Posts

বিয়ের নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন করা হলে কি কোনো উপকার পাওয়া যায়*****?

বিয়ের নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন করা হলে কি কোনো উপকার পাওয়া যায়*****? বিবাহের নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন করা হলে নিম্নবর্নিত উপকার পাওয়া যায়: ক – বিয়ের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করলে যে সনদ পাওয়া যায় সেটি হলো একটি বৈধ বিয়ের দলিল; খ – রেজিস্ট্রেশনের ফলে বিয়ের সব তথ্য সরকারের তথ্য ভান্ডারে নথিভুক্ত হয় বলে এর সত্যতা অস্বীকার করা যায় না; গ – বিবাহে দুই পক্ষই বিশেষ করে নারীরা আইনে প্রদত্ত সকল সুরক্ষাসহ, তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারে; ঘ – স্ত্রীরা স্বামীদের প্রতারণার স্বীকার হলে এই রেজিস্ট্রেশন এর সনদই একমাত্র রক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করবে; ঙ – স্বামীর মৃত্যু পরবর্তীকালে স্বামীর সম্পত্তির বৈধ অংশ সহ অন্যান্য দাবি আদায়ে এই দলিলটি অত্যাবশ্যকীয়; চ – এমনকি তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদের সময়ও বিবাহের রেজিস্ট্রেশন একটি অত্যাবশ্যকীয় দলিল; ছ – স্বামীর অবর্তমানে সন্তানের বৈধ পরিচয় নিশ্চিত করতে রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন হতে পারে; জ – বিদেশ গমনের ক্ষেত্রেও কিছু রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ভ্রমণে আগ্রহী কোন নারী যদি নিজের ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান কালে নিজেকে বিবাহিতা পরিচয় দিলে বিবাহের প্রমাণ হি...

কখন দলিল সংশোধন করা যেতে পারে--

কখন দলিল সংশোধন করা যেতে পারে-- যখন প্রতারণার মাধ্যমে বা উভয় পক্ষের বা পক্ষগনের পারস্পরিক ভুলের কারণে কোন চুক্তি বা দলিল সত্যিকার ভাবে তাদের উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে না। তখন যে কোন পক্ষ বা তাদের বৈধ প্রতিনিধি দলিল সংশোধন করে নেয়ার জন্য মামলা করতে পারে। এবং যদি আদালতে এটি সু-স্পষ্টভাবে প্রমান করা যায় যে, দলিল রেজিষ্ট্রী করার সময় প্রতারণা করা হয়েছে বা ভুল করা হয়েছে। এবং এর ফলে পক্ষগন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাহলে আদালত তার ক্ষমতা বলে যতদূর সংশোধন করা সম্ভব ততটুকু সংশোধন করতে পারেন। তবে আদালত এক্ষেত্রে দেখবেন যাতে তৃতীয় পক্ষের কোন ক্ষতি না হয়।

মানহানি (Defamation)

মানহানি (Defamation) ^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^ ````````````````````````````````` মুখের কথা ব্যবহার করে, লেখার মাধ্যমে, অঙ্গভঙ্গীর সহায্যে, বা যা লোকের চোখে পড়ে - এমন কিছুর সাহায্যে একজনের মানহানি করা যায়। কোনো ব্যক্তি যদি কারোর সুনাম ক্ষুণ্ণ হবে বা হবার যুক্তিযুক্ত সম্ভাবনা আছে জেনেও কারোর বিরুদ্ধে নিন্দা বা অপপ্রচার করেন, তাহলে প্রথম ব্যক্তি দ্বিতীয় ব্যক্তির মানহানি করেছেন বলে বিবেচিত হবে। মানহানি হয়েছে প্রমাণিত হলে তার জন্য শাস্তি কারাবাস (যা দুবছর পর্যন্ত হতে পারে) কিংবা জ রিমানা, অথবা দুইই। অবশ্য আইনের চোখে এ ব্যাপারে বেশ কিছু ব্যতিক্রম আছে। সেগুলি হল: ★যে জিনিস সত্য এবং যে সত্যের প্রচার জনস্বার্থে করা প্রয়োজন, সেটি নিন্দার কথা হলেও মানহানি হিসেবে ধরা হবে না। ★সরকারী কাজ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো সরকারী কর্মচারীর ব্যবহার বা চরিত্র সম্পর্কে কোনো অভিমত জানালে সেটি মানহানির আওতায় পড়বে না - যদি সেই সেই অভিমতটি ব্যক্ত করা হয় কোনো দুরভিসন্ধি ছাড়া অর্থাত্ শুভ-বিশ্বাসে (good faith)। ★যেখানে জনস্বার্থ জড়িত, সেখানে যে কোনো ব্যক্তির আচরণ বা চরিত্র সম্পর্কে পূর্ণ-বিশ্বাসে দেওয়া অভিমত ম...

আগাম জামিনঃ

আগাম জামিনঃ র্ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৯৮ ধারায় আগাম জামিন এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উক্ত ৪৯৮ ধারায় বলা হয়েছে যে, হাইকোর্ট বা একজন দায়রা জজ সেই ব্যক্তির আগাম জামিন মঞ্জুর করতে পারেন যার ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশী গ্রেফতার আসন্ন কিংবা এক রকম নিশ্চিত হয়ে গেছে এবং যেখানে ঐ জাতীয় জামিন মঞ্জুরের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে বলে যুক্তি রয়েছে। এরুপ অনুমানের উপর জামিন দেয়ার ক্ষমতা কেবল হাইকোর্ট অথবা দায়রা জজের রয়েছে । উক্ত ক্ষমতা অন্য কোন আদালতের নাই । তবে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের কয়েক টি বেঞ্চ আগাম জামিনের শুনানি করে থাকে । তাই কারো কোন মামলায় আগাম জামিন পেতে হলে সুপ্রীম কোর্টে যেতে হবে । অতএব ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতারের আশঙ্কা থাকলে আগাম জামিনের জন্য আবেদন করা যাবে, তবে জামিন দেওয়া না দেওয়া সম্পুর্ন আদালতের মর্জি । সাধারণত অহেতুক পুলিশি হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে ও রাজনৈতিক কারনে মামলা করা হয়েছে প্রতিয়মান হলে হাইকোর্ট বিভাগ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আগাম জামিন মঞ্জুর করে থাকে । তবে আগাম জামিনের সময়সীমা পার হওয়ার পর নীম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করতে হয় অথবা আবারো হাইকোর্ট বিভাগে হাজির হয়ে আগাম...

ফৌজদারি কার্যবিধির ৫২

ফৌজদারি কার্যবিধির ৫২ ধারা অনুযায়ী মহিলাদের দেহ তল্লাশির সময় নিন্মে লিখিত বিষয় খুব সতর্কতার সহিত পালন করতে হবে:- ১) মহিলাদের দেহ তল্লাশি মহিলা পুলিশ দিয়ে করাতে হবে; পুরুষের এ অধিকার নেই। ২) দেহ তল্লাশির সময় সব শালীনতা রক্ষা করতে হবে। সে সময় কোন পুরুষ লোক সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবে না। ৩) মহিলা পুলিশ না থাকলে স্থানীয় কোন মহিলাকে দিয়ে করাতে হবে।

এসিড দ্বারা আহত করার শাস্তি

এসিড দ্বারা আহত করার শাস্তি যদি কোন ব্যক্তি কোন এসিড দ্বারা অন্য কোন ব্যক্তিকে এমনভাবে আহত করেন যাহার ফলে তাহার- (ক) দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নষ্ট হয় বা মুখমন্ডল, স্তন বাযৌনাংগ বিকৃত বা নষ্ট হয় তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকার অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন; (খ) শরীরের অন্য কোন অংগ, গ্রন্থি বা অংশ বিকৃত বা নষ্ট হয় বা শরীরের কোন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন তাহাহইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক চৌদ্দ বত্সর কিন্তু অন্যূন সাত বত্সরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ হাজার টাকার অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন। (এসিড অপরাধ দমন আইন ২০০০,ধারা ৫)

অপহরণ কি ?

অপহরণ কি ? সাধারণভাবে অপহরণ হলো কোন ব্যক্তিকে জোর করে ধরে একস্থান থেকে অন্যস্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া। দন্ডবিধির ৩৬২ ধারায় বলা হয়েছে- যে ব্যক্তি কোন ব্যক্তিকে কোন স্থান হতে গমন করার জন্য জোরপূর্বক বাধ্য করে বা কোন প্রতারণামূলক উপায়ে প্রলুব্ধ করে, সেই ব্যক্তি উক্ত ব্যক্তিকে অপহরণ করে বলে গণ্য হবে। সাধারণত শিশুরাই অপহরণের শিকার বেশি হয় তবে যে কোন বয়সের মানুষ-ই অপহরণের শিকার হতে পারে। নারী বা শিশু অপহরণের অপরাধ সংগঠিত হলে তা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) অনুযায়ী সংগঠিত হবে।