Posts

Showing posts from June, 2014

ফৌজদারি কার্যবিধির ৫২

ফৌজদারি কার্যবিধির ৫২ ধারা অনুযায়ী মহিলাদের দেহ তল্লাশির সময় নিন্মে লিখিত বিষয় খুব সতর্কতার সহিত পালন করতে হবে:- ১) মহিলাদের দেহ তল্লাশি মহিলা পুলিশ দিয়ে করাতে হবে; পুরুষের এ অধিকার নেই। ২) দেহ তল্লাশির সময় সব শালীনতা রক্ষা করতে হবে। সে সময় কোন পুরুষ লোক সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবে না। ৩) মহিলা পুলিশ না থাকলে স্থানীয় কোন মহিলাকে দিয়ে করাতে হবে।

এসিড দ্বারা আহত করার শাস্তি

এসিড দ্বারা আহত করার শাস্তি যদি কোন ব্যক্তি কোন এসিড দ্বারা অন্য কোন ব্যক্তিকে এমনভাবে আহত করেন যাহার ফলে তাহার- (ক) দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নষ্ট হয় বা মুখমন্ডল, স্তন বাযৌনাংগ বিকৃত বা নষ্ট হয় তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকার অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন; (খ) শরীরের অন্য কোন অংগ, গ্রন্থি বা অংশ বিকৃত বা নষ্ট হয় বা শরীরের কোন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন তাহাহইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক চৌদ্দ বত্সর কিন্তু অন্যূন সাত বত্সরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ হাজার টাকার অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন। (এসিড অপরাধ দমন আইন ২০০০,ধারা ৫)

অপহরণ কি ?

অপহরণ কি ? সাধারণভাবে অপহরণ হলো কোন ব্যক্তিকে জোর করে ধরে একস্থান থেকে অন্যস্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া। দন্ডবিধির ৩৬২ ধারায় বলা হয়েছে- যে ব্যক্তি কোন ব্যক্তিকে কোন স্থান হতে গমন করার জন্য জোরপূর্বক বাধ্য করে বা কোন প্রতারণামূলক উপায়ে প্রলুব্ধ করে, সেই ব্যক্তি উক্ত ব্যক্তিকে অপহরণ করে বলে গণ্য হবে। সাধারণত শিশুরাই অপহরণের শিকার বেশি হয় তবে যে কোন বয়সের মানুষ-ই অপহরণের শিকার হতে পারে। নারী বা শিশু অপহরণের অপরাধ সংগঠিত হলে তা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) অনুযায়ী সংগঠিত হবে।

অশালীন আচরণ কি?

অশালীন আচরণ কি? দন্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় - 'কোনো নারীর শালীনতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে আক্রমন ও তার প্রতি অপরাধমূলক বল প্রয়োগ-ই হচ্ছে অশালীন আচরন৷ সাধারণভাবে বলা যায়, আমাদের সামাজিক রীতিনীতি কিংবা আচার-আচরণের সঙ্গে মানানসই নয়, এমন যে- কোনো ব্যবহার বা আচরণই অশালীন আচরন। স্কুল- কলেজগামী ছাত্রী অথবা কর্মজীবী নারী যে কেউ প্রায়ই বখাটে পুরুষদের দ্বারা লাঞ্ছিত হন। দন্ডবিধি অনুসারে শাস্তি: ৩৫৪ ধারায় বলা আছে - কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নারীর শালীনতা ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে বা শালীনতা ক্ষুণ্ন হতে পারে জেনেও উক্ত নারীকে আক্রমণ করে অথবা তার উপর অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করে তবে সেই ব্যক্তি তার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।

** যে অপরাধের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড! মৃত্যুদন্ড ব্যতীত আর কোন শাস্তির বিধান নেই!! **

** যে অপরাধের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড! মৃত্যুদন্ড ব্যতীত আর কোন শাস্তির বিধান নেই!! ** দন্ডবিধির ৩০৩ ধারায় বলা আছে ‘‘যে ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হইয়া খুন করে, সেই ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হইবে’। অর্থাৎ যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত ব্যক্তি খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে মৃত্যুদন্ড ছাড়া আর কোন শাস্তিই দেয়া যায় না । এই ধারায় অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত করতে হলে নিম্নলিখিত তথ্যাবলী প্রমাণ করতে হয়: ১। যে কোন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল ২। উক্ত মৃত্যু অভিযুক্ত ব্যক্তির কাজের ফলে হয়েছিল ৩। মৃত্যু ঘটাবার অভিপ্রায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি কাজ করেছেন ৪। অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ করার সময় যাবজ্জীবন কারাদন্ডের দন্ড ভোগ করছিলেন দন্ডবিধির ৩০৩ ধারা ব্যতীত অন্যান্য ধারায় মৃত্যুদন্ডের বিধান থাকলেও তা বাধ্যতামূলক নয়। তাছাড়া দন্ডবিধির প্রায় সব কয়টি ধারায়-ই প্রত্যেকটি অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ অন্যান্য শাস্তির বিধান রয়েছে যেমনঃ মৃত্যুদন্ড বিধানের পাশাপাশি যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, জরিমানা বা উভয় দন্ড ইত্যাদি। কিন্তু ৩০৩ ধারা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম যার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড!

ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৬ ধারা মতে গ্রেফতারের পদ্ধতিঃ

ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৬ ধারা মতে গ্রেফতারের পদ্ধতিঃ (১) যাকে গ্রেফতার করা হবে তাকে গ্রেফতারের কারণ জানাতে হবে। সে কথা বা কার্য দ্বারা গ্রেফতার মেনে না নিলে তার দেহ স্পর্শ বা আটক করে গ্রেফতার কার্যকর করতে হবে। (২) কোন অপরাধীকে গ্রেফতার কালে সে যদি বাধা দেয় অথবা গ্রেফতার এড়ানোর চেষ্টা করে তাহলে পুলিশ অফিসার বা অন্য যে ব্যক্তি গ্রেফতার কার্যকর করছেন তিনি, গ্রেফতার কার্যকরী করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কৌশল ব্যবহার করতে পারবেন। (৩) এই ধারায় এমন কোন অধিকার দেয়া হয়নি যে, মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধ করেননি এমন কোন ব্যক্তির গ্রেফতার কার্যকর করার জন্য তার মৃত্যু ঘটানো যাবে না।

খাস জমি বাস্তুভিটার জন্য বরাদ্দ দেওয়াঃ

খাস জমি বাস্তুভিটার জন্য বরাদ্দ দেওয়াঃ আমাদের আসেপাশে আমরা মাঝে মাঝে বিভিন্ন ব্যক্তিমালিকানাবিহীন জমি দেখতে পাই যা খাস জমি হিসেবে পরিচিত। এর মূল মালিক সরকার। এ জাতীয় জমি বরাদ্দ করার সময় সরকার ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৭ ধারা অনুসরণ করে থাকে। এই ধারা অনুযায়ীঃ (১) পল্লী এলাকায় বাস্তু হিসাবে ব্যবহৃত হওয়ার উপযুক্ত কোনো খাস জমি পাওয়া গেলে সরকার উক্ত জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার সময় ভূমিহীন কৃষক ও শ্রমিকদের অগ্রাধিকার প্রদান করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তিকেই উপরোক্ত উদ্দেশ্যে  পাঁচ কাঠার অধিক অনুরূপ কোনো জমি বরাদ্দ করা হবে না। (২) (১) উপধারার অধীনে বন্দোবস্তী কোনো জমি উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্য হইবে, কিন্তু হস্তান্তরযোগ্য হবে না।

হুমকি দিলে কী করবেন?

হুমকি দিলে কী করবেন? কোনো শত্রুপক্ষ বা যে কেউ বিনা কারণে আপনাকে উৎপাত করছেন বা হুমকি দিচ্ছেন। জমি দখলের চেষ্টা, ভয়ভীতি দেখানো কিংবা রাস্তায় বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন। তখন কী করবেন আপনি? এ অবস্থা থেকে বাঁচার উপায় আছে আইনে। এ আইনটি হলো ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭ ধারা। তবে আদালতে যাওয়ার আগে একটি সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করে রাখতে পারেন নিকটস্থ থানায়। অনেক সময় অভিযোগটি গুরুতর হলে পুলিশ এ জিডি থেকেই নন-প্রসিকিউশন প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নি তে পারেন। ১০৭ ধারায় মামলা রুজু করে প্রতিপক্ষকে কিংবা দায়ী ব্যক্তিকে শান্তি বজায় রাখার জন্য বন্ড বা মুচলেকা সম্পাদনের জন্য বাধ্য করা যায়। এ ধরনের মামলা করতে হয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। ১০৭ ধারায় আশ্রয় নিলে আদালত প্রাথমিক শুনানিতে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেলে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুচলেকা সম্পাদনের জন্য আদেশ দেবেন। তখন দায়ী ব্যক্তিকে আদালতে হাজির হয়ে মুচলেকা সম্পাদন করতে হবে। মুচলেকায় বলতে হবে ভবিষ্যতে তিনি আর কোনো ধরনের উৎপাত করবেন না এবং ভয়ভীতি দেখাবেন না।

মানহানি মামলা কী?

মানহানি মামলা কী? মানহানি এমন এক ধরনের ধরনের অপরাধ, যেটি ফৌজদারি ও দেওয়ানি উভয় প্রকারেরই হতে পারে। ফৌজদারি আদালতে মানহানি মামলা হউয়ার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে, সে কারা কিংবা অর্থদন্ডে দন্ন্ডিত হন। পক্ষান্তরে, দেওয়ানি আদালতে মামলা হলে এবং সেই মামলায় বাদি জয়ী হলে বিবাদী থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ আদায় করতে পারেন। বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারা অনুসারে যে ব্যক্তি মানহানির উদ্দেশ্যে বা মানহানিকর জেনে বা পাঠের জন্য উদ্দেশ্যমূলক শব্দাবলি বা চিহ্নাদি বা দৃশ্যমান কল্পস্মৃতির সাহায্যে কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে এমনভাবে কোনো নিন্দাবাদ প্রণয়ন বা প্রকাশ করে যে, সেই নিন্দাবাদ উক্ত ব্যক্তির সুনাম নষ্ট করবে, সেই ব্যক্তি কিছু ব্যতিক্রম অবস্থা ছাড়া উক্ত ব্যক্তির মানহানি করেছে বলে ধরা হবে। বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মানহানির শাস্তি বর্ণনায় বলা হয়েছে, এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে দুই বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয়বিধ দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে।