১৩ বছর পর জানা গেল তদন্তকারীই খুনি !!!!

১৩ বছর পর জানা গেল তদন্তকারীই খুনি !!!!
ভারতের উত্তর প্রদেশের রামপুরে শামশাদ মির্জা খুন হয়েছিলেন ২০০১ সালে। হত্যার জন্য দায়ী করা হয়েছিল তার স্ত্রী জাহিদা তাবাসসুমকে। কিন্তু দীর্ঘ ১৩ বছর পর আদালত বুঝতে পারে, পি ডি রত্মাকর নামের যে পুলিশ সাব-ইনসপেক্টর এই খুনের তদন্ত করছিলেন, তিনিই খুনি। আদালত ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রমাণ ধ্বংস, কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ এনেছে।
আদালত সাক্ষীদের বিশেষ করে মির্জার মেয়ে সৈয়দা ফাতিমার বক্তব্য আমলে নিয়ে এই রায় দেয়। ফাতিমা আদালতে জানান, ২০০১ সালের ১২ ডিসেম্বর সিভিল লাইনে যে কয়েকজন মুখোশধারী ব্যক্তি তার বাবাকে হত্যা করেছিল, তিনি তাদের মধ্যে রতœাকরকে দেখেছিলেন।
মির্জার ২০ বছর বয়স্ক ছেলে কামাল আহমেদ ২০০২ সালের জানুয়ারিতে রতœাকরের জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রাপ্ত আঘাতে মারা যান।
তদন্ত কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে বলেছিলেন, পারিবারিক ঝগড়ার জের ধরে জাহিদা ও কামাল মিলে শামশাদ মির্জাকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু ফাতিমা প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার বাবার কাছে কিছু ভয়ঙ্কর নেগেটিভ নিয়ে এসেছিলেন ডেভেলপ করার জন্য। কিন্তু তিনি তা না করে বরং নেগেটিভগুলো পুড়িয়ে ফেলেন। এতে ুব্ধ হয়ে রত্মাকর তার বাবাকে হত্যা করেছিলেন।
এই হত্যাকাণ্ডে আরো কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর রত্মাকরের বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এমন প্রমাণও পাওয়া গেছে, হেফাজতে থাকার সময় কোনো আসামি পানি চাইলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে তার প্রশ্রাব পান করতে বাধ্য করতেন।

Comments

Popular posts from this blog

** 'হেবা' ও 'হেবা-বিল-এওয়াজ' কী? **

জেনে নিন ভায়োলেশন কেইস সম্পর্কে

শোন এরেস্ট (Shown Arrest) কাকে বলে ? ..শিশুদের গ্রেপ্তারে হাতকড়া পরানো যাবেনা