Posts

Showing posts from April, 2014

আপনি কি আপনার সারাজীবনের সঞ্চয় দিয়ে জমি কিনতে চাচ্ছেন,তবে চোখ বুলিয়ে নিন নিন্মলিখিত বিষয়ে :

আপনি কি আপনার সারাজীবনের সঞ্চয় দিয়ে জমি কিনতে চাচ্ছেন,তবে চোখ বুলিয়ে নিন নিন্মলিখিত বিষয়ে : জমি কেনার পূর্বে সতর্কতাঃ কথায় আছে “পয়সা দিয়ে ঝগড়া- ফ্যাসাদ কিনতে চায় কে?” তাই ভূমি ক্রয়ের সময় সম্ভাব্য সকল যুক্তিসঙ্গত সতর্কতা অবলম্বন ও অনুসন্ধানের প্রয়োজন রয়েছে। জমি ক্রয়ের পূর্বে ক্রেতাকে যে প্রধান বিষয়গুলোর প্রতি সতর্ক হতে হবে তা হলো: ১/ প্রথমেই প্রস্তাবিত জমিটি সরেজমিনে গিয়ে দেখতে হবে তাহলেই জমিটির প্রকৃত রূপ বুঝা যাবে যে তা আদৌ ভালো জমি নালা-পুকুর! ২/ সংলগ্ন জমির মালিক বা এলাকাবাসীর নিকট হতে জমির বিষয়ে খোঁজখবর নিতে হবে। এরাই আপনাকে জমির বিষয়ে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে পারবে। ৩/ বিক্রেতার কাছ থেকে তার মালিকানার প্রমাণ স্বরূপ দলিল দস্তাবেজ ও অন্যান্য কাগজপত্রের ফটোকপি চেয়ে নিতে হবে। জমির দলিল, ওয়ারিশ সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), সিএস/ এসএ/ আরএস/ মহানগর/ মিউটেশন পরচা, ডিসিআর, খাজনার দাখিলা ইত্যাদির ফটোকপি সংগ্রহের চেষ্টা করতে হবে। বিক্রেতা এসব কাগজপত্র দিতে গড়িমসি করলে তাকে যতদূর সম্ভব চাপ দিতে হবে। সংগৃহীত কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি তহশীল বা ভূমি অফিসে যেতে হবে। উক্ত অফিসে কর্মরত কাউকে কাগজপত্র গ...

কাবিননামা ছাড়া স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করলেেও বৈধ বিয়ের অস্থিত্ব

কাবিননামা ছাড়া স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করলেেও বৈধ বিয়ের অস্থিত্ব আপিল বিভাগের রায় কাবিননামা ছাড়া স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করলে বৈধ বিয়ের অস্থিত্ব বিদ্যমান থাকতে পারে। মমতাজ বেগম বনাম আনোয়ার হোসেন মামলায় আপিল বিভাগের রায়ে বিচারপতি এস কে সিনহা মন্তব্য করেছেন, মুসলিম নর ও নারী যদি স্বামী ও স্ত্রীর পরিচয়ে দীর্ঘদিন বসবাস করেন এবং তাঁদের মধ্যে যদি রেজিস্ট্রিকৃত কাবিননামা না-ও হয়ে থাকে, তাহলেও এখানে বৈধ বিয়ের অস্থিত্ব বিদ্যমান থাকতে পারে। তারা উভয়ে স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের মধ্যে মুসলিম আইন অনুযায়ী বৈধ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলেও গন্য হতে পারে। মামলার রায়টি আসে ৩১ জুলাই ২০১১। বিচারপতি এস কে সিনহার রায়ে আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিরা সম্মতি দিয়েছেন। মামলাটির ঘটনায় জানা যায়, মমতাজ বেগম ও আনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন স্বামী ও স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। একপর্যায়ে লোভী আনোয়ার হোসেন মমতাজ বেগমের কাছ থেকে যৌতুক দাবি করতে থাকেন এবং যৌতুক না দেওয়ার কারণে মমতাজ বেগমকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। মমতাজ বেগম তাঁর ভরণপোষণ এবং দেনমোহর চেয়ে পারিবারিক আদালতে মামলা ঠুকে দেন। এই মামলায় আনোয়ার হোসেন জবাব দাখিল ...

বাংলাদেশ দন্ডবিধি ১৮৬০ এর গূরুত্বপূর্ন একটি ধারা হলো ৯৬

বাংলাদেশ দন্ডবিধি ১৮৬০ এর গূরুত্বপূর্ন একটি ধারা হলো ৯৬,এই ধারার অধিনে ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষায় ফৌজদারি অপরাধ করলেও তা থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করে কারো মৃত্যু পর্যন্ত ঘটানো যায়।ধারা ১০০ অনুসারে আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে নরহত্যা বৈধ।সাধারণত ছয়টি ক্ষেত্রে নরহত্যা বৈধ,যেমন : ১.দেহের উপর আক্রমণ যদি এমন হয় যে,আক্রান্ত ব্যক্তি বুঝতে পারেন যে তার মৃত্যু সন্নিকট, ২. দেহের উপর আক্রমণ যদি এমন হয় যে,আক্রান্ত ব্যক্তি বুঝতে পারেন যে তিনি গুরতর আঘাত পাবেন, ৩.ধর্ষনের উদ্দেশ্য নিয়ে আক্রমন হলে, ৪.অপ্রাকৃতিক কামলালসা চরিথার্ত করার জন্য আক্রমন করলে, ৫.ছেলেধরা বা নারী হরনের জন্য আক্রমন করলে, ৬.কাউকে অবৈধভাবে আটকে রেখে কতৃপক্ষের আশ্রয়লাভের সুযোগ থেকে থাকে বিরত রাখলে। উপরোক্ত ক্ষেত্রসমুহে নরহত্যা বৈধ,তবে তা ৯৯ ধারা সাপেক্ষ।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার উপায়:

 ড্রাইভিং লাইসেন্স করার উপায়: নিয়মকানুন মেনে গাড়ি চালানোর জন্য দরকার প্রশিক্ষণ ও কিছু দরকারি কাগজপত্র। ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে থাকলে চালক রাস্তার ট্রাফিক সংকেতগুলো সম্পর্কে জানেন ও মানেন বলে ধরে নেওয়া হয়। কারণ লাইসেন্স দেওয়ারআগে বিআরটিএ তিনস্তরের পরীক্ষার মাধ্যমে লাইসেন্স প্রদান করে।একবার লাইসেন্স করলে তা দিয়ে সারাজ ীবন গাড়ি চালানো যায় না। নির্দিষ্ট সময় পর পর নবায়ন করতে হয়। চালকের সঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে পুলিশ আইন অনুযায়ী মামলা করতে পারে।ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে: ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য প্রথমেবিআরটিএ’র ওয়েবসাইটথেকে লার্নার বা শিক্ষানবিস ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে।বিআরটিএ অফিসেও বিনামূল্যে লার্নার ফর্ম দেওয়া হয়। এটি পূরণ করে লার্নার অর্থাৎ শিক্ষানবিস লাইসেন্সের জন্য নির্দিষ্ট ব্যাংকে সরকার নির্ধারিত ফি জমা দিতে হয়।খরচাপাতি:মোটরসাইকেল ও গাড়ির লাইসেন্স ফিএকই। তবে মোটরসাইকেলের কোনো পেশাদার লাইসেন্স দেওয়া হয় না।শিক্ষানবিস ফি:*.একটি যানের জন্য ৩৪৫ টাকা(১৫% ভ্যাটসহ)।*.দু’টি (গাড়ি ও মোটরসাইকেল) যানের জন্য ৫১৮ টাকা (১৫% ভ্যাটসহ)।*.লার্নার নবায়ন ফি ৮৭ টাকা (১৫% ভ্যাটসহ)।*.শি...

আইনজীবী ! কী ?:

আইনজীবী ! কী ?: : L-Legal Expert : আইনবিষয়ে অভিজ্ঞ ;:: A-Analytical : ব্যাখাকারক, :: W-Wisdom : জ্ঞানী ;:: Y-Youthful : তারুণ্যময় ; :: E-Evergreen : চির যৌবনের, শিল্পি ; :: R-Royalist : রাজকীয় ।উপরের শব্দ গুলোর আরেকটু বিশ্লেষণ করলে ::: আইন বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জ্ঞানেরঅধিকারী। :: শুধু আইন জানবে না, আইনটি কোথায় ?কিভাবে আছে ? সেটাও সঠিক ভাবে জানবে। :: সব বিষয়ের ও সর্বস্তরের একটা পরিস্কারধারণা রাখবে। আপটুডেট, অর্থাৎ আইনের নতুননতুন বিষয়ে খোঁজ খবর রাখবে। :: আইনের সময়মতো, সঠিকমতো এবং সঠিকজায়গায় প্রয়োগের দক্ষতা থাকবে।:: যে জায়গায় যেভাবে ব্যাখা করা দরকারসেভাবে তা সুন্দর ভাবে করবে এবং উপস্থিতবুদ্ধির অধিকারী হবে।: : হতে হবে তারুণ্যময় তথা যৌবনদীপ্ত ওমাধুর্য্যমন্ডিতবলিষ্ঠ কন্ঠস্বরের অধিকারী। :: আদালত মঞ্চ মনে করবে। সবোর্চ্চচেস্টা করবে দক্ষ অভিনয় শিল্পীর সুনিপুনউপস্থাপনার মত নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে।:: ব্যক্তিত্ববান, তথা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর একপ্রানবন্ত মানুষ।: : এমনভাবে নিজেকে বিচারককেরসামনে তুলে ধরবেন যেন নির্দ্বিধায় মোহিতহয়ে তার উপর আস্তা রাখেন। :: জীবন হবে রাজকীয় তথা রাজার মত, ভদ...

জামিনের বিধান:

জামিনের বিধান: আমাদের ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ৪(১)(খ) নং ধারায় ফৌজদারি অপরাধগুলোকে জামিনযোগ্য ও জামিনের অযোগ্য_ এই দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।  একই সঙ্গে ফৌজদারি কার্যবিধির ২ নং শিডিউলের ৫ নং কলামে অপরাধগুলো উলি্লখিত কোন প্রকৃতির, তা পৃথক পৃথকভাবে বলা আছে। জামিনযোগ্য অপরাধে জামিনের বিধান: ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৬ নং ধারায় জামিনযোগ্য মামলায় জামিনের বিধান বলা হয়েছে। এই ধারা অনুসারে, জামিনযোগ্য  যেকোনো অপরাধের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি জামিন পাওয়ার অধিকারী। ১৫ ডিএলআরএ এ সংক্রান্ত সুপ্রিমকোর্টের একটি মামলার রায়ে বলা হয়েছে, জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন পাওয়ার অধিকারটি অলঙ্ঘনীয়। সন্তোষজনক সিকিউরিটি প্রদানের মধ্য দিয়েই একজন ব্যক্তি এসব অপরাধের মামলায় জামিন পেতে পারেন। জামিনের অযোগ্য অপরাধে জামিনের বিধান : ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭ নং ধারায় জামিনের অযোগ্য মামলায় একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি কিভাবে জামিন পেতে পারেন, তার বিধান বর্ণিত আছে। ওই ধারা মোতাবেক, এধরনের অপরাধে আসামি আদালতের কাছে 'অধিকার' হিসেবে জামিন দাবি করতে পারবেন না। তবে আদালতের মর্জি হলে এ ধরনের অপরাধেও অভিয...

¤এসিড দ্বারা আহত করার শাস্তি¤ ।-

¤এসিড দ্বারা আহত করার শাস্তি¤ ।- যদি কোন ব্যক্তি কোন এসিড দ্বারা অন্য কোন ব্যক্তিকে এমনভাবে আহত করেন যাহার ফলে তাহার- (ক) দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নষ্ট হয় বা মুখমন্ডল, স্তন বাযৌনাংগ বিকৃত বা নষ্ট হয় তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকার অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন; (খ) শরীরের অন্য কোন অংগ, গ্রন্থি বা অংশ বিকৃত বা নষ্ট হয় বা শরীরের কোন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন তাহাহইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক চৌদ্দ বত্সর কিন্তু অন্যূন সাত বত্সরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ হাজার টাকার অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন। (এসিড অপরাধ দমন আইন ২০০০,ধারা ৫)

কোর্ট ম্যারেজ ও প্রাসঙ্গিক আইন:-)

কোর্ট ম্যারেজ ও প্রাসঙ্গিক আইন:-) কাবিন রেজিষ্ট্রীর পরিবর্তে কোর্টম্যারেজ অধিকতর শক্তিশালী এ ভুল ধারণার ফাঁদে পড়ে অনেক নারী কোর্ট ম্যারেজ করে তাদের দাম্পত্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আইনের ছদ্মাবরণে একশ্রেণীর নোটারী পাবলিক এ অবৈধ কাজে সহায়তা করে চলেছেন। অথচ বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ‘কোর্ট ম্যারেজ’ এর কোন বৈধতা নেই, এর কোন অস্তিত্বও নেই। ৫০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে  কিংবা ১৫০/-টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয়ে গিয়ে হলফনামা করাকে বিয়ে বলে অভিহিত করা হয়। অথচ এ্যাফিডেভিট বা হলফনামা শুধুই একটি ঘোষণাপত্র। আইনানুযায়ী কাবিন রেজিষ্ট্রী সম্পন্ন করেই কেবল ঘোষণার জন্য এফিডেভিট করা যাবে। কিন্তু এ নিয়ম মানা হয় না। মুসলিম বিবাহ ও বিচ্ছেদ বিধি ১৯৭৫ এর ১৯(৩) ধারা অনুযায়ী ‘নিকাহ রেজিষ্ট্রার ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি যদি বিবাহ করান তাহলে সেই ব্যক্তি ১৫ দিনের মধ্যে ওই নিকাহ রেজিষ্ট্রারের নিকট অবহিত করবেন, যার এলাকায় উক্ত বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।’ মুসলিম বিবাহ ও বিচ্ছেদ আইন ১৯৭৪-এর ধারা ৫ (২) অনুযায়ী বিবাহ রেজিষ্ট্রশন না করার শাস্তি সর্বোচ্চ...

গ্রাম্য আদালত

গ্রাম্য আদালত ।গ্রাম্য আদালত : ইউনিয়নের এখতিয়ারাধীন এলাকায় কতিপয় বিরোধ ও বিবাদের সহজ এবং দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষে গ্রাম আদালত গঠন করা হয় এবং গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ প্রনয়ন করা হয়।গ্রাম আদালত আইনের ৪ ধারা অনুসারে কোন ব্যাক্তি উক্ত আইনের তফসিলভুক্ত দেওয়ানি অথবা ফৌজদারি বিষয়ে মমলা করতে চাইলে তাকে গ্রাম আদালতে মমলা করতে হবে। এরুপ আবেদন প্রাপ্তির পর চেয়ারম্যান ৫ধারা অনুসারে গ্রাম আদালত গঠন করবেন। উক্ত আইনে র ৫ধারায় বিধান করা হয়েছে যে,চেয়ারম্যান এবং উভয় পক্ষ কর্তৃক মনোনীত ২জন করে মোট ৪জন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠিত হবে। তবে র্শত থাকে যে,প্রত্যক পক্ষ কতৃক মনোনীত ২জন সদস্যের মধ্যে ১জন সদস্যকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদ্যস হতে হবে। গ্রাম আদলতের ৮ধারায় বলা হয়েছে যে, গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত হলে কিংবা চার : এক(৪:১)সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অথবা ৪জন সদস্যের উপস্তিতিতে তিন:এক(৩:১) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হলে উক্ত সিদ্ধান্ত পক্ষগনের উপর বাধ্যকর হবে এবং কোন আপীল করা যাবে না। অন্যদিকে,সিদ্ধান্তটি তিন-দুই সংখ্যাগরিষ্ট ভোটে গৃহীত হলে সংক্ষুব্ধ পক্ষ সিদ্ধান্তের ৩০দিনের মধ্যে ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে প্রথম ...

লঙ্ঘিত হচ্ছে জাতীয় পতাকা বিধি !

লঙ্ঘিত হচ্ছে জাতীয় পতাকা বিধি ! বাংলাদেশ একটি স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ । দীর্ঘ দিনের বহুত্যাগ আর শত সংগ্রামের পটভূমির মধ্যে দিয়ে অবশেষে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে শুরুকরে স্বশস্ত্র মুক্তিযুদ্বের মাধ্যমে লাখ প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর জন্ম হয়েছিল এই দেশটির । রাষ্ট্রের পরিচয় তথা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে পেয়েছিল একটি জাতীয় পতাকা । সেই পতাকার ছায়াতলে সাত কোটি জনসংখ্যার বাংল াদেশ তিয়াল্লিশ বছরে এখন প্রায় পনেরোকোটি । যেটিকে নিজ দেশের পরিচয়হিসেবে গৌরবের ব্যবহার করে আসছে জনগণ । কিন্তু প্রায় সময়ে দেখা যায় এই জাতীয় পতাকারপ্রতি সম্মান,মর্যাদা প্রদর্শন করতে গিয়ে এর যথাযথ ব্যবহার করা হয়না ! অথচ সকলেরউচিত তথা কর্তব্য হল এর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে সম্মান,মর্যাদা প্রদর্শন করা । এবং এই লক্ষে আইনও প্রণীত আছে। দু:খের বিষয় হল, বাস্তবে সেই সব আইনের প্রয়োগবা ব্যবহার খুবইকম।প্রায় সময়ে দেখাযাচ্ছে, কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেযত্রতত্র জাতীয় পতাকার ব্যবহার । বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা,সমাবেশ থেকেশুরু করে বিভিন্ন সরকারি -বেসরকারি ক্লাব,সমিতি, সংঘ, সংস্থা,সংঘঠন,প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্ম...

পালিয়ে বিয়ে করছেন বা করেছেন?

পালিয়ে বিয়ে করছেন বা করেছেন? ভালোবাসার মানুষটিকে যেভাবেই হোক নিজের করে নিতে চাইছেন। প্রয়োজনে পালিয়ে যাবেন তাকে নিয়ে, সমাজ সংসার-পরিবার ছেড়ে। কিন্তু তা কি করে সম্ভব?সমাজ-পরিবার তো আপনাকে ছাড়বে না! আসবে বাঁধা-বিপত্তি। যে ধরনের বাঁধা মোকাবেলা করতে হবে আপনাকে-সাধারণত প্রেমের বিয়ের ক্ষত্রে অপহরণের মামলা হয়: মেয়েটিকে অপহরণের মামলা করা হতে পারে আপনার ও আপনার পরিবারের বিরুদ্ধে, আটকে রাখার অভিযোগ আসতে পারে। আপনার বিরুদ্ধে হতে পারে ধষর্ণের মামলাও। স্বেচ্ছায় বিয়ে করে যদি প্রেমিক  স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে, তবে তা ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে না। তবে মেয়ের বয়স যদি ১৬ বছরের কম হয়, সে ক্ষেত্রে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যেতে পারে। তবে ভিকটিমকে সাক্ষ্য দিতে হবে যে তার সাথে প্রতারণা করে এই সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে।বিবাহবন্ধন-বহির্ভূত ১৬ বছরের অধিক বয়সের কোনো মেয়ের যদি যৌনকর্মে সম্মতি থাকে, তবে তা ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে না এবং এর জন্য পুরুষসঙ্গীর কোনো শাস্তিও হবে না। কিন্তু অপহরণের ব্যাপারে কোনো বয়সের কথা উল্লেখ নেই। দণ্ডবিধির ৩৬১ ধারাতে উল্লেখ আছে, ১৬ বা তার অধিক বয়সের কোনো নারী যদি কারও সঙ্গ...

টেলিফোন, মোবাইলে বিরক্ত করলেও প্রতিকার আছে চমৎকার:

টেলিফোন, মোবাইলে বিরক্ত করলেও প্রতিকার আছে চমৎকার: টেলিযোগাযোগ আইনের ৬৬ ধারায় বলা হয়েছে, টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির মাধ্যমে কেউ মিথ্যা, প্রতারণামূলক বিপদ সংকেত বা বার্তা পাঠালে তাঁকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা তিন লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রয়েছে। আবার দুটি দণ্ডই কার্যকর করা যেতে পারে।টেলিযোগাযোগ আইনের ৭০ ধারায় বলা হয়েছে, বার বার টেলিফোন করে কাউকে বিরক্ত করা বা অসুবিধার সৃষ্টি করাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এক্ষেত্রে অপরাধীকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমা না দিতে হবে। জরিমানার টাকাপরিশোধে ব্যর্থ হলে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়ারও বিধান করা হয়েছে।দুই ব্যক্তির টেলিফোনে আলাপ চলাকালে ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ আড়ি পাতলে এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এজন্য অপরাধীকে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদ টেলিযোগাযোগ আইনের ৬৬ ধারায় বলা হয়েছে, টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির মাধ্যমে কেউ মিথ্যা, প্রতারণামূলক বিপদ সংকেত বা বার্তা পাঠালে তাঁকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা তিন লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রয়েছে। আবার দুটি দণ্ডই কার্যকর করা যেতে পারে।টেলিযোগাযোগ আইনের ৭০ ধারায় বল...

কখন ও কীভাবে জিডি করবেন?

কখন ও কীভাবে জিডি করবেন? যদি কেউ আপনাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হুমকি দেয়, আপনার মূল্যবান কিছু (যেমন পরিচয়পত্র) হারিয়ে যায় বা হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয় কিংবা বাড়ির কাজের মেয়ে বা ছেলে না বলে চলে যায় সে ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনি আপনার নিকটবর্তী থানায় জিডি করবেন। কীভাবে জিডি করবেন, লিখেছেন এম ডি মনিরগবেষণা কর্মকর্তা, বিলিয়া জিডির পূর্ণরূপজেনারেল ডায়েরি, যাকে বাংলায় সাধারণ ডায়েরি বলা হয়। এ ডায়েরি হলো কোনো অপরাধ বা ক্ষতি সংঘটনের আশঙ্কাজনিত বিবরণ। এর জন্য থানায় গিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তার কাছে ঘটনাটি মৌখিক বা লিখিতভাবে জানাতে পারেন। জিডি করার জন্য থানায় কোনো টাকা দিতে হয় না। এর জন্য কোনো ফি-ও ধার্য নেই। ঘটনা যেখানে সংঘটিত হয়েছে তার নিকটবর্তী থানায় গেলেই দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা জিডি লিপিবদ্ধ করবেন। পুলিশের সাহায্য নিয়েও জিডির জন্য দরখাস্ত লিখতে পারেন। জেনারেল ডায়েরি একটি মূল্যবান রেজিস্ট্রার। প্রত্যেক থানা বা ফাঁড়িতে জেনারেল ডায়েরি (জিডি) রয়েছে। সাধারণত যেসব বিষয়ে জিডি করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে ইভ টিজিং,হারানো দলিল, নতুন/পুরান ভাড়াটিয়া সম্পর্কিত তথ্য, নতুন/পুরান নৈশপ্রহরী, দারোয়ান, গৃহপরিচা...