Posts

রাজতন্ত্র বনাম গনতন্ত্র:

রাজতন্ত্র বনাম গনতন্ত্র: রাজতন্ত্র বলতে আমরা কি বুঝি? রাজতন্ত্র হলো রাজার ছেলে বা মেয়ে উত্তরাধিকারী সূত্রে রাজা বা রানি হবে। এজন্য তাদের কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। কেবল মাত্র বংশ সূত্রে তারা রাজা বা রানি হয় এবং রাজ্য শাষন করে। যেখানে সাধারন জনগনের মতামতের কোনো মূল্য থাকে না। আর গনতন্ত্র হলো জনগনের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি যারা সাধারন জনগনের ভালোর জন্য দেশ পরিচালনা করে। গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে রাজনৈতিক দল সবথেকে বেশি ভোট পায় সেই রাজনৈতিক দলের প্রধানই সরকার প্রধান হয়। আর রাজ নৈতিক দলের প্রধান কিভাবে নির্বাচিত হয়? যেকোনো রাজনৈতিক দলের সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তিটি ঐ রাজনৈতিক দলের প্রধান নির্বাচিত হয় বা হওয়া উচিত। এখন প্রশ্ন হলো আমাদের দেশে কোন শাষন ব্যবস্থা follow করা হয়, রাজতন্ত্র না গনতন্ত্র? সংবিধান অনুযায়ি আমরা গনতান্তিক শাষন ব্যবস্থা follow করি। কিন্তু বাস্তবে কি আমাদের দেশে গনতন্ত্র আছে? আমরা সবাই জানি যে আমাদের দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রধান সবসময় দুটি নির্দিষ্ট পরিবারের সদস্যরাই হয়ে থাকেন, তাদের দেশ পরিচালনা করার যোগ্যতা থাক বা না থাক। দলের সবচেয়ে যোগ্য ব্...

দানপত্র বা উইল কিভাবে করবেন এবং কখন তা কার্যকর হয়

দানপত্র বা উইল কিভাবে করবেন এবং কখন তা কার্যকর হয় উইল অর্থ ইচ্ছা। মুসলিম আইনে উইল হলো একটি আইনগত ঘোষণা। এই আইনগত ঘোষণার মাধ্যমে ঘোষণাকারী তার সম্পত্তি সম্পর্কিত কোনো ইচ্ছা বা বাসনা তার মৃত্যুর পর পূরণ হোক এটা প্রকাশ করে। উইলের সংজ্ঞা: উইল সমাজের একটি অতি পরিচিত নাম। তবে এর আইনগত সংজ্ঞা দিয়েছেন বিখ্যাত আইনবিদরা। উইলের সংজ্ঞায় প্রখ্যাত আইনবিদ জারমান বলেন, ‘উইল হলো এমন একটি দলিল, যা দ্বারা কোনো ব্যক্তি তার সম্পত্তির এমন বিলিব্যবস্থা করতে পারে, যা উইলকারীর মৃত্যুর পর কার্যকরযোগ্য।’ আইনের ভাষায় উইল হচ্ছে, কোনো সুনির্দিষ্ট জিনিসের বা মুনাফার বা কোনো সুবিধাদির মধ্যে আনুতোষিক বা উপহার প্রদানের পদ্ধতিতে উইলকারীর মৃত্যু পর্যন্ত তা স্থগিত রাখার অধিকার দান করা। একজন উইলকারীর উইল মৃত্যুর মুহূর্ত থেকে কার্যকর হয়। যে উইল করে তাকে উইলকারী এবং যার নামে উইল করা হয় তাকে উইল-গ্রহীতা বলা হয়। উইলের মূল উৎস কোরআন। ১৯২৫ সালের উত্তরাধিকারী আইনের ২ (এইচ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো হিন্দু জীবদ্দশায় (তাহার মৃত্যুর পর) যাবতীয় সম্পত্তি কিভাবে বিলিব্যবস্থা হইবে তাহা যদি কোনো লিখিত দলিল দ্বারা নিরু...

সমস্যা ও সমাধান: হেবা

সমস্যা ও সমাধান: হেবা সমস্যা: একজন ব্যক্তির তিন মেয়ে। কোন ছেলে নাই। সে চাই তার মৃত্যুর পর তার সব সম্পত্তি তার মেয়েরা পাক। এখন সে কি করতে পারেন যাতে তার সব সম্পত্তি তার মেয়েরা পায়? সমাধান: তাকে তার মৃত্যুর আগে তার সব সম্পত্তি মেয়েদের হেবা বা দান করতে হবে। হেবা কি ও কিভাবে করতে হবে - "কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কোন প্রকার বিনিময়/ প্রতিদান ছাড়া কোন সম্পত্তি হস্তান্তর করাকে হেবা বা দান বলে। হেবা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে হতে হবে। কাউকে প্রতারিত বা অন্য কোন বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে হেবা করা যাবে না। কিন্তু হেবার কয়েকটি শর্ত আছে যেগুলো পূরন না করলে হেবা বা দানটি বৈধ হেবা বা দান বলে বিবেচিত হবে না। হেবার শর্তঃ ১। দাতার দান করার ঘোষনা বা ইচ্ছা প্রকাশ। ২। গৃহীতা বা তার পক্ষে দান গ্রহন করা। ৩। অনতিবিলম্বে দান হস্তান্তর। আবার যে হেবা করবে তাকে সুস্থ মস্তিস্কসম্পন্ন হতে হবে, প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে এবং দান অবশ্যই সেচ্ছায় করতে হবে, কারও প্ররোচনায় করা যাবে না। মনে রাখতে হবে যে দখল অর্পনের পূর্বে যেকোন সময় হেবা প্রত্যাহার করা যায়। একবার হস্তান্তর হয়ে গেলে কেবল আদালতের অনু...
মুসলিম উত্তরাধিকার আইনঃ কে কত অংশ পাবেন - মুসলিম আইনে মৃত ব্যক্তির সম্পদের সুষম বন্টনের জন্য সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে, মুসলিম আইনে পরিষ্কার ভাবে বলা আছে মৃত ব্যক্তির সম্পদ তাঁর উত্তরাধিকারীরা কে কিভাবে পাবেন। একজন মুসলমান যদি মারা যায় তবে তাঁর সম্পদ বন্টনের আগে কিছু বিষয়ে তাঁর আত্মীয় স্বজনদের বিশেষ মনোযোগ রাখতে হয় এবং ঐ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেই কেবল মৃত ব্যক্তির সম্পদ ভাগ বাটোয়ারা করা যাবে। একজন মুসলমানের মৃত্যুর পর তাঁর সম্পদ ভাগের আগে যা করনীয়ঃ ১) যদি মৃত ব্যক্তির পর্যাপ্ত সম্পদ থাকে তবে তাঁর সম্পদ থেকে তাঁর দাফন কাফনের ব্যবস্থা করা। ২) মৃত ব্যক্তির কোন প্রকারের ঋণ কিংবাদ ধার দেনা থাকলে তা ঐ ব্যক্তির সম্পদ থেকে পরিশোধ করার ব্যবস্থা করা। ৩) মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর দেনমোহোর পরিশোধ হয়েছে কিনা দেখা যদি না হয়ে থাকে তা পরিশোধ করা। ৪) মৃত ব্যক্তি যদি কোন হেবা বা দান কিংবা অসিহত করে যান তবে উল্লেখিত সম্পত্তি দান করে দেয়া। এগুলা করার পর বাকি সম্পত্তির বন্টন: মৃতের বাবাঃ ১। মৃত ব্যক্তির কোন পুত্র থাকলে বাবা ছয় ভাগের এক ভাগ (১/৬) পাবেন। ২। পুত্র, পুত্রের পুত্র না থাকলে ...

বাটোয়ারা দলিল:

বাটোয়ারা দলিল: কেন করবেন, কিভাবে করবেন ধরুন, বাবা-মার মৃত্যুর পর আপনারা ভাইবোনেরা নিজেদের উত্তরাধিকার সম্পত্তি নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে চান। সাধারণত আমাদের দেশে এ রকম ক্ষেত্রে মৌখিক সমঝোতার মধ্য দিয়ে ভাগ-বাটোয়ারা করেই অংশীদাররা সম্পত্তি ভোগ করে থাকেন। কিন্তু এর ফলে ভবিষ্যতে উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বাটোয়ারা দলিল সম্পাদনের মধ্য দিয়ে এই জটিলতা কমিয়ে আনা যায়। ১৮৯৯ সালের স্ট্যাম্প আইনের ২(১৫) ধারায় বণ্টন দলিল সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, 'বণ্টন দলিল' অর্থ এমন কোনো দলিল যার মাধ্যমে কোনো সম্পত্তির সহ-মালিকগণ কোনো নির্দিষ্ট সম্পত্তি ব্যক্তিগত মালিকানায় পৃথকভাবে ভাগ করে নেয় বা নিতে সম্মত হয়। উল্লেখ্য, বণ্টন কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোনো রাজস্ব কর্তৃপক্ষ অথবা কোনো দেওয়ানি আদালত প্রদত্ত কোনো চূড়ান্ত আদেশ এবং কোনো সালিশকারী কর্তৃক প্রদত্ত বণ্টন-নির্দেশ রোয়েদাদও 'বণ্টক দলিল'-এর অন্তর্ভুক্ত। বাটোয়ারা দলিল কখন? যৌথ পরিবারে ক্রয় করা সম্পত্তি ভোগদখলের সুবিধার্থে দখল অনুযায়ী বণ্টন করা যেতে পারে। আবার ...

Boiling the frog: বাংলা ভার্সন

Boiling the frog: বাংলা ভার্সন একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে একটি ব্যাঙ রেখে পানি গরম করা শুরু করা হল।পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ব্যাঙটিও তার শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে সহনীয় পর্যায়ে নিতে শুরু করল যদিও সে চাইলেই লাফ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারত কিন্তু সে লাফ দেয় না। তাপমাত্রা আরো বাড়ানো হল, তখনও সে সহ্য করতে থাকে। আস্তে আস্তে তাপমাত্রা যখন আরও বাড়িয়ে ফুটন্ত গরম করা হয় তখন ব্যাঙটি আর সহ্য করতে না পেরে সে সিদ্ধান্ত নেয় লাফ দেওয়ার।কিন্তু তখন আর তার লাফ দেওয়ার মত শক্তি তার থা কে না। পানি আরও গরম হতে থাকে যার ফলে সে গরম পানিতে ফুটে একটা সময় মারা যায়। এখন যদি প্রশ্ন করা হয় ব্যাঙটি কিভাবে মারা গেছে? তাহলে অধিকাংশ মানুষই বলবেন গরম পানির কারনে মারা গেছে। কিন্তু না সে গরম পানির জন্য মারা যায়নি সে মারা গেছে লাফ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেরিতে নেওয়ার কারনে। ঠিক তেমনি প্রতিটি মানুষের স্থান কাল পাত্র ভেদে একেকটা বিষয়ে সহ্য করার ক্ষমতা থাকে কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখতে হবে ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও আমাদের বুঝতে হবে কখন সরে যাওয়া উচিত অর্থাৎ সঠিক সময়ের সিদ্ধান্ত সঠিক সময় নেওয়া উচিত।...

সম্পত্তি বণ্টনের মামলা করবেন কিভাবে?

সম্পত্তি বণ্টনের মামলা করবেন কিভাবে? সম্পত্তি বণ্টন নিয়ে বিবাদ-বিসংবাদ একটি সনাতন ব্যাপার। উত্তরাধিকার সম্পত্তি কিংবা যৌথ সম্পত্তিতে সহ-অংশীদারদের মালিকানা নির্ণয়ে নানা রকম আইনি জটিলতা ও বিরোধ সৃষ্টি হয়। বাটোয়ারা দলিলের মধ্য দিয়ে অংশীদাররা শুরুতে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে ঐকমত্যে পৌঁছা সম্ভব না হলে আদালতে 'বাটোয়ারা মামলা' দায়ের করার বিকল্প থাকে না। দৃশ্যপট-১ ফারহানারা তিন ভাই ও চার বোন। মা বেঁচে আছেন। তার বাবার মৃত্যুর সময় প্রায় ৩০ কোটি টাকার সম্পদ ও সম্পত্তি রেখে গেছেন ওয়ারিশদের জন্য। কিন্তু সম্পত্তি এখন পর্যন্ত ভাগ হয়নি। ফারহানার দুই ভাই জোর করে বেশি সম্পত্তি ভোগ করছেন। আবার তার এক ভগ্নিপতি রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেও বেশ কিছু সম্পত্তি ভোগ করছেন। এর মধ্য দিয়ে বিপদে আছে ফারহানা, তার মা আর তিন বোন। তার দুই ভাই ও ছোট ভগ্নিপতি সম্পত্তি ভাগ করতে দিতে চান না। এত এত সম্পত্তি থাকার পরও ফারহানারা মারাত্মক কষ্টে দিনাতিপাত করছে। এতদিন যাবত সম্পত্তির দলিলপত্র ফারহানার মায়ের কাছে ছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে তার ভাইয়ের ছেলে ও ছোট ভগ্নিপতি সম্পত্তির স...