Posts

Showing posts from 2015

সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার ও হিন্দু নারী:

সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার ও হিন্দু নারী: বাংলাদেশে হিন্দু নারীর বর্তমান সামাজিক-অর্থনৈতিক শোচনীয় অবস্থার কারণ ও প্রেক্ষাপট খুঁজতে হলে দেশে প্রচলিত উত্তরাধিকার আইন সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকা জরুরী। যেহেতু বাংলাদেশে দায়ভাগা আইন প্রচলিত, তাই উত্তরাধিকার অংশটি দায়ভাগা আইনের অধীনে আলোচনা করা হলো : উত্তরাধিকারীদের শ্রেণীবিভাগ দায়ভাগা মতে, উত্তরাধিকারীদের প্রধানত তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায় : ১. সপিণ্ড ২. সকুল্য ৩. সমানোদক। সপিণ্ড তত্ত্ব : সপিণ্ড মতবাদ হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের মূল ভিত্তি। হিন্দু আইনের প্রধান উৎস স্মৃতিশাস্ত্রে উল্লেখ আছে, যারা মৃত ব্যক্তির সপিণ্ড, তারা মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে। এই ‘সপিণ্ড’ শব্দটির অর্থ নিয়ে পরবর্তীকালে মিতা রক্ষা মতবাদের ভাষ্যকার বিজনেশ্বর ও দায়ভাগা মতবাদের ভাষ্যকার জীমূতবাহনের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা যায়। বিজনেশ্বরের মতে, ‘সপিণ্ড’ অর্থ যারা মৃত ব্যক্তির শরীর তথা রক্তের সঙ্গে সম্পর্কিত, তারাই মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশ অথবা উত্তরাধিকারী হবেন। পক্ষান্তরে, জীমূতবাহনের মতে, সপিণ্ডের অর্থ মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধে যারা শাস্ত্রমতে পিণ্ডদানের অধিকারী, তারাই ম...

বিভিন্ন ধরনের ফৌজদারী মামলা:

বিভিন্ন ধরনের ফৌজদারী মামলা: ফৌজদারী মামলাকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়, একটি আমলযোগ্য মামলা, অন্যটি আমল অযোগ্য মামলা। আবার আমলযোগ্য মামলাকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়, একটি জি আর বা পুলিশী মামলা অন্যটি সি আর বা নালিশী মামলা। ১) আমলযোগ্য মামলা: আইন মোতাবেক কিছু অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেফতার করতে পারে। এসব ক্ষেত্রে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে থাকেন। এসব অপরাধে যে মামলা হয় তাই আমলযোগ্য মামলা। ফৌজদারী কার্যবিধির ৪(১) উপধারায় ক্লজ চ-এ আমলযোগ্য মামলা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ২) আমল অযোগ্য মামলা: কিছু অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতার করতে পারে না। অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে প্রসিকিউশন রিপোর্ট বা নন-এফআইআর মামলা আদালতে দাখিল করে। এগুলো আমল অযোগ্য মামলা। এধরনের অপরাধের মামলা কোর্টের নন-জিআর রেজিস্টার ভুক্ত হয়ে পরিচালিত হয় হয় বলে এ মামলাকে নন-জিআর মামলা বলা হয়। ফৌজদারী কার্যবিধির ৪ (১) উপধারার ক্লজ ঢ-এ আমল অযোগ্য মামলা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ক. নালিশী বা সিআর মামলা: ম্যা...

সাধারণ ছুটি অথবা পাবলিক হলিডে

সাধারণ ছুটি অথবা পাবলিক হলিডে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি - ১ দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস, ১৭ মার্চ - ১ দিন স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ২৬ মার্চ - ১ দিন মে দিবস, পয়লা মে - ১ দিন *বুদ্ধ পূর্ণিমা (বৈশাখি পূর্ণিমা), ২১ মে - ১ দিন *জুমাতুল বিদা, ১ জুলাই - ১ দিন *ঈদুল ফিতর, ৬ জুলাই - ১ দিন জাতীয় শোক দিবস, ১৫ আগস্ট - ১ দিন শুভ জন্মাষ্টমী, ২৫ আগস্ট - ১ দিন *ঈদুল আজহা, ১২ সেপ্টেম্বর - ১ দিন দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১১ অক্টোবর - ১ দিন *ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.), ১২ ডিসেম্বর - ১ দিন বিজয় দিবস, ১৬ ডিসেম্বর - ১ দিন যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড় দিন), ২৫ ডিসেম্বর - ১ দিন মোট = ১৪ দিন। নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি নববর্ষ, ১৪ এপ্রিল - ১ দিন *শবেবরাত, ২৩ মে - ১ দিন *শবে কদর, ৩ জুলাই - ১ দিন *ঈদুল ফিতর (ঈদের পূর্বের ও পরের দিন), ৫ ও ৭ জুলাই - ২ দিন *ঈদুল আজহা (ঈদের পূর্বের ও পরের দিন), ১১ ও ১৩ সেপ্টেম্বর - ২ দিন *আশুরা, ১২ অক্টোবর - ১ দিন মোট= ৮ দিন। ঐচ্ছিক ছুটি (মুসলিম পর্ব) *ফাহেতা-ই-ইয়াজদাহম, ২২ জানুয়ারি - ১ দিন *শব-ই-মিরাজ, ৫ মে - ১ দিন *ঈদুল ফিতর (ঈদের পর...

আইন মেনে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায় ,না মানলে শাস্তি

আইন মেনে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায় ,না মানলে শাস্তি ............................................................ ............ কোনো কারণে জীবনের চক্রে আবার বিয়ে করার প্রয়োজন হলো। কিন্তু চাইলেই কি আপনি দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন? উত্তর হচ্ছে, আইন অনুযায়ী এক স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় আরেকটি বিয়ে করা যাবে না। তবে কারও যদি স্ত্রী বর্তমান থাকাকালে আরেকটি বিয়ে করার প্রয়োজন হয়, তাহলে তাঁকে তাঁর বর্তমান স্ত্রী যে এলাকায় বসবাস করছেন, সেই এলাকার সালিসি পরিষদের কাছে আরেকটি বিয়ে করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁকে প্রস্তাবিত বিয়ের কারণ এবং এই বিয়েতে বর্তমান স্ত্রীর সম্মতি রয়েছে কি না, তা উল্লেখ করতে হবে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা পৌরসভার মেয়র দুই পক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে সালিসি পরিষদ গঠন করে থাকেন।সালিসি পরিষদের লিখিত অনুমতি নিয়েই কেবল দ্বিতীয় বিয়ে করা যাবে। সালিসি পরিষদে যদি বর্তমান স্ত্রী অনুমতি প্রদান না করেন, তাহলে কোনোভাবেই দ্বিতীয় বিয়ে করা যাবে না। আবার সালিসি পরিষদকেও নির্দিষ্ট কিছু বিষয় বিবেচনা করে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি প্রদান করতে হবে। যেমন:...

জেনে নিন ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় পুলিশ কোন কাজ করতে পারে না

জেনে নিন ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় পুলিশ কোন কাজ করতে পারে না *********************************************************** বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে মুক্ত স্বাধীন জীবন যাপনের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকেরই আছে। এটি একটি মৌলিক অধিকারও বটে। কিন্তু এ দায়বদ্ধতা আমাদের সংবিধান আদৌ রক্ষা করতে পারছে না। যুগের পর যুগ শুধু ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তারের ক্ষমতা স্বেচ্ছাচারীভাবে প্রয়োগ হয়ে আসছে। এ অন্যায় গ্রেপ্তার ও আটকাদেশ সংবিধানের উল্লিখিত বিধানের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসঙ্গতিপূর্ণ। ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিকের নির্বিচারে গ্রেপ্তারের যে ক্ষমতা পুলিশের উপর অর্পণ করা হয়েছে, তা সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী, এর প্রয়োগও ব্যক্তি স্বাধীনতায় আঘাত হানার শামিল। আইনের ছাত্র হিসেবে যতদূর জানি, ব্রিটিশবিরোধী গণ-আন্দোলন থামাতেই ১৮৯৮ সালে ইংরেজরা সর্বপ্রথম এই আইন তৈরি করে। তারা ওই আইনের ৫৪ ধারা তৈরি করে লাখ লাখ মানুষকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করে। ইংরেজ উপনিবেশবিরোধী আন্দোলন প্রতিহত করতে এ ধারা ব্যবহার করা হয়েছিল...

চেক প্রতারণার মামলায় ৩ বার চেক ডিজঅনার করানোর ভুল পরামর্শ প্রসংগে

চেক প্রতারণার মামলায় ৩ বার চেক ডিজঅনার করানোর ভুল পরামর্শ প্রসংগে *********************************************************** নেগোশিয়েবল ইনষ্ট্রুমেন্ট এ্যাক্ট এর বিধান মতে চেক ডিজঅনারের মামলা দায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কিছু না কিছু ধারনা থাকা উচিত। কেননা এ আইনে মামলা দায়েরের পদ্ধতি একটু ভিন্ন প্রকৃতির। দৈনন্দিন জীবনে চেকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। চেক প্রতারণার ঘটনাও উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি চেকের মেয়াদ কতদিন, তা কতবার নগদায়নের জন্য উপস্থাপন করতে হয়, তা ডিজঅনার হওয়ার কতদিনের মধ্যে নোটিশ দিতে হয় কিংবা মামলা করতে হয় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় অনেকেই প্রতারকের হাতে কষ্টার্জিত অর্থ হারিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকছেন। আমাদের দেশে সার্বজনীন আইন শিক্ষা না থাকায় আইন অজ্ঞতা হেতু আমরা প্রতিনিয়ত ঠক্ছি, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। অথচ আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আইন আছে। তার সঠিক প্রয়োগের অভাবে অনেকেই নিঃস্ব হচ্ছেন। অনেকে লেনদেনের ক্ষেত্রে নগদ টাকা দিয়ে চেক ফেরৎ নেন না। কিংবা চেক হারিয়ে গেলে/ নষ্ট হলে থানায় জি,ডি ও ব্যাংকে ষ্টপ পেমেন্ট ইত্যাদি করেন ...

'অনধিকার প্রবেশ' একটি অপরাধসঙ্কলন:

'অনধিকার প্রবেশ' একটি অপরাধসঙ্কলন: ******************************* অপরের শরীর বা সম্পত্তির ওপর করা একটি বেআইনি কাজ, বিশেষত অপরের ভূসম্পত্তিতে অবৈধ প্রবেশ। অনধিকার প্রবেশ দুই ধরনের হতে পারে_ ১. ব্যক্তির ওপর অনধিকার প্রবেশ এবং সম্পত্তির ওপর অনধিকার প্রবেশ। কোনো ব্যক্তির নিরাপত্তা ও স্বাধীনতাজনিত অধিকার লঙ্ঘন করা হলে তা ব্যক্তির ওপর অনধিকার প্রবেশ বলে গণ্য হয়। কোনো ব্যক্তির বৈধ মালিকানাধীন সম্পত্তির ওপর কেউ অবৈধভবে হস্তক্ষেপ করলে তা সম্পত্তির ওপর অনধিকার প্রবেশ বলে গণ্য হয়। অন ধিকার প্রবেশ দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় আইনেই অপরাধ। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি দেওয়ানি আদালতে ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করে অপরাধ করার অভিপ্রায়ে অথবা ভীতিপ্রদর্শন, অপমান অথবা বিরক্ত করার জন্য বেআইনিভাবে সেখানে অবস্থান করেন, তবে তিনি এই অপরাধ সংঘটন করেছেন বলে অভিহিত হবেন। দ-বিধির ৪৪৭ ধারা থেকে ৪৬০ ধারা পর্যন্ত অনধিকার প্রবেশের শাস্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে। যে ব্যক্তি অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ করেন, সেই ব্যক্তি তিন মাস পর্যন্ত কারাদ-ে দ-িত বা ৫০০ টাকা পর্যন্ত অর্থদ-ে বা উভয়বিধ দ-ে দ-িত হবেন। আবার উন্মুক্ত ক...

??? গ্রেপ্তার ও রিমান্ড ???

??? গ্রেপ্তার ও রিমান্ড ??? ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল মহামান্য উচ্চ আদালতের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো: হামিদুল হক ও বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ‘ব্লাস্ট বনাম বাংলাদেশ সরকার’ মামলায় এবং ২০০৩ সালের ৪ আগস্ট তৎকালীন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস কে সিনহা (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি শরিফউদ্দীন চাকলাদার ‘সাইফুজ্জামান বনাম বাংলাদেশ সরকার’ মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ এবং ১৬৭ ধারায় কোনো ব্যক্তিকে ‘গ্রেপ্তার করা ও রিমান্ডে নেয়ার’ বিষয়ে বেশকিছু নির্দেশনা ‘বাস্তবায়ন ও প্রয়োগের’ নির্দেশ দিয়েছিলেন। যা আজও যুগান্তকারী ও অত্যাধুনিক নির্দেশনা হিসাবেই আইন পাড়ায় সমাদৃত। তবে দুঃখের বিষয় হলো, আজ পর্যন্ত মাননীয় বিচারপতিদের সেই রায়টি সম্পর্কে সাধারণ মানুষ জানে না এবং আইনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মহামান্য উচ্চ আদালতের সেই যুগান্তকারী রায়টি সঠিকভাবে পালন করছেন না। রায়টি জনস্বার্থে উল্লেখ করা হলো - এই নির্দেশনাগুলোর আলোকে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটদের অবশ্যপালনীয় কর্তব্যগুলো নি¤œরূপ: ০১। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকাদেশ (ডিটেনশন) দেবার জন্য পুলিশ কোনো ব্যক্তিকেই ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার...

ফাইনাল রিপোর্ট বা চূড়ান্ত প্রতিবেদন কাকে বলে

ফাইনাল রিপোর্ট বা চূড়ান্ত প্রতিবেদন কাকে বলে ************************************ কোন মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ হবার পর, এজাহারে বর্নিত সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট অপরাধ সংঘটনের সাথে জড়িত থাকার তথ্য প্রমান অপর্যাপ্ত হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করেন। পুলিশ রেগুলেশন এক্ট অনুযায়ী এটিকে বলা হয় চূড়ান্ত প্রতিবেদন, যদিও ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৩ ধারায় শুধু পুলিশ রিপোর্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল এর প্রবিধান ২৭ ৫ অনুযায়ী চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাঁচ (৫) প্রকার। যেমনঃ ক) চূড়ান্ত রিপোর্ট সত্যঃ এক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে টিক কিন্ত কার দ্বারা সংঘটিত হয়েছে এ সম্পর্কে কোন সাক্ষ্য প্রমান পাওয়া যায়নি বা আসামীদের সম্পর্কে কোন তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। খ) চূড়ান্ত রিপোর্ট মিথ্যাঃ মুলত কোন অপরাধ সংঘটিত হয়নি। গ) চূড়ান্ত রিপোর্টে তথ্যের ভুলঃ এইখানে তথ্যগত ভুলের বিষয় উল্লেখ করা হয়। অর্থাৎ অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল একটি কিন্ত এজাহার দায়ের করা হয় অন্যটির। ঘ) চূড়ান্ত রিপোর্টে আইনের ভুলঃ মামলায় আইনগত ত্রুটি রয়েছে। ঙ) চূড়ান্ত রিপ...

মুসলিম বিবাহ আইন (শরিয়ত) সম্পর্কে কিছু তথ্য

Image
মুসলিম বিবাহ আইন (শরিয়ত) সম্পর্কে কিছু তথ্য ভারতবর্ষে মুসলিম আইন সৃষ্টি হয়েছে মূলতঃ কোরানের নির্দেশ থেকে। তবে নির্দেশগুলি সংশোধিত হয়েছে বিধানসভা ও লোকসভায় গৃহীত বিল এবং কোর্টের বিভিন্ন রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে। মুসলিম আইন (শরিয়ত) অনুসারে বিবাহ বা নিকা হল পরস্পরের উপভোগের জন্য এবং বৈধ সন্তান উত্পাদনের জন্য স্বেচ্ছায় চুক্তিবদ্ধ হওয়া। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল: মুসলিম বিবাহ হতে গেলে এক পক্ষ থেকে বিবাহের প্রস্তাব (ইজাব) আসতে হবে এবং অন্য পক্ষকে তাতে সন্মতি (কবুল) জানাতে হবে। সন্মতি ছাড়া বিবাহ বৈধ হবে না এবং এই সন্মতি কোনও শর্ত-সাপেক্ষ হওয়া চলবে না। উপরোন্তু এই সন্মতি আদায় করার জন্য কোনও রকম চাপ সৃষ্টি, মিথ্যার প্রশ্রয় নেওয়া বা কোনোরূপ প্রভাব খাটানো চলবে না। একই বৈঠকে প্রস্তাব ও সন্মতিদান সম্পন্ন করতে হবে এবং এগুলি করতে হবে সুস্পষ্টভাবে উচ্চারণ করে। সাক্ষী থাকবে দুই জন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুই জন নারী (সুন্নি আইন অনুসারে)। নারীসাক্ষীদের ক্ষেত্রে সাক্ষীদের হতে হবে প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমনা ও মুসলিম। শিয়া আইনে বিবাহের সময় সাক্ষীর প্রয়োজনীয়তা নেই। মুসলিম বিবাহ আইনে নাবালক ও অসুস্থমনা ব্যক্...

কোর্ট ম্যারেজ ও প্রাসঙ্গিক আইন:-) কাবিন রেজিষ্ট্রীর পরিবর্তে কোর্টম্যারেজ অধিকতর শক্তিশালী এ ভুল ধারণার ফাঁদে পড়ে

কোর্ট ম্যারেজ ও প্রাসঙ্গিক আইন:-) কাবিন রেজিষ্ট্রীর পরিবর্তে কোর্টম্যারেজ অধিকতর শক্তিশালী এ ভুল ধারণার ফাঁদে পড়ে অনেক নারী কোর্ট ম্যারেজ করে তাদের দাম্পত্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আইনের ছদ্মাবরণে একশ্রেণীর নোটারী পাবলিক এ অবৈধ কাজে সহায়তা করে চলেছেন। অথচ বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ‘কোর্ট ম্যারেজ’ এর কোন বৈধতা নেই, এর কোন অস্তিত্বও নেই। ৫০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে কিংবা ১৫০/-টাকার নন- জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয়ে গিয়ে হলফনামা করাকে বিয়ে বলে অভিহিত করা হয়। অথচ এ্যাফিডেভিট বা হলফনামা শুধুই একটি ঘোষণাপত্র। আইনানুযায়ী কাবিন রেজিষ্ট্রী সম্পন্ন করেই কেবল ঘোষণার জন্য এফিডেভিট করা যাবে। কিন্তু এ নিয়ম মানা হয় না। মুসলিম বিবাহ ও বিচ্ছেদ বিধি ১৯৭৫ এর ১৯(৩) ধারা অনুযায়ী ‘নিকাহ রেজিষ্ট্রার ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি যদি বিবাহ করান তাহলে সেই ব্যক্তি ১৫ দিনের মধ্যে ওই নিকাহ রেজিষ্ট্রারের নিকট অবহিত করবেন, যার এলাকায় উক্ত বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।’ মুসলিম বিবাহ ও বিচ্ছেদ আইন ১৯৭৪-এর ধারা ৫ (২) অনুযায়ী বিবাহ ...

আগাম জামিন কিভাবে পেতে হয়?

আগাম জামিন কিভাবে পেতে হয়? উওর: আগাম জামিন পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে আদালতের সামনে প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি সরকারের বিরাগভাজন হয়ে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করছেন। তাঁকে দেখাতে হবে যে, রাষ্ট্রপক্ষ অসৎ উদ্দেশ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চায় এবং এতে করে তাঁর সুনাম এবং স্বাধীনতায় অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে। পিএলডি ১৯৮৩ সালের একটি মামলায় বলা হয়েছে, পুলিশ যে তাঁকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে গ্রেপ্তার করতে চাইছে, আদালতের সামনে তা প্রমাণ করতে হবে। ১৯৮৫ সালের নথিভুক্ত একটি মামলায় আপিল বিভাগের পূর্ণ বেঞ্চের এক সিদ্ধান্তে বলা হয়, কাউকে খাটো করার উদ্দেশ্যে বিদ্বেষমূলক মামলায় জড়ানোর আশঙ্কা থাকলে একজন ব্যক্তি আগাম জামিন পেতে পারেন। তবে আসামি যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারেন এবং আদালতের নির্দেশমাত্র হাজির হতে পারে, আগাম জামিন মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

GENERAL DIARY FORMAT

To The Officer-in-Charge Tejgaon Police Station, D.M.P., Dhaka. Subject: About making a G.D. to the relation of passport Missing. Dear Sir, I beg most respectfully to inform you that I am Md. Abdullah-Al-Mamun, Permanent Address: Vill- Sujalpur, Post Office- Birganj, Police Station- Birganj, Dist.- Dinajpur. Present Address: 27/1 (2 nd  Floor 4F4), Dilu Road, New Eskaton (Ramna Police Station), Dhaka-1000. I am informing in this connection that on the last dated 17/04/06 at about 10.00 AM, I was coming to Farmgate area from my residence and in that period, my passport (No. W 0681216) was missed. I was then began to search out of it, but I did not get it any more even after a long searching it. Therefore, I hope and pray that you will be kind enough to attend the matter and will be made a Diary under your police Station for my future purpose and oblige thereby.          The Humble Applicant ...

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ 57

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬  ৫৭৷ (১) কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে  এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷  (২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি ১[ অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে] এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷  ৫৪৷ (১) যদি কোন ব্যক্তি কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মালিক বা জিম্মাদারের অনুমতি ব্যতিরেকে-  (ক) উহার ফাইলে রতিগত তথ্য বিনষ্ট করিবার বা ফাইল হইতে তথ্য উদ্ধার বা সংগ্রহ করিবার উদ্দেশ্যে উক্ত কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্...

মটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ মোতাবেক ট্রাফিক আইন অমান্য করিলে কি কি শাস্তি ও জরিমানা হয় তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ

মটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ মোতাবেক ট্রাফিক আইন অমান্য করিলে কি কি শাস্তি ও জরিমানা হয় তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ২   ধারা-১৩৭: মোতাবেক যদি কোন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ী চালায়,গাড়ীতে মেটালিক নাম্বার প্লেট ব্যবহার করে,ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়,নাম্বার প্লেট অস্পষ্ট,বাম্পার দ্বারা নাম্বার প্লেট আবৃত থাকে এবং রং পার্কিং করে; তাহলে উক্ত দ্বারা মোতাবেক ড্রাইভার বা মালিকের ২০০/-টাকা জরিমানা হবে। ধারা-১৩৯: এ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোন গাড়ীতে হাইড্রোলিক হর্ণ সংযোজিত পাওয়া গেল-উক্ত দ্বারা মোতাবেক ১০০/-টাকা জরিমানা করা হবে। ধারা-১৪০: এ ধারায় বলা হয়েছে যে,নিষিদ্ধ স্থানে হর্ণ বাজাইলে,ট্রাফিক নির্দেশাবলী অমান্য করিলে,বাঁধা সৃষ্টি ও তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানাইলে,ট্রাফিক সংকেত অমান্য করিলে, ওয়ান-ওয়ে অমান্য করিলে,নিষিদ্ধ ইউটার্ণ করিলে,নিষিদ্ধ সময়ে যানবাহন চলাচল করিলে-উক্ত দ্বারা মোতাবেক ২৫০/-টাকা জরিমানা করা হবে। ধারা-১৪২: এ ধারায় বলা হয়েছে আইনানুগ সর্ব্বোচ্চ গতিসীমা লংগন করিলে-জরিমানা হবে ৩০০/-টাকা মাত্র । ধারা-১৪৬: এ ধারায় বলা হয়েছে যে, দূর্ঘটনা সংক্রান্ত অপরাধ করিল...

অগ্র-ক্রয় বা Preemption

অগ্র-ক্রয় বা Preemption প্রি-এ্যামশন: আপনার পাশের জমির মালিক যদি আপনাকে না জানিয়ে জমিটি বিক্রি করে ফেলে তবে আপনি প্রি এ্যামশন বা অগ্রক্রয়ের অধিকারবলে ঐ জমাটি পুনরায় ক্রয় করে নিতে পারবেন । অগ্রক্রয় শব্দটির মানে হচ্ছে কোন সম্পত্তি ক্রয় করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার । আপনি অগ্রক্রয়ের অধিকারযোগ্য হবেন যখন….. 1. আপনার পাশের জমিটি আপনার অগোচরে বিক্রি হয়ে গেছে । 2. জমি বিক্রেতা যদি আপনার উত্তরাধীকারসূত্রে সহ অংশীদার হয় । আপনাকে এজন্য কোর্টে application করতে হবে….. 1. কৃষি জমির ক্ষেত্রে জমি বিক্রয়ের রেজিস্ট্রেশনের তারিখ হতে ৩ বছরের মধ্যে । 2. অকৃষি বা বসত ভিটা জমির ক্ষেত্রে এমন সময়ের কোন সীমাবদ্ধতা নেই । তবে যখন দাবি করতে যাবেন তখন প্রমান করতে হবে জমি বিক্রয়ের ব্যাপারটি আপনি এতদিন ধরে জানতেন না । application এর সথে কোর্টে জমা দিতে হবে….. কৃষি জমির জন্য: (SAT Act-1950, sec-96) * জমি বিক্রয়ের সমপরিমান অর্থ * ২৫% ক্ষতিপূরন (জমি মূল্যের উপর) * ৮% হারে বার্ষিক হার সুদ (জমি মূল্যের উপর) * জমিতে কোন উন্নয়ন বাবদ কোন খরচ করা হলে তার ব্যয় । অকৃষি জমির জন্য: (NAT Act-1949, sec-24) * জমি বিক্রয়ের ...

পোষা প্রাণীর ক্ষেত্রে সাবধানতা

পোষা প্রাণীর ক্ষেত্রে সাবধানতা অনেকে শখ করে বাড়িতেকুকুর পোষেণ। কুকুর যাতে মানুষকে কামড়াতে না পারে সে বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে কুকুরের মালিক বাধ্য । একইভাবে গরু, ঘোড়া, শূকর, বিড়ালসহ যে কোন প্রাণী যারা পোষেণ তাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার পোষা প্রাণী অন্যের বিপদের কারণ না হয়। এ ক্ষেত্রে যে কোন প্রকার অবহেলা দন্ডবিধি অনুসারে অপরাধ বলে গণ্য হবে। দন্ডবিধির ২৮৯ ধারা অনুসারে যে ব্যক্তি জ্ঞাতসারে বা অবহেলা করে তার দখলভূক্ত কোন প্রাণী সম্পর্কে – সেই প্রাণী হতে উদ্ভূত মানুষের জীবনের প্রতি কোন সম্ভাব্য বিপদের বা কোন সম্ভাব্য গুরুতর আঘাতের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বনের জন্য প্রয়োজনীয় আদেশ পালনে ত্রুটি করে সেই ব্যক্তি প্রাণী সম্পর্কে তাচ্ছিল্যপূর্ণ আচরণের অপরাধে অপরাধী হবে। এ অপরাধের শাস্তি ৬ মাস পর্যন্ত কারাদন্ড হতে পারে বা অর্থদন্ড যার পরিমাণ এক হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে বা উভয়বিধ দন্ডহতে পারে। এ ধারায় অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত করতে হলে নিম্নলিখিত তথ্যাবলী প্রমাণ করতে হয়ঃ ১। কোন প্রাণী অভিযুক্ত ব্যক্তির দখলে ছিল। ২। মানুষের জীবনের সম্ভাব্য বিপদ বা গুরুতর আঘাত উক্ত প্রাণী দ্বারা যাতে না...

অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (Temporary Injunction) কাকে বলে ?

অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (Temporary Injunction) কাকে বলে ? ১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫৩ ধারায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার (টেমপোরারি ইনজাংশন) সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, এটি এমন একধরনের নিরোধ, যা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অথবা আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকে। মামলার যে কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা যায় এবং দেওয়ানি কার্যবিধি দিয়ে তা নিয়ন্ত্রিত হয়। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজনীয়তা কোন জায়গায়? আইনের লিস পেনডেন্স নীতি অনুসারে, যাতে করে আদালতের ডিক্রি বা আদেশ ক্ষুণ্ন না হয়, সে জন্য সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৫২ ধারা অনুসারে বিচারাধীন মামলার সম্পত্তি আদালতের অনুমতি ছাড়া হস্তান্তর করা নিষিদ্ধ। এখন কেউ যদি অসদুদ্দেশ্যে বিচারাধীন কোনো সম্পত্তি হস্তান্তর করতে উদ্যোগী হয়, সে ক্ষেত্রে অস্থায় নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন পড়ে। দেওয়ানি কার্যবিধির ৩৯ নাম্বার আদেশের ১ নাম্বার নিয়মানুসারে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়ে থাকে। ওই নিয়মে বলা হয়েছে, যেসব ক্ষেত্রে মামলার এফিডেভিটের মাধ্যমে বা অন্য কোনোভাবে প্রমাণিত হয় যে মামলায় জড়িত বিরোধভুক্ত কোনো সম্পত্তি মামলার কোনো পক্ষ ...