ফৌজদারী আদালত সর্ম্পকে কিছু ধারনা................
ফৌজদারী আদালত সর্ম্পকে কিছু ধারনা................
ফৌজদারী অপরাধ সম্পর্কে
ফৌজদারী আদলতে যেসব মামলার বিচার হয় তা সবই ফৌজদারী মামলা হিসাবে গণ্য হয়।
উদাহরণ স্বরূপ, খুন, আঘাত, চুরি, ডাকাতি, প্রতারণা ইত্যাদি ফৌজদারী অরাধ হিসাবে গণ্য।
এ সকল অপরাধের শাস্তি দণ্ডবিধি-১৮৬০ এ বলা হয়েছে। দণ্ডবিধি ছাড়া ও আর কতিপয় বিশেষ আইনে অপরাধের শাস্তি স্মপর্কে বলা হয়েছে। যেমনঃ ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইন, ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, নারী ও শিশু
নির্যাতন প্রতিরোধ আইন-২০০০, ১৯৮৫
সালের পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ ইত্যাদি আইন অনুসারে অপরাধ সমূহের বিচার ফৌজদারি আদালতে হয়।
ফৌজদারি বিচার ব্যাবস্থায় অরাধের গুরুত্ত, প্রকৃতি, মামলা দায়েরের পদ্দতি এবং বিচারের এখতিয়ারের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের মামলা
পরিলক্ষিত হয়।
• অপরাধের গুরুত্ত বিবেচনায় মামলার
প্রকারভেদঃ
অপরাধের গুরুত্ত বিবেচনা করে মামলাকে দুভাগে ভাগ করাযায়, যথাঃ
ক) আমলযোগ্য মামলা এং
খ) আমল-অযোগ্য মামলা।
• মামলা দায়ের পদ্দতির ভিন্নতাভেদে প্রকারভেদঃ মামলার উৎপত্তিস্থল হল থানা ও
ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। তাই কোন কর্তৃপক্ষের নিকট মামলা দায়ের করা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে ফৌজদারি মামলাকে দুভাগে ভাগ করাযায়। যথাঃ
ক) পুলিশি মামলা এবং খ) নালিশি মামলা।
• বিচারের এখতিয়ারের ভিত্তিতে প্রকারভেদঃ সকল প্রকার মামলা একই আদালতে বিচার্য নয়। অপরাধের গুরুত্ত ও প্রকৃতিভেদে বিভিন্ন মামলা বিভিন্ন আদালতে বিচার করা হয়। তাই বিচারের এখতিয়ারের ভিত্তিতে ফৌজদারি মামলাকে তিন ভাগে ভাগ করাযায়। যথাঃ
ক) ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য মামলা
(সকল শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত),
খ) দায়রা আদালতে বিচার্য মামলা এবং
গ) বিশেষ আদলতে বিচার্য মামলা।
মামলার প্রকৃতি ও প্রকারভেদ ভিন্ন রুপ হলেও মামলা দায়েরের পদ্দতি নিম্নোক্ত তিন প্রকারের যথাঃ
• ক) সি, আর মামলা (C.R Case)
• খ) জি, আর মামলা (G.R Case)
• গ) নন-জি, আর মামলা (Non-G.R Case)
ক) সি, আর মামলা (C.R Case) :কোন ঘটনা বা অপরাধের ভিত্তিতে অভিযোগকারী যখন সরাসরি আদালতে হাজির হয়ে উহার বিচার বা প্রতিকার প্রার্থনা করে অর্থাৎ দরখাস্তের মাধ্যমে মামলা দায়ের করে তখন সে মামলাকে সি,আর মামলা বলা হয়ে থাকে। সি,আর এর পুর্ন অর্থ হল Complaint Register। যাকে নালিশি মামলা ও বলা হয়। নালিশ আকারে দায়ের কৃত মামলার কোন সাক্ষী থাকলে তখন ম্যাজিস্ট্রেট তাদের শপথ পাঠ করানোর পর জবানবন্দী গ্রহণপুর্বক যেই রুপ উপযুক্ত মনে করেন সে রুপ আদেশ প্রদান করেন। আমলযোগ্য মামলা হলে তিনি অপরাধটি আমলে গ্রহণ করে ওয়ারেন্ট ইস্যু করতে পারেন বা তদন্তের জন্য তিনি নিজে অথবা অন্য যে কোন ব্যাক্তিকে নির্দেশ দিতে পারেন। আবার ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট যদি মনে হয় যে মামলার কোন ভিত্তি নেই তাহলে তিনি তা খারিজ করে দিতে পারেন অথবা মামলাটি গ্রহণের জন্য থানার পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিতে পারেন। এইক্ষেত্রে একজন ম্যাজিস্ট্রেট তার বিচারিক মন প্রয়োগ করে যেইরুপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ মনে করেন তিনি সেইরুপ ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন। আইন ম্যাজিস্ট্রেটকে মামলা আমলে নেয়া বা না নেয়ার বিষয়ে ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান করেছে।
খ) জি, আর মামলা (G.R Case) : G.R Case শব্দের পুর্ন রুপ হল General Register Case। আমালযোগ্য অপরাধ সম্পর্কে থানায় কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দায়ের করা হলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারার বিধান অনুসারে উক্ত সংবাদকে তিনি লিপিবদ্ধ করে সংবাদ দাতার স্বাক্ষর গ্রহণ করার মাধ্যমে F.I.R বা এজাহার হিসাবে গ্রহণ করবেন। আমলযোগ্য অপরাধ সম্পর্কে দায়েরকৃত মামলাকে জি, আর মামলা (G.R Case) বলে। এইপ্রকারের মামলা দায়েরের পর তদন্ত কর্মকর্তা কারও অনুমতি ছাড়া তদন্ত এবং আসামীকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করার জন্য অগ্রসর হয়ে থাকেন।
গ) নন-জি, আর মামলা (Non-G.R Case) : থানায় আমল-অযোগ্য কোন অপরাধ সম্পর্কে কোন মামলা দায়ের করা হলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তা সাধারণ ডায়েরী (G.D) আকারে লিপিবদ্ধ করে রাখেন এবং ম্যাজিস্ট্রেট এর
অনুমতি ছাড়া অগ্রসর হতে পারেন না। এই প্রকারের মামলাকে নন-জি, আর মামলা (Non-G.R Case) বলে।
ফৌজদারী অপরাধ সম্পর্কে
ফৌজদারী আদলতে যেসব মামলার বিচার হয় তা সবই ফৌজদারী মামলা হিসাবে গণ্য হয়।
উদাহরণ স্বরূপ, খুন, আঘাত, চুরি, ডাকাতি, প্রতারণা ইত্যাদি ফৌজদারী অরাধ হিসাবে গণ্য।
এ সকল অপরাধের শাস্তি দণ্ডবিধি-১৮৬০ এ বলা হয়েছে। দণ্ডবিধি ছাড়া ও আর কতিপয় বিশেষ আইনে অপরাধের শাস্তি স্মপর্কে বলা হয়েছে। যেমনঃ ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইন, ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, নারী ও শিশু
নির্যাতন প্রতিরোধ আইন-২০০০, ১৯৮৫
সালের পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ ইত্যাদি আইন অনুসারে অপরাধ সমূহের বিচার ফৌজদারি আদালতে হয়।
ফৌজদারি বিচার ব্যাবস্থায় অরাধের গুরুত্ত, প্রকৃতি, মামলা দায়েরের পদ্দতি এবং বিচারের এখতিয়ারের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের মামলা
পরিলক্ষিত হয়।
• অপরাধের গুরুত্ত বিবেচনায় মামলার
প্রকারভেদঃ
অপরাধের গুরুত্ত বিবেচনা করে মামলাকে দুভাগে ভাগ করাযায়, যথাঃ
ক) আমলযোগ্য মামলা এং
খ) আমল-অযোগ্য মামলা।
• মামলা দায়ের পদ্দতির ভিন্নতাভেদে প্রকারভেদঃ মামলার উৎপত্তিস্থল হল থানা ও
ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। তাই কোন কর্তৃপক্ষের নিকট মামলা দায়ের করা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে ফৌজদারি মামলাকে দুভাগে ভাগ করাযায়। যথাঃ
ক) পুলিশি মামলা এবং খ) নালিশি মামলা।
• বিচারের এখতিয়ারের ভিত্তিতে প্রকারভেদঃ সকল প্রকার মামলা একই আদালতে বিচার্য নয়। অপরাধের গুরুত্ত ও প্রকৃতিভেদে বিভিন্ন মামলা বিভিন্ন আদালতে বিচার করা হয়। তাই বিচারের এখতিয়ারের ভিত্তিতে ফৌজদারি মামলাকে তিন ভাগে ভাগ করাযায়। যথাঃ
ক) ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য মামলা
(সকল শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত),
খ) দায়রা আদালতে বিচার্য মামলা এবং
গ) বিশেষ আদলতে বিচার্য মামলা।
মামলার প্রকৃতি ও প্রকারভেদ ভিন্ন রুপ হলেও মামলা দায়েরের পদ্দতি নিম্নোক্ত তিন প্রকারের যথাঃ
• ক) সি, আর মামলা (C.R Case)
• খ) জি, আর মামলা (G.R Case)
• গ) নন-জি, আর মামলা (Non-G.R Case)
ক) সি, আর মামলা (C.R Case) :কোন ঘটনা বা অপরাধের ভিত্তিতে অভিযোগকারী যখন সরাসরি আদালতে হাজির হয়ে উহার বিচার বা প্রতিকার প্রার্থনা করে অর্থাৎ দরখাস্তের মাধ্যমে মামলা দায়ের করে তখন সে মামলাকে সি,আর মামলা বলা হয়ে থাকে। সি,আর এর পুর্ন অর্থ হল Complaint Register। যাকে নালিশি মামলা ও বলা হয়। নালিশ আকারে দায়ের কৃত মামলার কোন সাক্ষী থাকলে তখন ম্যাজিস্ট্রেট তাদের শপথ পাঠ করানোর পর জবানবন্দী গ্রহণপুর্বক যেই রুপ উপযুক্ত মনে করেন সে রুপ আদেশ প্রদান করেন। আমলযোগ্য মামলা হলে তিনি অপরাধটি আমলে গ্রহণ করে ওয়ারেন্ট ইস্যু করতে পারেন বা তদন্তের জন্য তিনি নিজে অথবা অন্য যে কোন ব্যাক্তিকে নির্দেশ দিতে পারেন। আবার ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট যদি মনে হয় যে মামলার কোন ভিত্তি নেই তাহলে তিনি তা খারিজ করে দিতে পারেন অথবা মামলাটি গ্রহণের জন্য থানার পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিতে পারেন। এইক্ষেত্রে একজন ম্যাজিস্ট্রেট তার বিচারিক মন প্রয়োগ করে যেইরুপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ মনে করেন তিনি সেইরুপ ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন। আইন ম্যাজিস্ট্রেটকে মামলা আমলে নেয়া বা না নেয়ার বিষয়ে ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান করেছে।
খ) জি, আর মামলা (G.R Case) : G.R Case শব্দের পুর্ন রুপ হল General Register Case। আমালযোগ্য অপরাধ সম্পর্কে থানায় কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দায়ের করা হলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারার বিধান অনুসারে উক্ত সংবাদকে তিনি লিপিবদ্ধ করে সংবাদ দাতার স্বাক্ষর গ্রহণ করার মাধ্যমে F.I.R বা এজাহার হিসাবে গ্রহণ করবেন। আমলযোগ্য অপরাধ সম্পর্কে দায়েরকৃত মামলাকে জি, আর মামলা (G.R Case) বলে। এইপ্রকারের মামলা দায়েরের পর তদন্ত কর্মকর্তা কারও অনুমতি ছাড়া তদন্ত এবং আসামীকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করার জন্য অগ্রসর হয়ে থাকেন।
গ) নন-জি, আর মামলা (Non-G.R Case) : থানায় আমল-অযোগ্য কোন অপরাধ সম্পর্কে কোন মামলা দায়ের করা হলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তা সাধারণ ডায়েরী (G.D) আকারে লিপিবদ্ধ করে রাখেন এবং ম্যাজিস্ট্রেট এর
অনুমতি ছাড়া অগ্রসর হতে পারেন না। এই প্রকারের মামলাকে নন-জি, আর মামলা (Non-G.R Case) বলে।
Comments
Post a Comment