কখন ও কীভাবে জিডি করবেন?
কখন ও কীভাবে জিডি করবেন?
যদি কেউ আপনাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হুমকি দেয়, আপনার মূল্যবান কিছু (যেমন পরিচয়পত্র) হারিয়ে যায় বা হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয় কিংবা বাড়ির কাজের মেয়ে বা ছেলে না বলে চলে যায় সে ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনি আপনার নিকটবর্তী থানায় জিডি করবেন। কীভাবে জিডি করবেন, লিখেছেন এম ডি মনিরগবেষণা কর্মকর্তা, বিলিয়া
জিডির পূর্ণরূপজেনারেল ডায়েরি, যাকে বাংলায় সাধারণ ডায়েরি বলা হয়। এ ডায়েরি হলো কোনো অপরাধ বা ক্ষতি সংঘটনের আশঙ্কাজনিত বিবরণ। এর জন্য থানায় গিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তার কাছে ঘটনাটি মৌখিক বা লিখিতভাবে জানাতে পারেন। জিডি করার জন্য থানায় কোনো টাকা দিতে হয় না। এর জন্য কোনো ফি-ও ধার্য নেই। ঘটনা যেখানে সংঘটিত হয়েছে তার নিকটবর্তী থানায় গেলেই দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা জিডি লিপিবদ্ধ করবেন। পুলিশের সাহায্য নিয়েও জিডির জন্য দরখাস্ত লিখতে পারেন। জেনারেল ডায়েরি একটি মূল্যবান রেজিস্ট্রার। প্রত্যেক থানা বা ফাঁড়িতে জেনারেল ডায়েরি (জিডি) রয়েছে। সাধারণত যেসব বিষয়ে জিডি করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে ইভ টিজিং,হারানো দলিল, নতুন/পুরান ভাড়াটিয়া সম্পর্কিত তথ্য, নতুন/পুরান নৈশপ্রহরী, দারোয়ান, গৃহপরিচারিকা, কেয়ারটেকার এবং পলায়নসংক্রান্ত বিষয় (যেমন ছেলে মেয়েকে বা মেয়ে ছেলেকে নিয়ে পালালে বা কাজের মানুষ পালালে)। তবে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, মারামারি, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ইত্যাদি ঘটনায় মামলা হয়,জিডি হয় না। ব্যক্তিগতভাবেথানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে তাৎক্ষণিকভাবেব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।কোথায় জিডি করবেন?জিডি করার ক্ষেত্রে সাধারণত ঘটনাস্থলকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত। অর্থাৎ যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে বা ঘটার আশঙ্কা আছে সে এলাকার থানাতেই জিডি করতে হবে। আবেদন করতে হবে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)বরাবর। নিচে থাকবে থানার নাম। বিষয় হিসেবে উল্লেখ করতে হবে যে ব্যাপারে জিডি করতে চান তার নাম (যেমন হারানোর ব্যাপারে লিখতে পারেন : হারানো সংবাদ সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন)। বিবরণ অংশে আপনাকে বিস্তারিত লিখতে হবে। অবশ্যই আপনাকে আশঙ্কার কারণ, যার জন্য আশঙ্কা করা হচ্ছে বা যে হুমকি দিচ্ছে তার নাম, ঠিকানা, হুমকির স্থান, তারিখ উল্লেখ করতে হবে। কিছু হারিয়ে গেলে তার বিস্তারিত বিবরণ এবং পারলে তার কোনো নমুনা, যেমন ছবি দরখাস্তের সঙ্গে সংযুক্ত করবেন। সব শেষে নিচে আপনার নাম, ঠিকানা ও ফোন নাম্বার লিখে দেবেন। আবেদনটি লেখা সম্পন্ন হলে এর দুটি ফটোকপি করবেন। যদি কোনো বিষয়ে এখনই কোনো মামলা না করতে চান, তাহলে জিডিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করে দিতে হবে যে এ বিষয়ে আপাতত কোনো মামলা করবেন না। তবে মনে রাখবেন, পুলিশ যদি মনে করে যে কোনো মারাত্মক অপরাধ ঘটেছে, তাহলে জিডি থেকেও মামলা হতে পারে। জিডি করতে যে কোনো পরামর্শের জন্য সার্ভিস ডেলিভারি অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনি যদি লিখতে না পারেন, তবে তাকে লিখে দিতে অনুরোধ করুন এবং এ জন্য থানায় জিডি করা হলে তা যদি কোনো অপরাধ আমলে নেয়ার জন্য হয়, তাহলে থানা কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আমলে নিয়ে অপরাধটি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেবেন। আর যদি কোনো অপরাধ অধর্তব্য প্রকৃতির হয়, তাহলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৫(২) ধারা অনুসারে এখতিয়ারবান ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।জিডির গুরুত্বআইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য পাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ জিডি। কোনো অপরাধ সংঘটনের বিরুদ্ধে আইন সহায়তাকারী সংস্থার সাহায্য পাওয়ার জন্য এটি প্রথম পদক্ষেপ এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। জিডি করতে দেরি হলে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ জোরালো হবে। অন্যদিকে জিডি সময়মতো করা হলে অভিযোগ শক্তিশালী হবে।অনলাইনে জিডি করার নিয়মঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বাসিন্দারা ঘরে বসে অনলাইনেই নির্ধারিত ফরম পূরণ করে দলিল, সার্টিফিকেট, পরিচয়পত্র ইত্যাদি হারানো, চুরি, ছিনতাই সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে জিডি এন্ট্রি সম্পন্ন করতে পারেন। প্রথমেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়েবসাইট িি.িফসঢ়.মড়া.নফ ঠিকানায় প্রবেশের পর প্রধান পৃষ্ঠার ব্যানারের নিচেই দেখতে পাবেন 'সিটিজেন হেল্প রিকোয়েস্ট' নামের একটি ট্যাব। এ ট্যাবে ক্লিক করলে চলে আসবে আলাদা একটি পাতা। পাতার শুরুতেই অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি নিয়ে কিছু বর্ণনা দেয়া হয়েছে। নিচের অংশে রয়েছে তথ্য দেয়ার তালিকা। এ তালিকা থেকে আপনি যে ধরনের সাধারণ ডায়েরি করতে চান তা নির্বাচন করুন। নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী পাতায় আপনি পাবেন ডায়েরিকরার ফরম। ফরম পূরণের শুরুতে আপনি যে থানায় ডায়েরিটি করবেন তা নির্বাচন করতে হবে। এরপর আপনার নাম, ঠিকানাসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাবলি পূরণ করে 'সাবমিট' বাটনটি ক্লিক করলেই সংশ্লিষ্ট থানায় পেঁৗছে যাবে আপনার তথ্য। স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনি একটি শনাক্তকরণ নাম্বার ও থানা থেকে কবে ডায়েরি-সংক্রান্ত সত্যায়িত কাগজটি সংগ্রহ করবেন তার সময় জানতে পারবেন। নাম্বারটি সংরক্ষণ করুন। কারণ থানা থেকে আপনার সাধারণ ডায়েরির সত্যায়িত কপিটি সংগ্রহ করতে নাম্বারটির প্রয়োজন পড়বে। শুরুতে শুধু ঢাকা মেট্রোপলিটনের সব থানার আওতায় বসবাসকারীরা এ সুযোগ পাচ্ছেন। এ ছাড়া বখাটে, মাদকসেবী বা অপরাধীদের আড্ডাস্থল বা অন্য কোনো অবৈধ সমাবেশ সম্পর্কিত অভিযোগ অনলাইনে করার সুযোগ রয়েছে। এভাবে অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি-সংক্রান্ত যে কোনো পরামর্শ ও তথ্যের জন্য নধহমষধফবংয@ঢ়ড়ষরপব.মড়া.নফ ঠিকানায় মেইলও পাঠাতে পারেন।জিডিতে কী কী উল্লেখ করতে হয়ঘটনা সংঘটিত হওয়া স্থানের নাম, সময়, সাক্ষী (যদি থাকে), সন্দেহকারী ব্যক্তির নাম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ঠিকানা, সন্দেহের কারণ ইত্যাদি উল্লেখ করতে হয়। আর শেষে থাকবে জিডিকারীর নাম, স্বাক্ষর, পিতার নাম, ঠিকানা ও তারিখ। যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হলে থাকেন তাদের হল প্রভোস্টের স্বাক্ষর লাগতে পারে। যদি থানা কর্তৃপক্ষ আপনার জিডি এন্ট্রি করতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে আপনি সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদন করে আপনার আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।জিডির পর করণীয়প্রত্যেক জিডি এন্ট্রির একটি নির্দিষ্ট নাম্বার ও তারিখ থাকে। লিখিতভাবে জিডি করার ক্ষেত্রে লিখিত দরখাস্তটির তিনটি অনুলিপি থানায় দাখিল করা হলে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা এগুলোর একটি অনুলিপি থানায় রেকর্ড হিসেবে সংরক্ষণ করবেন। অন্য একটি অনুলিপি জিডি এন্ট্রির নাম্বার ও তারিখ প্রদান মোতাবেক সিলমোহরাঙ্কিত অবস্থায় দরখাস্তকারীকে ফেরত দেবেন। তৃতীয় অনুলিপিটি তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য রাখা হয়। এটা পরবর্তীতে লাগতে পারে। বিশেষ করে হারানো কোনো কিছু পাওয়ার ক্ষেত্রে এটি অবশ্যই লাগবে। আবার প্রত্যেক জিডি এন্ট্রির বিষয়কে গুরুত্ব অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করার নিয়ম আছে। তবে যেসব জায়গায় অনেক বেশি পরিমাণে জিডি হয়ে থাকে সেসব স্থানে থানার পক্ষে সব জিডির বিষয় তদন্ত করা সম্ভব হয় না। তবুও থানায় কোনো জিডি করার পর যদি কোনো অপরাধ সংঘটিত হয় সে ক্ষেত্রে জিডি এন্ট্রিটিঅপরাধীর বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণে অত্যন্ত সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হয়। মনে রাখবেন, জিডি করা মানে কোনো মামলা করা নয়। মামলা হয় কোনো ফৌজদারি অপরাধ ঘটে গেলে। আর কোনো ঘটনা বা অপরাধ এখনো সংঘটিত হয়নি কিন্তু ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বা কাউকে হুমকি দেয়ার কারণে শান্তি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে সে ক্ষেত্রেই জিডি এন্ট্রি করা আবশ্যক হয়ে পড়ে; যাতে অপরাধ সংঘটনকারী সতর্ক হয়ে যায়।
জিডির পূর্ণরূপজেনারেল ডায়েরি, যাকে বাংলায় সাধারণ ডায়েরি বলা হয়। এ ডায়েরি হলো কোনো অপরাধ বা ক্ষতি সংঘটনের আশঙ্কাজনিত বিবরণ। এর জন্য থানায় গিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তার কাছে ঘটনাটি মৌখিক বা লিখিতভাবে জানাতে পারেন। জিডি করার জন্য থানায় কোনো টাকা দিতে হয় না। এর জন্য কোনো ফি-ও ধার্য নেই। ঘটনা যেখানে সংঘটিত হয়েছে তার নিকটবর্তী থানায় গেলেই দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা জিডি লিপিবদ্ধ করবেন। পুলিশের সাহায্য নিয়েও জিডির জন্য দরখাস্ত লিখতে পারেন। জেনারেল ডায়েরি একটি মূল্যবান রেজিস্ট্রার। প্রত্যেক থানা বা ফাঁড়িতে জেনারেল ডায়েরি (জিডি) রয়েছে। সাধারণত যেসব বিষয়ে জিডি করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে ইভ টিজিং,হারানো দলিল, নতুন/পুরান ভাড়াটিয়া সম্পর্কিত তথ্য, নতুন/পুরান নৈশপ্রহরী, দারোয়ান, গৃহপরিচারিকা, কেয়ারটেকার এবং পলায়নসংক্রান্ত বিষয় (যেমন ছেলে মেয়েকে বা মেয়ে ছেলেকে নিয়ে পালালে বা কাজের মানুষ পালালে)। তবে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, মারামারি, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ইত্যাদি ঘটনায় মামলা হয়,জিডি হয় না। ব্যক্তিগতভাবেথানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে তাৎক্ষণিকভাবেব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।কোথায় জিডি করবেন?জিডি করার ক্ষেত্রে সাধারণত ঘটনাস্থলকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত। অর্থাৎ যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে বা ঘটার আশঙ্কা আছে সে এলাকার থানাতেই জিডি করতে হবে। আবেদন করতে হবে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)বরাবর। নিচে থাকবে থানার নাম। বিষয় হিসেবে উল্লেখ করতে হবে যে ব্যাপারে জিডি করতে চান তার নাম (যেমন হারানোর ব্যাপারে লিখতে পারেন : হারানো সংবাদ সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন)। বিবরণ অংশে আপনাকে বিস্তারিত লিখতে হবে। অবশ্যই আপনাকে আশঙ্কার কারণ, যার জন্য আশঙ্কা করা হচ্ছে বা যে হুমকি দিচ্ছে তার নাম, ঠিকানা, হুমকির স্থান, তারিখ উল্লেখ করতে হবে। কিছু হারিয়ে গেলে তার বিস্তারিত বিবরণ এবং পারলে তার কোনো নমুনা, যেমন ছবি দরখাস্তের সঙ্গে সংযুক্ত করবেন। সব শেষে নিচে আপনার নাম, ঠিকানা ও ফোন নাম্বার লিখে দেবেন। আবেদনটি লেখা সম্পন্ন হলে এর দুটি ফটোকপি করবেন। যদি কোনো বিষয়ে এখনই কোনো মামলা না করতে চান, তাহলে জিডিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করে দিতে হবে যে এ বিষয়ে আপাতত কোনো মামলা করবেন না। তবে মনে রাখবেন, পুলিশ যদি মনে করে যে কোনো মারাত্মক অপরাধ ঘটেছে, তাহলে জিডি থেকেও মামলা হতে পারে। জিডি করতে যে কোনো পরামর্শের জন্য সার্ভিস ডেলিভারি অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনি যদি লিখতে না পারেন, তবে তাকে লিখে দিতে অনুরোধ করুন এবং এ জন্য থানায় জিডি করা হলে তা যদি কোনো অপরাধ আমলে নেয়ার জন্য হয়, তাহলে থানা কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আমলে নিয়ে অপরাধটি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেবেন। আর যদি কোনো অপরাধ অধর্তব্য প্রকৃতির হয়, তাহলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৫(২) ধারা অনুসারে এখতিয়ারবান ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।জিডির গুরুত্বআইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য পাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ জিডি। কোনো অপরাধ সংঘটনের বিরুদ্ধে আইন সহায়তাকারী সংস্থার সাহায্য পাওয়ার জন্য এটি প্রথম পদক্ষেপ এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। জিডি করতে দেরি হলে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ জোরালো হবে। অন্যদিকে জিডি সময়মতো করা হলে অভিযোগ শক্তিশালী হবে।অনলাইনে জিডি করার নিয়মঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বাসিন্দারা ঘরে বসে অনলাইনেই নির্ধারিত ফরম পূরণ করে দলিল, সার্টিফিকেট, পরিচয়পত্র ইত্যাদি হারানো, চুরি, ছিনতাই সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে জিডি এন্ট্রি সম্পন্ন করতে পারেন। প্রথমেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়েবসাইট িি.িফসঢ়.মড়া.নফ ঠিকানায় প্রবেশের পর প্রধান পৃষ্ঠার ব্যানারের নিচেই দেখতে পাবেন 'সিটিজেন হেল্প রিকোয়েস্ট' নামের একটি ট্যাব। এ ট্যাবে ক্লিক করলে চলে আসবে আলাদা একটি পাতা। পাতার শুরুতেই অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি নিয়ে কিছু বর্ণনা দেয়া হয়েছে। নিচের অংশে রয়েছে তথ্য দেয়ার তালিকা। এ তালিকা থেকে আপনি যে ধরনের সাধারণ ডায়েরি করতে চান তা নির্বাচন করুন। নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী পাতায় আপনি পাবেন ডায়েরিকরার ফরম। ফরম পূরণের শুরুতে আপনি যে থানায় ডায়েরিটি করবেন তা নির্বাচন করতে হবে। এরপর আপনার নাম, ঠিকানাসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাবলি পূরণ করে 'সাবমিট' বাটনটি ক্লিক করলেই সংশ্লিষ্ট থানায় পেঁৗছে যাবে আপনার তথ্য। স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনি একটি শনাক্তকরণ নাম্বার ও থানা থেকে কবে ডায়েরি-সংক্রান্ত সত্যায়িত কাগজটি সংগ্রহ করবেন তার সময় জানতে পারবেন। নাম্বারটি সংরক্ষণ করুন। কারণ থানা থেকে আপনার সাধারণ ডায়েরির সত্যায়িত কপিটি সংগ্রহ করতে নাম্বারটির প্রয়োজন পড়বে। শুরুতে শুধু ঢাকা মেট্রোপলিটনের সব থানার আওতায় বসবাসকারীরা এ সুযোগ পাচ্ছেন। এ ছাড়া বখাটে, মাদকসেবী বা অপরাধীদের আড্ডাস্থল বা অন্য কোনো অবৈধ সমাবেশ সম্পর্কিত অভিযোগ অনলাইনে করার সুযোগ রয়েছে। এভাবে অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি-সংক্রান্ত যে কোনো পরামর্শ ও তথ্যের জন্য নধহমষধফবংয@ঢ়ড়ষরপব.মড়া.নফ ঠিকানায় মেইলও পাঠাতে পারেন।জিডিতে কী কী উল্লেখ করতে হয়ঘটনা সংঘটিত হওয়া স্থানের নাম, সময়, সাক্ষী (যদি থাকে), সন্দেহকারী ব্যক্তির নাম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ঠিকানা, সন্দেহের কারণ ইত্যাদি উল্লেখ করতে হয়। আর শেষে থাকবে জিডিকারীর নাম, স্বাক্ষর, পিতার নাম, ঠিকানা ও তারিখ। যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হলে থাকেন তাদের হল প্রভোস্টের স্বাক্ষর লাগতে পারে। যদি থানা কর্তৃপক্ষ আপনার জিডি এন্ট্রি করতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে আপনি সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদন করে আপনার আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।জিডির পর করণীয়প্রত্যেক জিডি এন্ট্রির একটি নির্দিষ্ট নাম্বার ও তারিখ থাকে। লিখিতভাবে জিডি করার ক্ষেত্রে লিখিত দরখাস্তটির তিনটি অনুলিপি থানায় দাখিল করা হলে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা এগুলোর একটি অনুলিপি থানায় রেকর্ড হিসেবে সংরক্ষণ করবেন। অন্য একটি অনুলিপি জিডি এন্ট্রির নাম্বার ও তারিখ প্রদান মোতাবেক সিলমোহরাঙ্কিত অবস্থায় দরখাস্তকারীকে ফেরত দেবেন। তৃতীয় অনুলিপিটি তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য রাখা হয়। এটা পরবর্তীতে লাগতে পারে। বিশেষ করে হারানো কোনো কিছু পাওয়ার ক্ষেত্রে এটি অবশ্যই লাগবে। আবার প্রত্যেক জিডি এন্ট্রির বিষয়কে গুরুত্ব অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করার নিয়ম আছে। তবে যেসব জায়গায় অনেক বেশি পরিমাণে জিডি হয়ে থাকে সেসব স্থানে থানার পক্ষে সব জিডির বিষয় তদন্ত করা সম্ভব হয় না। তবুও থানায় কোনো জিডি করার পর যদি কোনো অপরাধ সংঘটিত হয় সে ক্ষেত্রে জিডি এন্ট্রিটিঅপরাধীর বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণে অত্যন্ত সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হয়। মনে রাখবেন, জিডি করা মানে কোনো মামলা করা নয়। মামলা হয় কোনো ফৌজদারি অপরাধ ঘটে গেলে। আর কোনো ঘটনা বা অপরাধ এখনো সংঘটিত হয়নি কিন্তু ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বা কাউকে হুমকি দেয়ার কারণে শান্তি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে সে ক্ষেত্রেই জিডি এন্ট্রি করা আবশ্যক হয়ে পড়ে; যাতে অপরাধ সংঘটনকারী সতর্ক হয়ে যায়।
Comments
Post a Comment