ভালো বক্তার দশ গুণ
ভালো বক্তার দশ গুণ
দলকে মোটিভেটেড রাখার জন্য ভালো বক্তা হওয়া কেন দরকার?
এটা খুবই স্বাভাবিক যে দলের সব সদস্যই সব সময় উৎসাহী ও উজ্জীবিত থাকেন না। একজন প্রাণবন্ত ও উদ্দীপ্ত সদস্য যেমন অন্যদেরও প্রভাবিত করেন তেমনি একজন হতাশ সদস্যও আরো অনেককে নেতিবাচক করে তোলেন। ফলে দলনেতা, ব্যবস্থাপক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখা দরকার, যাতে দলের কেউ বিষণ্নতায় না ভোগেন, ঝিমিয়ে না পড়েন। কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত সমস্যা বা যেকোনো কারণেই হোক না কেন তার এই ম্লান উপস্থিতি দূর করতে এগিয়ে আসা উচিত। আর এ জন্য প্রয়োজন তার সমস্যা বুঝে তাকে উপযু্ক্ত বাক্য ব্যবহারে আবারও প্রাণবন্ত করে তোলা। আর একজন ভালো বক্তাই পারেন পরিস্থিতি বুঝে বক্তব্য সাজাতে, যা তাকে আবারও আশার আলো দেখাবে, তাকে করে তুলবে উচ্ছল ও কর্মচঞ্চল।
ভালো বক্তার দশ গুণ
এক.
একজন ভালো বক্তার কমনসেন্স থাকতে হবে সবার আগে। শুনতে খুব সাধারণ মনে হতে পারে। একটু ভালো করে চারপাশে তাকালেই বুঝবেন এই গুণ যত সহজ মনে করেছেন, আসলে ততটা সহজ নয়। কমনসেন্স খাটিয়ে পারিপার্শ্বিক অবস্থা বুঝে নিজের অবস্থান ও বক্তব্য ঠিক করা একজন চৌকস ব্যক্তির পক্ষেই সম্ভব।
দুই.
ভালো বক্তার থাকতে হবে অত্যন্ত সমৃদ্ধ শব্দভাণ্ডার। এবং এসব শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে আদর্শ বাক্য তৈরির কৌশল থাকতে হবে তার করায়ত্তে। কিছু কিছু পরিস্থিতিতে আপনি হয়তো সময় পাবেন এসব বাক্য রচনার, তাকে নিয়ে ভাবার বা চর্চা করার কিন্তু অধিকাংশ সময়ই আপনাকে হতে হবে তাৎক্ষণিক। উপস্থিত বুদ্ধি ও ক্ষিপ্রতা কাজে লাগিয়ে বাক্যের পর বাক্য সাজিয়ে আপনার বক্তব্যকে করে তুলতে হবে হৃদয়গ্রাহী, মনোমুঙ্কর ও প্রাণবন্ত। যেন মন্ত্রবাণী পাঠ করছেন কেউ।
তিন.
অনবরত চর্চা করে যেতে হবে। চর্চা থাকতে হবে। যেন তিনি মনে না করেন, তিনি ইতিমধ্যেই শ্রেষ্ঠ বক্তার আসনে বসে আছেন। তিনি আরো এগিয়ে যেতে পারবেন, যদি মনে করেন তার যাওয়ার আরো অনেকটাই বাকি। একজন ভালো বক্তা একটি বক্তব্যের উপস্থাপনে অনেক সতর্ক থাকেন। চর্চাই তার প্রমাণ। চর্চাই তাকে নিখুঁত করে।
চার.
পড়াশোনা। শুধুই কি তার বিভাগীয় বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে? না, আরো অনেক বিষয়েই হতে হবে জ্ঞানপিপাসু হতে হবে। তবে প্রাসঙ্গিক বিষয়ের ওপর গুরুত্ব বরাবরই বেশি থাকতে হবে। পাশাপাশি সমাজ, সংস্কৃতি, দেশ, ইতিহাস, বিজ্ঞান, খেলাধুলা, রাজনীতি, সাহিত্য সব বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞাত থাকতে হবে। তবেই বক্তব্য হয়ে উঠবে তথ্যবহুল, আকর্ষণীয় ও প্রাণবন্ত।
পাঁচ.
হাস্যরস কিংবা বাক্য গঠনে চমক থাকা চাই। বক্তা যতই ভালো হোন না কেন, হাস্যরস কিংবা বাক্য গঠনে চমক ছাড়া বেশিক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন। শ্রোতা চান বৈচিত্র্য। একঘেয়েমি কাটানোর জন্য এটা একটা দারুণ পথ। অনেক বক্তা তাই সময় পেলেই ছোট ছোট ঘটনা, গল্প, উদারহণ সঞ্চয় করে রাখেন, যথাসময়ে যথাস্থানে ব্যবহার করবেন বলে। যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যথা সময়ে গল্পগুলো আর মনে আসে না। তাই প্রয়োজন চর্চা ও মনঃসংযোগ। রসবোধ আপনাকে অতিদ্রুত ভালো বক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় করে তুলবে।
ছয়.
পরিমিতিবোধ এক ভালো বক্তার আরেকটি দুর্দান্ত গুণ। কোথায় শুরু করে, কখন, কিভাবে এবং কোথায় থামতে হবে তা তাকে বুঝতেই হবে। সময়জ্ঞান এবং একটি বক্তব্যকে উপস্থাপনের জন্য পরিমিত বাক্যচয়ন খুবই জরুরি। বক্তব্যের শুরুতেই ধারণা করার চেষ্টা করতে হবে তিনি কোথায় গিয়ে থামবেন। অবিরাম কথা বলতে পারার ক্ষমতাকে কেউ ভালো গুণ মনে করবেন না। অনেক ক্ষেত্রে এটি একজন ভালো বক্তার সব ভালো গুণকে শুধু ম্লানই করে তোলে না, বিরক্তিরও উদ্রেক করে। সবচেয়ে বড় কথা প্রাসঙ্গিক ও পরিমিত হওয়া। এরপর আপনি এক মিনিটে কথা শেষ করলেন নাকি এক দিনে শেষ করলেন, সেটা গৌণ হয়ে দাঁড়ায়।
সাত.
শুরুর চমক। নাটকীয়তা। শ্রোতার মনোযোগের শেষবিন্দু পর্যন্ত নিংড়ে নেওয়া। একজন ভালো বক্তা এটা মাথায় রেখেই শুরু করবেন। একজন ভালো বক্তাকে দুটো প্রবাদই মাথায় রাখতে হয়, প্রথম চমকই সেরা চমক আর শেষ ভালো যার সব ভালো তার। বক্তব্য এবং তার ধারাবাহিকতা কদাচিৎই আগাগোড়া টানটান উত্তেজনার ভরা থাকে। ফলে নির্দিষ্ট বিরতিতে তাকে শব্দ ও বাক্য বিন্যাসে সতর্ক থাকতে হয়। শ্রোতাকে চমকে দিতে হয়। আলোড়িত করতে হয়। বক্তব্যে এমন কিছু বাক্য থাকতে হয়, যা মনে দাগ কাটে।
আট.
শ্রোতাকে বুঝুন। বক্তব্যের আগে এবং বক্তব্যের সময়। কথা বলতে বলতেই লক্ষ করুন শ্রোতার চেহারা। বোঝার চেষ্টা করুন তারা কী মনোযোগ দিয়ে শুনছেন নাকি বিরক্ত হচ্ছেন। পরিস্থিতি বুঝে পরিবর্তন করুন প্রসঙ্গ কিংবা বাক্য।
নয়.
নিজের বক্তব্য রেকর্ড করুন। আগে নিজে শুনুন। প্রথম দিকে নিজের কণ্ঠ নিজে শুনে ধাক্কা খেতে পারেন। মনে হতে পারে একদম হচ্ছে না। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। মনোবল বাড়বে। এই চর্চা থামাবেন না। একজন ভালো বক্তা হওয়া কঠিন; কিন্তু এর সুফল সর্বত্র এবং খুবই জোরালো। একজন ভালো বক্তার ক্ষমতা ঈর্ষণীয়।
দশ.
শ্রোতার ফিডব্যাক নিন। ভুলগুলো শুধরান। আরো ভালো করার জন্য সব সময় চেষ্টা চালিয়ে যান। এই চেষ্টা অবিরাম। কারণ সাফল্য কোনো গন্তব্যের নাম নয়, সাফল্য এক নিরন্তর যাত্রার নাম। সাফল্যের কোনো শেষ নেই। সাফল্যের কোনো চূড়া হয় না। প্রতিনিয়ত মানুষ চূড়ার ওপর চূড়া তৈরি করে সাফল্যের নতুন নতুন মানদণ্ড তৈরি করে চলেছে বিরামহীন।
এটা খুবই স্বাভাবিক যে দলের সব সদস্যই সব সময় উৎসাহী ও উজ্জীবিত থাকেন না। একজন প্রাণবন্ত ও উদ্দীপ্ত সদস্য যেমন অন্যদেরও প্রভাবিত করেন তেমনি একজন হতাশ সদস্যও আরো অনেককে নেতিবাচক করে তোলেন। ফলে দলনেতা, ব্যবস্থাপক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখা দরকার, যাতে দলের কেউ বিষণ্নতায় না ভোগেন, ঝিমিয়ে না পড়েন। কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত সমস্যা বা যেকোনো কারণেই হোক না কেন তার এই ম্লান উপস্থিতি দূর করতে এগিয়ে আসা উচিত। আর এ জন্য প্রয়োজন তার সমস্যা বুঝে তাকে উপযু্ক্ত বাক্য ব্যবহারে আবারও প্রাণবন্ত করে তোলা। আর একজন ভালো বক্তাই পারেন পরিস্থিতি বুঝে বক্তব্য সাজাতে, যা তাকে আবারও আশার আলো দেখাবে, তাকে করে তুলবে উচ্ছল ও কর্মচঞ্চল।
ভালো বক্তার দশ গুণ
এক.
একজন ভালো বক্তার কমনসেন্স থাকতে হবে সবার আগে। শুনতে খুব সাধারণ মনে হতে পারে। একটু ভালো করে চারপাশে তাকালেই বুঝবেন এই গুণ যত সহজ মনে করেছেন, আসলে ততটা সহজ নয়। কমনসেন্স খাটিয়ে পারিপার্শ্বিক অবস্থা বুঝে নিজের অবস্থান ও বক্তব্য ঠিক করা একজন চৌকস ব্যক্তির পক্ষেই সম্ভব।
দুই.
ভালো বক্তার থাকতে হবে অত্যন্ত সমৃদ্ধ শব্দভাণ্ডার। এবং এসব শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে আদর্শ বাক্য তৈরির কৌশল থাকতে হবে তার করায়ত্তে। কিছু কিছু পরিস্থিতিতে আপনি হয়তো সময় পাবেন এসব বাক্য রচনার, তাকে নিয়ে ভাবার বা চর্চা করার কিন্তু অধিকাংশ সময়ই আপনাকে হতে হবে তাৎক্ষণিক। উপস্থিত বুদ্ধি ও ক্ষিপ্রতা কাজে লাগিয়ে বাক্যের পর বাক্য সাজিয়ে আপনার বক্তব্যকে করে তুলতে হবে হৃদয়গ্রাহী, মনোমুঙ্কর ও প্রাণবন্ত। যেন মন্ত্রবাণী পাঠ করছেন কেউ।
তিন.
অনবরত চর্চা করে যেতে হবে। চর্চা থাকতে হবে। যেন তিনি মনে না করেন, তিনি ইতিমধ্যেই শ্রেষ্ঠ বক্তার আসনে বসে আছেন। তিনি আরো এগিয়ে যেতে পারবেন, যদি মনে করেন তার যাওয়ার আরো অনেকটাই বাকি। একজন ভালো বক্তা একটি বক্তব্যের উপস্থাপনে অনেক সতর্ক থাকেন। চর্চাই তার প্রমাণ। চর্চাই তাকে নিখুঁত করে।
চার.
পড়াশোনা। শুধুই কি তার বিভাগীয় বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে? না, আরো অনেক বিষয়েই হতে হবে জ্ঞানপিপাসু হতে হবে। তবে প্রাসঙ্গিক বিষয়ের ওপর গুরুত্ব বরাবরই বেশি থাকতে হবে। পাশাপাশি সমাজ, সংস্কৃতি, দেশ, ইতিহাস, বিজ্ঞান, খেলাধুলা, রাজনীতি, সাহিত্য সব বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞাত থাকতে হবে। তবেই বক্তব্য হয়ে উঠবে তথ্যবহুল, আকর্ষণীয় ও প্রাণবন্ত।
পাঁচ.
হাস্যরস কিংবা বাক্য গঠনে চমক থাকা চাই। বক্তা যতই ভালো হোন না কেন, হাস্যরস কিংবা বাক্য গঠনে চমক ছাড়া বেশিক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন। শ্রোতা চান বৈচিত্র্য। একঘেয়েমি কাটানোর জন্য এটা একটা দারুণ পথ। অনেক বক্তা তাই সময় পেলেই ছোট ছোট ঘটনা, গল্প, উদারহণ সঞ্চয় করে রাখেন, যথাসময়ে যথাস্থানে ব্যবহার করবেন বলে। যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যথা সময়ে গল্পগুলো আর মনে আসে না। তাই প্রয়োজন চর্চা ও মনঃসংযোগ। রসবোধ আপনাকে অতিদ্রুত ভালো বক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় করে তুলবে।
ছয়.
পরিমিতিবোধ এক ভালো বক্তার আরেকটি দুর্দান্ত গুণ। কোথায় শুরু করে, কখন, কিভাবে এবং কোথায় থামতে হবে তা তাকে বুঝতেই হবে। সময়জ্ঞান এবং একটি বক্তব্যকে উপস্থাপনের জন্য পরিমিত বাক্যচয়ন খুবই জরুরি। বক্তব্যের শুরুতেই ধারণা করার চেষ্টা করতে হবে তিনি কোথায় গিয়ে থামবেন। অবিরাম কথা বলতে পারার ক্ষমতাকে কেউ ভালো গুণ মনে করবেন না। অনেক ক্ষেত্রে এটি একজন ভালো বক্তার সব ভালো গুণকে শুধু ম্লানই করে তোলে না, বিরক্তিরও উদ্রেক করে। সবচেয়ে বড় কথা প্রাসঙ্গিক ও পরিমিত হওয়া। এরপর আপনি এক মিনিটে কথা শেষ করলেন নাকি এক দিনে শেষ করলেন, সেটা গৌণ হয়ে দাঁড়ায়।
সাত.
শুরুর চমক। নাটকীয়তা। শ্রোতার মনোযোগের শেষবিন্দু পর্যন্ত নিংড়ে নেওয়া। একজন ভালো বক্তা এটা মাথায় রেখেই শুরু করবেন। একজন ভালো বক্তাকে দুটো প্রবাদই মাথায় রাখতে হয়, প্রথম চমকই সেরা চমক আর শেষ ভালো যার সব ভালো তার। বক্তব্য এবং তার ধারাবাহিকতা কদাচিৎই আগাগোড়া টানটান উত্তেজনার ভরা থাকে। ফলে নির্দিষ্ট বিরতিতে তাকে শব্দ ও বাক্য বিন্যাসে সতর্ক থাকতে হয়। শ্রোতাকে চমকে দিতে হয়। আলোড়িত করতে হয়। বক্তব্যে এমন কিছু বাক্য থাকতে হয়, যা মনে দাগ কাটে।
আট.
শ্রোতাকে বুঝুন। বক্তব্যের আগে এবং বক্তব্যের সময়। কথা বলতে বলতেই লক্ষ করুন শ্রোতার চেহারা। বোঝার চেষ্টা করুন তারা কী মনোযোগ দিয়ে শুনছেন নাকি বিরক্ত হচ্ছেন। পরিস্থিতি বুঝে পরিবর্তন করুন প্রসঙ্গ কিংবা বাক্য।
নয়.
নিজের বক্তব্য রেকর্ড করুন। আগে নিজে শুনুন। প্রথম দিকে নিজের কণ্ঠ নিজে শুনে ধাক্কা খেতে পারেন। মনে হতে পারে একদম হচ্ছে না। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। মনোবল বাড়বে। এই চর্চা থামাবেন না। একজন ভালো বক্তা হওয়া কঠিন; কিন্তু এর সুফল সর্বত্র এবং খুবই জোরালো। একজন ভালো বক্তার ক্ষমতা ঈর্ষণীয়।
দশ.
শ্রোতার ফিডব্যাক নিন। ভুলগুলো শুধরান। আরো ভালো করার জন্য সব সময় চেষ্টা চালিয়ে যান। এই চেষ্টা অবিরাম। কারণ সাফল্য কোনো গন্তব্যের নাম নয়, সাফল্য এক নিরন্তর যাত্রার নাম। সাফল্যের কোনো শেষ নেই। সাফল্যের কোনো চূড়া হয় না। প্রতিনিয়ত মানুষ চূড়ার ওপর চূড়া তৈরি করে সাফল্যের নতুন নতুন মানদণ্ড তৈরি করে চলেছে বিরামহীন।
Comments
Post a Comment