Posts

Showing posts from November, 2015

সাধারণ ছুটি অথবা পাবলিক হলিডে

সাধারণ ছুটি অথবা পাবলিক হলিডে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি - ১ দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস, ১৭ মার্চ - ১ দিন স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ২৬ মার্চ - ১ দিন মে দিবস, পয়লা মে - ১ দিন *বুদ্ধ পূর্ণিমা (বৈশাখি পূর্ণিমা), ২১ মে - ১ দিন *জুমাতুল বিদা, ১ জুলাই - ১ দিন *ঈদুল ফিতর, ৬ জুলাই - ১ দিন জাতীয় শোক দিবস, ১৫ আগস্ট - ১ দিন শুভ জন্মাষ্টমী, ২৫ আগস্ট - ১ দিন *ঈদুল আজহা, ১২ সেপ্টেম্বর - ১ দিন দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১১ অক্টোবর - ১ দিন *ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.), ১২ ডিসেম্বর - ১ দিন বিজয় দিবস, ১৬ ডিসেম্বর - ১ দিন যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড় দিন), ২৫ ডিসেম্বর - ১ দিন মোট = ১৪ দিন। নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি নববর্ষ, ১৪ এপ্রিল - ১ দিন *শবেবরাত, ২৩ মে - ১ দিন *শবে কদর, ৩ জুলাই - ১ দিন *ঈদুল ফিতর (ঈদের পূর্বের ও পরের দিন), ৫ ও ৭ জুলাই - ২ দিন *ঈদুল আজহা (ঈদের পূর্বের ও পরের দিন), ১১ ও ১৩ সেপ্টেম্বর - ২ দিন *আশুরা, ১২ অক্টোবর - ১ দিন মোট= ৮ দিন। ঐচ্ছিক ছুটি (মুসলিম পর্ব) *ফাহেতা-ই-ইয়াজদাহম, ২২ জানুয়ারি - ১ দিন *শব-ই-মিরাজ, ৫ মে - ১ দিন *ঈদুল ফিতর (ঈদের পর...

আইন মেনে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায় ,না মানলে শাস্তি

আইন মেনে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায় ,না মানলে শাস্তি ............................................................ ............ কোনো কারণে জীবনের চক্রে আবার বিয়ে করার প্রয়োজন হলো। কিন্তু চাইলেই কি আপনি দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন? উত্তর হচ্ছে, আইন অনুযায়ী এক স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় আরেকটি বিয়ে করা যাবে না। তবে কারও যদি স্ত্রী বর্তমান থাকাকালে আরেকটি বিয়ে করার প্রয়োজন হয়, তাহলে তাঁকে তাঁর বর্তমান স্ত্রী যে এলাকায় বসবাস করছেন, সেই এলাকার সালিসি পরিষদের কাছে আরেকটি বিয়ে করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁকে প্রস্তাবিত বিয়ের কারণ এবং এই বিয়েতে বর্তমান স্ত্রীর সম্মতি রয়েছে কি না, তা উল্লেখ করতে হবে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা পৌরসভার মেয়র দুই পক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে সালিসি পরিষদ গঠন করে থাকেন।সালিসি পরিষদের লিখিত অনুমতি নিয়েই কেবল দ্বিতীয় বিয়ে করা যাবে। সালিসি পরিষদে যদি বর্তমান স্ত্রী অনুমতি প্রদান না করেন, তাহলে কোনোভাবেই দ্বিতীয় বিয়ে করা যাবে না। আবার সালিসি পরিষদকেও নির্দিষ্ট কিছু বিষয় বিবেচনা করে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি প্রদান করতে হবে। যেমন:...

জেনে নিন ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় পুলিশ কোন কাজ করতে পারে না

জেনে নিন ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় পুলিশ কোন কাজ করতে পারে না *********************************************************** বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে মুক্ত স্বাধীন জীবন যাপনের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকেরই আছে। এটি একটি মৌলিক অধিকারও বটে। কিন্তু এ দায়বদ্ধতা আমাদের সংবিধান আদৌ রক্ষা করতে পারছে না। যুগের পর যুগ শুধু ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তারের ক্ষমতা স্বেচ্ছাচারীভাবে প্রয়োগ হয়ে আসছে। এ অন্যায় গ্রেপ্তার ও আটকাদেশ সংবিধানের উল্লিখিত বিধানের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসঙ্গতিপূর্ণ। ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিকের নির্বিচারে গ্রেপ্তারের যে ক্ষমতা পুলিশের উপর অর্পণ করা হয়েছে, তা সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী, এর প্রয়োগও ব্যক্তি স্বাধীনতায় আঘাত হানার শামিল। আইনের ছাত্র হিসেবে যতদূর জানি, ব্রিটিশবিরোধী গণ-আন্দোলন থামাতেই ১৮৯৮ সালে ইংরেজরা সর্বপ্রথম এই আইন তৈরি করে। তারা ওই আইনের ৫৪ ধারা তৈরি করে লাখ লাখ মানুষকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করে। ইংরেজ উপনিবেশবিরোধী আন্দোলন প্রতিহত করতে এ ধারা ব্যবহার করা হয়েছিল...

চেক প্রতারণার মামলায় ৩ বার চেক ডিজঅনার করানোর ভুল পরামর্শ প্রসংগে

চেক প্রতারণার মামলায় ৩ বার চেক ডিজঅনার করানোর ভুল পরামর্শ প্রসংগে *********************************************************** নেগোশিয়েবল ইনষ্ট্রুমেন্ট এ্যাক্ট এর বিধান মতে চেক ডিজঅনারের মামলা দায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কিছু না কিছু ধারনা থাকা উচিত। কেননা এ আইনে মামলা দায়েরের পদ্ধতি একটু ভিন্ন প্রকৃতির। দৈনন্দিন জীবনে চেকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। চেক প্রতারণার ঘটনাও উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি চেকের মেয়াদ কতদিন, তা কতবার নগদায়নের জন্য উপস্থাপন করতে হয়, তা ডিজঅনার হওয়ার কতদিনের মধ্যে নোটিশ দিতে হয় কিংবা মামলা করতে হয় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় অনেকেই প্রতারকের হাতে কষ্টার্জিত অর্থ হারিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকছেন। আমাদের দেশে সার্বজনীন আইন শিক্ষা না থাকায় আইন অজ্ঞতা হেতু আমরা প্রতিনিয়ত ঠক্ছি, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। অথচ আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আইন আছে। তার সঠিক প্রয়োগের অভাবে অনেকেই নিঃস্ব হচ্ছেন। অনেকে লেনদেনের ক্ষেত্রে নগদ টাকা দিয়ে চেক ফেরৎ নেন না। কিংবা চেক হারিয়ে গেলে/ নষ্ট হলে থানায় জি,ডি ও ব্যাংকে ষ্টপ পেমেন্ট ইত্যাদি করেন ...

'অনধিকার প্রবেশ' একটি অপরাধসঙ্কলন:

'অনধিকার প্রবেশ' একটি অপরাধসঙ্কলন: ******************************* অপরের শরীর বা সম্পত্তির ওপর করা একটি বেআইনি কাজ, বিশেষত অপরের ভূসম্পত্তিতে অবৈধ প্রবেশ। অনধিকার প্রবেশ দুই ধরনের হতে পারে_ ১. ব্যক্তির ওপর অনধিকার প্রবেশ এবং সম্পত্তির ওপর অনধিকার প্রবেশ। কোনো ব্যক্তির নিরাপত্তা ও স্বাধীনতাজনিত অধিকার লঙ্ঘন করা হলে তা ব্যক্তির ওপর অনধিকার প্রবেশ বলে গণ্য হয়। কোনো ব্যক্তির বৈধ মালিকানাধীন সম্পত্তির ওপর কেউ অবৈধভবে হস্তক্ষেপ করলে তা সম্পত্তির ওপর অনধিকার প্রবেশ বলে গণ্য হয়। অন ধিকার প্রবেশ দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় আইনেই অপরাধ। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি দেওয়ানি আদালতে ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করে অপরাধ করার অভিপ্রায়ে অথবা ভীতিপ্রদর্শন, অপমান অথবা বিরক্ত করার জন্য বেআইনিভাবে সেখানে অবস্থান করেন, তবে তিনি এই অপরাধ সংঘটন করেছেন বলে অভিহিত হবেন। দ-বিধির ৪৪৭ ধারা থেকে ৪৬০ ধারা পর্যন্ত অনধিকার প্রবেশের শাস্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে। যে ব্যক্তি অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ করেন, সেই ব্যক্তি তিন মাস পর্যন্ত কারাদ-ে দ-িত বা ৫০০ টাকা পর্যন্ত অর্থদ-ে বা উভয়বিধ দ-ে দ-িত হবেন। আবার উন্মুক্ত ক...

??? গ্রেপ্তার ও রিমান্ড ???

??? গ্রেপ্তার ও রিমান্ড ??? ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল মহামান্য উচ্চ আদালতের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো: হামিদুল হক ও বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ‘ব্লাস্ট বনাম বাংলাদেশ সরকার’ মামলায় এবং ২০০৩ সালের ৪ আগস্ট তৎকালীন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস কে সিনহা (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি শরিফউদ্দীন চাকলাদার ‘সাইফুজ্জামান বনাম বাংলাদেশ সরকার’ মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ এবং ১৬৭ ধারায় কোনো ব্যক্তিকে ‘গ্রেপ্তার করা ও রিমান্ডে নেয়ার’ বিষয়ে বেশকিছু নির্দেশনা ‘বাস্তবায়ন ও প্রয়োগের’ নির্দেশ দিয়েছিলেন। যা আজও যুগান্তকারী ও অত্যাধুনিক নির্দেশনা হিসাবেই আইন পাড়ায় সমাদৃত। তবে দুঃখের বিষয় হলো, আজ পর্যন্ত মাননীয় বিচারপতিদের সেই রায়টি সম্পর্কে সাধারণ মানুষ জানে না এবং আইনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মহামান্য উচ্চ আদালতের সেই যুগান্তকারী রায়টি সঠিকভাবে পালন করছেন না। রায়টি জনস্বার্থে উল্লেখ করা হলো - এই নির্দেশনাগুলোর আলোকে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটদের অবশ্যপালনীয় কর্তব্যগুলো নি¤œরূপ: ০১। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকাদেশ (ডিটেনশন) দেবার জন্য পুলিশ কোনো ব্যক্তিকেই ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার...

ফাইনাল রিপোর্ট বা চূড়ান্ত প্রতিবেদন কাকে বলে

ফাইনাল রিপোর্ট বা চূড়ান্ত প্রতিবেদন কাকে বলে ************************************ কোন মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ হবার পর, এজাহারে বর্নিত সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট অপরাধ সংঘটনের সাথে জড়িত থাকার তথ্য প্রমান অপর্যাপ্ত হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করেন। পুলিশ রেগুলেশন এক্ট অনুযায়ী এটিকে বলা হয় চূড়ান্ত প্রতিবেদন, যদিও ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৩ ধারায় শুধু পুলিশ রিপোর্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল এর প্রবিধান ২৭ ৫ অনুযায়ী চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাঁচ (৫) প্রকার। যেমনঃ ক) চূড়ান্ত রিপোর্ট সত্যঃ এক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে টিক কিন্ত কার দ্বারা সংঘটিত হয়েছে এ সম্পর্কে কোন সাক্ষ্য প্রমান পাওয়া যায়নি বা আসামীদের সম্পর্কে কোন তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। খ) চূড়ান্ত রিপোর্ট মিথ্যাঃ মুলত কোন অপরাধ সংঘটিত হয়নি। গ) চূড়ান্ত রিপোর্টে তথ্যের ভুলঃ এইখানে তথ্যগত ভুলের বিষয় উল্লেখ করা হয়। অর্থাৎ অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল একটি কিন্ত এজাহার দায়ের করা হয় অন্যটির। ঘ) চূড়ান্ত রিপোর্টে আইনের ভুলঃ মামলায় আইনগত ত্রুটি রয়েছে। ঙ) চূড়ান্ত রিপ...