিক ১০০০ টাকা প্রদানের আদেশ দিবেন। ৫। খরচার টাকা প্রদানের ব্যর্থতার জন্য মোকদ্দমা খারিজ বা একতরফা নিষ্পত্তি হইলে পূনর্বহালের জন্য আবেদন পত্রের সাথে খরচা বাবদ ২০০০ টাকা জমা দিতে হবে। ৬। যে পক্ষের অনুরুধে অন্তর্বতী বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, মোকদ্দমার সিদ্ধান্ত যদি তাহার বিরুদ্ধে যায় এবং অনরুপ নিষেধাজ্ঞার জন্য অন্য পক্ষের ক্ষতি হয়, তবে আদালত ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষের জন্য খরচের অতিরিক্ত অনধিক ১০০০০ টাকা ক্ষতিপূরনমূলক খরচ হিসেবে অনুমোদন করিবেন। ৭। আদালত মোকদ্দমার খরচের উপর অনধিক বার্ষিক ৬% টাকা হারে প্রদানের নির্দেশ দিতে প...

আদালত কি কারো পরামর্শ গ্রহন করতে পারেন?

আদালত কি কারো পরামর্শ গ্রহন করতে পারেন? যখন কোন আদালতে এমন কোন মামলা করা হয় যা খুবই জটিল প্রকারের। অর্থাৎ কোন মামলা এমন প্রকৃতির যা আদালত সরাসরি সঠিক কিনা তার ব্যপারে কনফিউশনে থাকে তাহলে ঐ বিষয়ে যে ব্যক্তি বিশেষ অভিজ্ঞ তার কাছ থেকে পরামর্শ বা মতামত নিতে পারেন। এই বিষয়ে যার কাছ থেকে পরামর্শ নেয়া হবে বা হয় তাকে বিশেষজ্ঞ বলা হয়। মুলত আদালত যেসব বিষয়ের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের মতামত বা পরামর্শ নিতে পারেন তাহলো - ১। বিদেশী আইনে কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হলে। ২। বিজ্ঞান বা চারুকলার প্রশ্নে। ৩। অর্পন বা টিপসহির সনাক্তির প্রশ্নে ইত্যাদি। ইত্যাদি ক্ষেত্রে মতামত বা পরামর্শ নিতে পারেন অর্থাৎ আদালত যে ক্ষেত্রে মতামত নেবার প্রয়োজন মনে করেন।

জেনে নিন দত্তক বা পালক সন্তান নেয়ার নিয়মাবলী :

জেনে নিন দত্তক বা পালক সন্তান নেয়ার নিয়মাবলী : : দত্তক বা পালক সন্তান নেয়ার নিয়মাবলী ও তাদের নিরাপত্তা সকল পিতামাতাই তাঁদের নিজস্ব সন্তান চান। কিন্তু নিজের সন্তান না হলে, বা সন্তান বড় হয়ে দূরে চলে গেলে সন্তানের শূন্যতা ঘিরে ধরে পিতামাতাকে। যা থেকে সেইসব পিতামাতার মুক্তি মেলে সন্তান দত্তক নিয়ে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে সন্তান দত্তক নেয়ার ব্যাপারটি এখন খুব স্বাভাবিক ও সহজ একটি বিষয়। ক্যারিয়ারের জন্য নিজ সন্তান জন্মদানের সময় নেই বলে হলিউড তারকাদের মাঝে এখন সন্তান দত্তক নেওয়ার বিষয়টি যেন নিয়মেই হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু যারা সাধারন, কিন্তু সন্তান জন্মদানে ব্যর্থ, মনে সন্তান লালন-পালনের প্রবল ইচ্ছা, তাঁদের দত্তক নেয়া ছাড়া উপায় থাকে না। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও দত্তক বা পালক সন্তান নেয়ার নিয়ম রয়েছে। দেখে নেয়া যাক সেসব নিয়মকানন ও দত্তক নেয়া শিশুটির নিরাপত্তার বিষয়গুলো। পালক সন্তান গ্রহন করার কয়েকটি সাধারন নিয়মাবলী: ১)নি:সন্তান দম্পতি-  নি:সন্তান দম্পতি ইচ্ছে করলে পালক সন্তানের পিতামাতা হতে পারেন। সেই দম্পতিকে মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে সুস্থ হতে হবে।...

সম্পত্তি বণ্টনের মামলা করবেন কিভাবে?

সম্পত্তি বণ্টনের মামলা করবেন কিভাবে? সম্পত্তি বণ্টন নিয়ে বিবাদ-বিসংবাদ একটি সনাতন ব্যাপার। উত্তরাধিকার সম্পত্তি কিংবা যৌথ সম্পত্তিতে সহ-অংশীদারদের মালিকানা নির্ণয়ে নানা রকম আইনি জটিলতা ও বিরোধ সৃষ্টি হয়। বাটোয়ারা দলিলের মধ্য দিয়ে অংশীদাররা শুরুতে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে ঐকমত্যে পৌঁছা সম্ভব না হলে আদালতে 'বাটোয়ারা মামলা' দায়ের করার বিকল্প থাকে না। দৃশ্যপট-১ ফারহানারা তিন ভাই ও চার বোন। মা বেঁচে আছেন। তার বাবার মৃত্যুর সময় প্রায় ৩০ কোটি টাকার সম্পদ ও সম্পত্তি রেখে গেছেন ওয়ারিশদের জন্য। কিন্তু সম্পত্তি এখন পর্যন্ত ভাগ হয়নি। ফারহানার দুই ভাই জোর করে বেশি সম্পত্তি ভোগ করছেন। আবার তার এক ভগ্নিপতি রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেও বেশ কিছু সম্পত্তি ভোগ করছেন। এর মধ্য দিয়ে বিপদে আছে ফারহানা, তার মা আর তিন বোন। তার দুই ভাই ও ছোট ভগ্নিপতি সম্পত্তি ভাগ করতে দিতে চান না। এত এত সম্পত্তি থাকার পরও ফারহানারা মারাত্মক কষ্টে দিনাতিপাত করছে। এতদিন যাবত সম্পত্তির দলিলপত্র ফারহানার মায়ের কাছে ছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে তার ভাইয়ের ছেলে ও ছোট ভগ্নিপতি সম্পত্তির সব দলিল ফারহান...

অগ্রক্রয় মামলায় উচ্চ আদালতের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সমূহ

যদি কোনো দলিল হন্তান্তরের মাধ্যমে কার্যকরী হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে সেই দলিলটি রেজিস্ট্রির তারিখই হলো অগ্রক্রয় বা Pre-Emption মামলা দায়ের করার অধিকার সৃস্টির তারিখ। যদি কোনো দলিল ২/১২/১৯৭৫ইং তারিখে রেজিস্ট্রির জন্য উপস্থাপন করা হয় এবং ঐ দলিলটি যদি ২৪/১০১৯৭৯ তারিখে রেজিস্ট্রি হয় এবং অগ্রক্রয়  মামলাটি যদি ১৩/২/১৯৮০ইং তারিখে দায়ের করা হয় সেক্ষেত্রে আপিল আদালত ঐ মামলাটি তামাদি বলে বারিত করতে পারবে না। {31DLR (AD) (111)} হোল্ডিং তথা কোনো জমির খন্ড বা খন্ড সমূহের কোনো আংশিক অংশের জন্য অগ্রক্রয়  মামলা করার অনুমোদন এর বিধান নাই। {28DLR 400} যদি কোনো ক্রেতা কোনো জমি ক্রয় করার পর ঐ জমিটি অগ্রক্রয়কারীর সামনে চাষাবাদ করে থাকে সেক্ষেত্রে ঐ জমি বিক্রয় সম্পর্কে অজ্ঞতা বা অজানার অজুহাতে ১২ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায় না। {33DLR 39} অগ্রক্রয়  অধিকারটি উত্তরাধিকার সূত্রে অধিকার অর্থাত্‍ কোনো ব্যক্তি অগ্রক্রয়ের মামলা করে যদি মারা যান সেক্ষেত্রে ঐ মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারিগণও ঐ অগ্র্রক্রয় মামলার স্থলাবর্তী হয়ে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন। {45DLR(AD) 118} অগ্রক্রয়ের মামলা চাল...