** 'হেবা' ও 'হেবা-বিল-এওয়াজ' কী? **
** 'হেবা' ও 'হেবা-বিল-এওয়াজ' কী? **
মুসলিম আইনে দানকে 'হেবা' বলা হয়। যখন কোনো একজন ব্যক্তি তার সম্পত্তি অপর ব্যক্তির কাছে কোনো প্রকার বিনিময় ছাড়াই অবিলম্বে হস্তান্তর করে এবং শেষোক্ত ব্যক্তি বা তার পক্ষে অন্য কেউ সেটি গ্রহণ করে, তখন সেই সম্পত্তির হস্তান্তরকে 'হেবা' বা দান হিসেবে অভিহিত করা হয়।
মুসলিম আইন অনুসারে, সুস্থ মনের অধিকারী এবং নাবালক নন- এমন যেকোনো মুসলিমই দান বা হেবা করে তার সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেন।
হেবা বৈধ হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রথমত, দাতা কর্তৃক দানের কথা ঘোষণা করতে হয়, দ্বিতীয়ত, দানগ্রহীতা বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক সুস্পষ্টভাবে ওই দান গ্রহণ করতে হয় এবং তৃতীয়ত, দাতা কর্তৃক দান গ্রহীতাকে দানের বিষয়বস্তুর দখল দিতে হয়।
সম্পত্তির হস্তান্তর আইন কিংবা মুসলিম আইন- কোনোটিতেই স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির দান আইনসিদ্ধ হওয়ার জন্য লিখিত দলিল হওয়া জরুরি নয়।
মুসলিম আইনানুসারে, দানকৃত সম্পত্তির দখল দানগ্রহীতাকে অর্পণ করার আগে যেকোনো দাতা দান বাতিল করতে পারেন। কারণ, দখল অর্পণের আগে হেবা বা দান সম্পূর্ণ হয় না। দখল অর্পণের পর কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া আদালতের ডিক্রি না থাকলে দান বাতিল করা যায় না।
মুসলিম আইনে আরেক প্রকার দানের নাম হলো 'হেবা-বিল-এওয়াজ'। তবে সাধারণ হেবা এবং হেবা-বিল-এওয়াজের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। এই প্রকারের দানকে বিক্রয়ের শ্রেণীভুক্ত করা যায়। হেবা-বিল-এওয়াজের শাব্দিক অর্থই হলো প্রতিদানের জন্য দান। অর্থাৎ এই প্রকারের দানের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রতিদান থাকতে হবে।
হেবা বা সাধারণ দানের সাথে হেবা-বিল-এওয়াজের পার্থক্য এই যে, হেবা-বিল-এওয়াজ হলো প্রতিদানের জন্য প্রদত্ত একটি দানবিশেষ। বস্তুত এটি এক প্রকারের বিক্রয় এবং এতে বিক্রয়-চুক্তির যাবতীয় শর্ত বিদ্যমান থাকে। সে অনুসারে, হেবার মতো হেবা-বিল-এওয়াজের ক্ষেত্রে দখল অর্পণ আবশ্যক নয়। লেনদেনটি বৈধ করতে হলে এ ক্ষেত্রে দুটি শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রথমত, দানগ্রহীতা কর্তৃক এওয়াজ বা প্রতিদানটি কার্যত পরিশোধ করা, দ্বিতীয়ত, দাতার পক্ষে বর্তমান মালিকানা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করে সেটি দানগ্রহীতাকে প্রদান করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা।
উল্লেখ্য, মুসলিম আইনে বর্ণিত 'তিন ডিগ্রি' সম্পর্কের বাইরের কোনো ব্যক্তিকে হেবা-বিল-এওয়াজ করা হলে তা অগ্রক্রয়যোগ্য হবে।
মুসলিম আইন অনুসারে, সুস্থ মনের অধিকারী এবং নাবালক নন- এমন যেকোনো মুসলিমই দান বা হেবা করে তার সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেন।
হেবা বৈধ হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রথমত, দাতা কর্তৃক দানের কথা ঘোষণা করতে হয়, দ্বিতীয়ত, দানগ্রহীতা বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক সুস্পষ্টভাবে ওই দান গ্রহণ করতে হয় এবং তৃতীয়ত, দাতা কর্তৃক দান গ্রহীতাকে দানের বিষয়বস্তুর দখল দিতে হয়।
সম্পত্তির হস্তান্তর আইন কিংবা মুসলিম আইন- কোনোটিতেই স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির দান আইনসিদ্ধ হওয়ার জন্য লিখিত দলিল হওয়া জরুরি নয়।
মুসলিম আইনানুসারে, দানকৃত সম্পত্তির দখল দানগ্রহীতাকে অর্পণ করার আগে যেকোনো দাতা দান বাতিল করতে পারেন। কারণ, দখল অর্পণের আগে হেবা বা দান সম্পূর্ণ হয় না। দখল অর্পণের পর কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া আদালতের ডিক্রি না থাকলে দান বাতিল করা যায় না।
মুসলিম আইনে আরেক প্রকার দানের নাম হলো 'হেবা-বিল-এওয়াজ'। তবে সাধারণ হেবা এবং হেবা-বিল-এওয়াজের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। এই প্রকারের দানকে বিক্রয়ের শ্রেণীভুক্ত করা যায়। হেবা-বিল-এওয়াজের শাব্দিক অর্থই হলো প্রতিদানের জন্য দান। অর্থাৎ এই প্রকারের দানের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রতিদান থাকতে হবে।
হেবা বা সাধারণ দানের সাথে হেবা-বিল-এওয়াজের পার্থক্য এই যে, হেবা-বিল-এওয়াজ হলো প্রতিদানের জন্য প্রদত্ত একটি দানবিশেষ। বস্তুত এটি এক প্রকারের বিক্রয় এবং এতে বিক্রয়-চুক্তির যাবতীয় শর্ত বিদ্যমান থাকে। সে অনুসারে, হেবার মতো হেবা-বিল-এওয়াজের ক্ষেত্রে দখল অর্পণ আবশ্যক নয়। লেনদেনটি বৈধ করতে হলে এ ক্ষেত্রে দুটি শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রথমত, দানগ্রহীতা কর্তৃক এওয়াজ বা প্রতিদানটি কার্যত পরিশোধ করা, দ্বিতীয়ত, দাতার পক্ষে বর্তমান মালিকানা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করে সেটি দানগ্রহীতাকে প্রদান করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা।
উল্লেখ্য, মুসলিম আইনে বর্ণিত 'তিন ডিগ্রি' সম্পর্কের বাইরের কোনো ব্যক্তিকে হেবা-বিল-এওয়াজ করা হলে তা অগ্রক্রয়যোগ্য হবে।
এখানে "তিন ডিগ্রি" সম্পর্ক বলতে কি বুঝানো হয়েছে? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হবো।
ReplyDeleteতিন প্রজন্ম রক্তের সম্পর্ক। যেমন - দাদা, পিতা, পুত্র।
Deleteআমার পাড়াপ্রতি বেশি চাচা হয় আমি কি হেবা বিল এওযাজ করে নিতে পারবো
Deleteনা
Deleteঅামার অাপন ছোট চাচা কাছ থেকে হেবাবিল এওয়াজ দলিল নিলে কি সেজো চাচা কি অগ্রক্রয় অাবেদন করতে পারবে?
ReplyDeleteআপন ফুপুতো ভাইরা পারবে দিতে
ReplyDeleteতিন ভাই হেবা বিল এওয়াজ সূত্রে মালিক, এখন এক ভাই বিক্রি করে দিলে অন্য ভাই কি অগ্রক্রয় করতে পারবে?
ReplyDelete