মানহানি (Defamation)
মানহানি (Defamation)
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
`````````````````````````````````
মুখের কথা ব্যবহার করে, লেখার মাধ্যমে, অঙ্গভঙ্গীর সহায্যে, বা যা লোকের চোখে পড়ে - এমন কিছুর সাহায্যে একজনের মানহানি করা যায়। কোনো ব্যক্তি যদি কারোর সুনাম ক্ষুণ্ণ হবে বা হবার যুক্তিযুক্ত সম্ভাবনা আছে জেনেও কারোর বিরুদ্ধে নিন্দা বা অপপ্রচার করেন, তাহলে প্রথম ব্যক্তি দ্বিতীয় ব্যক্তির মানহানি করেছেন বলে বিবেচিত হবে। মানহানি হয়েছে প্রমাণিত হলে তার জন্য শাস্তি কারাবাস (যা দুবছর পর্যন্ত হতে পারে) কিংবা জরিমানা, অথবা দুইই।
`````````````````````````````````
মুখের কথা ব্যবহার করে, লেখার মাধ্যমে, অঙ্গভঙ্গীর সহায্যে, বা যা লোকের চোখে পড়ে - এমন কিছুর সাহায্যে একজনের মানহানি করা যায়। কোনো ব্যক্তি যদি কারোর সুনাম ক্ষুণ্ণ হবে বা হবার যুক্তিযুক্ত সম্ভাবনা আছে জেনেও কারোর বিরুদ্ধে নিন্দা বা অপপ্রচার করেন, তাহলে প্রথম ব্যক্তি দ্বিতীয় ব্যক্তির মানহানি করেছেন বলে বিবেচিত হবে। মানহানি হয়েছে প্রমাণিত হলে তার জন্য শাস্তি কারাবাস (যা দুবছর পর্যন্ত হতে পারে) কিংবা জরিমানা, অথবা দুইই।
অবশ্য আইনের চোখে এ ব্যাপারে বেশ কিছু ব্যতিক্রম আছে। সেগুলি হল:
★যে জিনিস সত্য এবং যে সত্যের প্রচার জনস্বার্থে করা প্রয়োজন, সেটি নিন্দার কথা হলেও মানহানি হিসেবে ধরা হবে না।
★সরকারী কাজ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো সরকারী কর্মচারীর ব্যবহার বা চরিত্র সম্পর্কে কোনো অভিমত জানালে সেটি মানহানির আওতায় পড়বে না - যদি সেই সেই অভিমতটি ব্যক্ত করা হয় কোনো দুরভিসন্ধি ছাড়া অর্থাত্ শুভ-বিশ্বাসে (good faith)।
★যেখানে জনস্বার্থ জড়িত, সেখানে যে কোনো ব্যক্তির আচরণ বা চরিত্র সম্পর্কে পূর্ণ-বিশ্বাসে দেওয়া অভিমত মানহানির কারণ হবে না।
★কোর্টের কোনো রায় ছাপালে বা সেই সম্বন্ধে মোটামুটি ভাবে নির্ভুল তথ্য পরিবেশন করলে - সেটি মানহানির মধ্যে পড়বে না।
★যে মামলা কোর্টে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে, সেই মামলা সম্পর্কে নিজের মতামত ব্যক্ত করা বা সেই মামলার কোনো সাক্ষী বা বাদী-বিবাদীর আচরণ সম্পর্কে মতামত ব্যক্ত করা (যদি সেগুলি শুভ-বিশ্বাসে করা হয়) মানহানির বিষয় হবে না।
★কোনো লেখকের প্রকাশিত লেখা সম্পর্কে শুভ-বিশ্বাসে দেওয়া কোনো অভিমত মানহানির মধ্যে পড়বে না।
★আইন বা চাকরির চুক্তি অনুসারে যখন একজন অন্যের অধীনে কাজ করে, তখন অধীনস্ত কর্মচারীকে কাজের ব্যাপারে শুভ-বিশ্বাসে তীরস্কার বা ভতর্্সনা করা মানহানির মধ্যে পড়বে না।
★কেউ যদি নিজের স্বার্থ বা অন্যের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য শুভ-বিশ্বাসে কারোর চরিত্র সম্পর্কে নিন্দনীয় কিছু বলে তাহলে সেটি মানহানির মধ্যে পড়বে না।
★কাউকে সাবধান করা যেটা তার ভালোর জন্য বা জনস্বার্থে - সেটিও মানহানির আওতায় পড়বে না।
Comments
Post a Comment