Posts

Showing posts from January, 2016

রাজতন্ত্র বনাম গনতন্ত্র:

রাজতন্ত্র বনাম গনতন্ত্র: রাজতন্ত্র বলতে আমরা কি বুঝি? রাজতন্ত্র হলো রাজার ছেলে বা মেয়ে উত্তরাধিকারী সূত্রে রাজা বা রানি হবে। এজন্য তাদের কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। কেবল মাত্র বংশ সূত্রে তারা রাজা বা রানি হয় এবং রাজ্য শাষন করে। যেখানে সাধারন জনগনের মতামতের কোনো মূল্য থাকে না। আর গনতন্ত্র হলো জনগনের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি যারা সাধারন জনগনের ভালোর জন্য দেশ পরিচালনা করে। গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে রাজনৈতিক দল সবথেকে বেশি ভোট পায় সেই রাজনৈতিক দলের প্রধানই সরকার প্রধান হয়। আর রাজ নৈতিক দলের প্রধান কিভাবে নির্বাচিত হয়? যেকোনো রাজনৈতিক দলের সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তিটি ঐ রাজনৈতিক দলের প্রধান নির্বাচিত হয় বা হওয়া উচিত। এখন প্রশ্ন হলো আমাদের দেশে কোন শাষন ব্যবস্থা follow করা হয়, রাজতন্ত্র না গনতন্ত্র? সংবিধান অনুযায়ি আমরা গনতান্তিক শাষন ব্যবস্থা follow করি। কিন্তু বাস্তবে কি আমাদের দেশে গনতন্ত্র আছে? আমরা সবাই জানি যে আমাদের দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রধান সবসময় দুটি নির্দিষ্ট পরিবারের সদস্যরাই হয়ে থাকেন, তাদের দেশ পরিচালনা করার যোগ্যতা থাক বা না থাক। দলের সবচেয়ে যোগ্য ব্...

দানপত্র বা উইল কিভাবে করবেন এবং কখন তা কার্যকর হয়

দানপত্র বা উইল কিভাবে করবেন এবং কখন তা কার্যকর হয় উইল অর্থ ইচ্ছা। মুসলিম আইনে উইল হলো একটি আইনগত ঘোষণা। এই আইনগত ঘোষণার মাধ্যমে ঘোষণাকারী তার সম্পত্তি সম্পর্কিত কোনো ইচ্ছা বা বাসনা তার মৃত্যুর পর পূরণ হোক এটা প্রকাশ করে। উইলের সংজ্ঞা: উইল সমাজের একটি অতি পরিচিত নাম। তবে এর আইনগত সংজ্ঞা দিয়েছেন বিখ্যাত আইনবিদরা। উইলের সংজ্ঞায় প্রখ্যাত আইনবিদ জারমান বলেন, ‘উইল হলো এমন একটি দলিল, যা দ্বারা কোনো ব্যক্তি তার সম্পত্তির এমন বিলিব্যবস্থা করতে পারে, যা উইলকারীর মৃত্যুর পর কার্যকরযোগ্য।’ আইনের ভাষায় উইল হচ্ছে, কোনো সুনির্দিষ্ট জিনিসের বা মুনাফার বা কোনো সুবিধাদির মধ্যে আনুতোষিক বা উপহার প্রদানের পদ্ধতিতে উইলকারীর মৃত্যু পর্যন্ত তা স্থগিত রাখার অধিকার দান করা। একজন উইলকারীর উইল মৃত্যুর মুহূর্ত থেকে কার্যকর হয়। যে উইল করে তাকে উইলকারী এবং যার নামে উইল করা হয় তাকে উইল-গ্রহীতা বলা হয়। উইলের মূল উৎস কোরআন। ১৯২৫ সালের উত্তরাধিকারী আইনের ২ (এইচ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো হিন্দু জীবদ্দশায় (তাহার মৃত্যুর পর) যাবতীয় সম্পত্তি কিভাবে বিলিব্যবস্থা হইবে তাহা যদি কোনো লিখিত দলিল দ্বারা নিরু...

সমস্যা ও সমাধান: হেবা

সমস্যা ও সমাধান: হেবা সমস্যা: একজন ব্যক্তির তিন মেয়ে। কোন ছেলে নাই। সে চাই তার মৃত্যুর পর তার সব সম্পত্তি তার মেয়েরা পাক। এখন সে কি করতে পারেন যাতে তার সব সম্পত্তি তার মেয়েরা পায়? সমাধান: তাকে তার মৃত্যুর আগে তার সব সম্পত্তি মেয়েদের হেবা বা দান করতে হবে। হেবা কি ও কিভাবে করতে হবে - "কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কোন প্রকার বিনিময়/ প্রতিদান ছাড়া কোন সম্পত্তি হস্তান্তর করাকে হেবা বা দান বলে। হেবা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে হতে হবে। কাউকে প্রতারিত বা অন্য কোন বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে হেবা করা যাবে না। কিন্তু হেবার কয়েকটি শর্ত আছে যেগুলো পূরন না করলে হেবা বা দানটি বৈধ হেবা বা দান বলে বিবেচিত হবে না। হেবার শর্তঃ ১। দাতার দান করার ঘোষনা বা ইচ্ছা প্রকাশ। ২। গৃহীতা বা তার পক্ষে দান গ্রহন করা। ৩। অনতিবিলম্বে দান হস্তান্তর। আবার যে হেবা করবে তাকে সুস্থ মস্তিস্কসম্পন্ন হতে হবে, প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে এবং দান অবশ্যই সেচ্ছায় করতে হবে, কারও প্ররোচনায় করা যাবে না। মনে রাখতে হবে যে দখল অর্পনের পূর্বে যেকোন সময় হেবা প্রত্যাহার করা যায়। একবার হস্তান্তর হয়ে গেলে কেবল আদালতের অনু...
মুসলিম উত্তরাধিকার আইনঃ কে কত অংশ পাবেন - মুসলিম আইনে মৃত ব্যক্তির সম্পদের সুষম বন্টনের জন্য সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে, মুসলিম আইনে পরিষ্কার ভাবে বলা আছে মৃত ব্যক্তির সম্পদ তাঁর উত্তরাধিকারীরা কে কিভাবে পাবেন। একজন মুসলমান যদি মারা যায় তবে তাঁর সম্পদ বন্টনের আগে কিছু বিষয়ে তাঁর আত্মীয় স্বজনদের বিশেষ মনোযোগ রাখতে হয় এবং ঐ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেই কেবল মৃত ব্যক্তির সম্পদ ভাগ বাটোয়ারা করা যাবে। একজন মুসলমানের মৃত্যুর পর তাঁর সম্পদ ভাগের আগে যা করনীয়ঃ ১) যদি মৃত ব্যক্তির পর্যাপ্ত সম্পদ থাকে তবে তাঁর সম্পদ থেকে তাঁর দাফন কাফনের ব্যবস্থা করা। ২) মৃত ব্যক্তির কোন প্রকারের ঋণ কিংবাদ ধার দেনা থাকলে তা ঐ ব্যক্তির সম্পদ থেকে পরিশোধ করার ব্যবস্থা করা। ৩) মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর দেনমোহোর পরিশোধ হয়েছে কিনা দেখা যদি না হয়ে থাকে তা পরিশোধ করা। ৪) মৃত ব্যক্তি যদি কোন হেবা বা দান কিংবা অসিহত করে যান তবে উল্লেখিত সম্পত্তি দান করে দেয়া। এগুলা করার পর বাকি সম্পত্তির বন্টন: মৃতের বাবাঃ ১। মৃত ব্যক্তির কোন পুত্র থাকলে বাবা ছয় ভাগের এক ভাগ (১/৬) পাবেন। ২। পুত্র, পুত্রের পুত্র না থাকলে ...

বাটোয়ারা দলিল:

বাটোয়ারা দলিল: কেন করবেন, কিভাবে করবেন ধরুন, বাবা-মার মৃত্যুর পর আপনারা ভাইবোনেরা নিজেদের উত্তরাধিকার সম্পত্তি নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে চান। সাধারণত আমাদের দেশে এ রকম ক্ষেত্রে মৌখিক সমঝোতার মধ্য দিয়ে ভাগ-বাটোয়ারা করেই অংশীদাররা সম্পত্তি ভোগ করে থাকেন। কিন্তু এর ফলে ভবিষ্যতে উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বাটোয়ারা দলিল সম্পাদনের মধ্য দিয়ে এই জটিলতা কমিয়ে আনা যায়। ১৮৯৯ সালের স্ট্যাম্প আইনের ২(১৫) ধারায় বণ্টন দলিল সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, 'বণ্টন দলিল' অর্থ এমন কোনো দলিল যার মাধ্যমে কোনো সম্পত্তির সহ-মালিকগণ কোনো নির্দিষ্ট সম্পত্তি ব্যক্তিগত মালিকানায় পৃথকভাবে ভাগ করে নেয় বা নিতে সম্মত হয়। উল্লেখ্য, বণ্টন কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোনো রাজস্ব কর্তৃপক্ষ অথবা কোনো দেওয়ানি আদালত প্রদত্ত কোনো চূড়ান্ত আদেশ এবং কোনো সালিশকারী কর্তৃক প্রদত্ত বণ্টন-নির্দেশ রোয়েদাদও 'বণ্টক দলিল'-এর অন্তর্ভুক্ত। বাটোয়ারা দলিল কখন? যৌথ পরিবারে ক্রয় করা সম্পত্তি ভোগদখলের সুবিধার্থে দখল অনুযায়ী বণ্টন করা যেতে পারে। আবার ...

Boiling the frog: বাংলা ভার্সন

Boiling the frog: বাংলা ভার্সন একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে একটি ব্যাঙ রেখে পানি গরম করা শুরু করা হল।পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ব্যাঙটিও তার শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে সহনীয় পর্যায়ে নিতে শুরু করল যদিও সে চাইলেই লাফ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারত কিন্তু সে লাফ দেয় না। তাপমাত্রা আরো বাড়ানো হল, তখনও সে সহ্য করতে থাকে। আস্তে আস্তে তাপমাত্রা যখন আরও বাড়িয়ে ফুটন্ত গরম করা হয় তখন ব্যাঙটি আর সহ্য করতে না পেরে সে সিদ্ধান্ত নেয় লাফ দেওয়ার।কিন্তু তখন আর তার লাফ দেওয়ার মত শক্তি তার থা কে না। পানি আরও গরম হতে থাকে যার ফলে সে গরম পানিতে ফুটে একটা সময় মারা যায়। এখন যদি প্রশ্ন করা হয় ব্যাঙটি কিভাবে মারা গেছে? তাহলে অধিকাংশ মানুষই বলবেন গরম পানির কারনে মারা গেছে। কিন্তু না সে গরম পানির জন্য মারা যায়নি সে মারা গেছে লাফ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেরিতে নেওয়ার কারনে। ঠিক তেমনি প্রতিটি মানুষের স্থান কাল পাত্র ভেদে একেকটা বিষয়ে সহ্য করার ক্ষমতা থাকে কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখতে হবে ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও আমাদের বুঝতে হবে কখন সরে যাওয়া উচিত অর্থাৎ সঠিক সময়ের সিদ্ধান্ত সঠিক সময় নেওয়া উচিত।...

সম্পত্তি বণ্টনের মামলা করবেন কিভাবে?

সম্পত্তি বণ্টনের মামলা করবেন কিভাবে? সম্পত্তি বণ্টন নিয়ে বিবাদ-বিসংবাদ একটি সনাতন ব্যাপার। উত্তরাধিকার সম্পত্তি কিংবা যৌথ সম্পত্তিতে সহ-অংশীদারদের মালিকানা নির্ণয়ে নানা রকম আইনি জটিলতা ও বিরোধ সৃষ্টি হয়। বাটোয়ারা দলিলের মধ্য দিয়ে অংশীদাররা শুরুতে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে ঐকমত্যে পৌঁছা সম্ভব না হলে আদালতে 'বাটোয়ারা মামলা' দায়ের করার বিকল্প থাকে না। দৃশ্যপট-১ ফারহানারা তিন ভাই ও চার বোন। মা বেঁচে আছেন। তার বাবার মৃত্যুর সময় প্রায় ৩০ কোটি টাকার সম্পদ ও সম্পত্তি রেখে গেছেন ওয়ারিশদের জন্য। কিন্তু সম্পত্তি এখন পর্যন্ত ভাগ হয়নি। ফারহানার দুই ভাই জোর করে বেশি সম্পত্তি ভোগ করছেন। আবার তার এক ভগ্নিপতি রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেও বেশ কিছু সম্পত্তি ভোগ করছেন। এর মধ্য দিয়ে বিপদে আছে ফারহানা, তার মা আর তিন বোন। তার দুই ভাই ও ছোট ভগ্নিপতি সম্পত্তি ভাগ করতে দিতে চান না। এত এত সম্পত্তি থাকার পরও ফারহানারা মারাত্মক কষ্টে দিনাতিপাত করছে। এতদিন যাবত সম্পত্তির দলিলপত্র ফারহানার মায়ের কাছে ছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে তার ভাইয়ের ছেলে ও ছোট ভগ্নিপতি সম্পত্তির স...

হিজানাত:

হিজানাত: সাধারণত শিশু সন্তানের তত্ত্বাবধান, অভিভাবকত্ব ও ভরণপোষণের বিষয়গুলি পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ ১৯৮৫ ও The Guardians and Ward Act 1890 দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। মুসলিম পারিবারিক আইন অনুসারে, পিতা হচ্ছেন সন্তান ও সন্তানের সম্পত্তির প্রাকৃতিক ও আইনগত অভিভাবক (যদি পিতা মৃত হয়, বাবা মা তালাক প্রাপ্ত হন অথবা বাবা মায়ের সম্পর্কে টানাপোড়েন বা অন্য যে কোন কারণে সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণের প্রয়োজন হয়ে যায়, তবে আদালত কাকে দায়িত্ব দিবে? এই প্রশ্নটির উত্তর আমাদের সবার জেনে রাখা ভাল, বিশেষ ভাবে পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে নারীদের জন্য এই আইনটি জানা অত্যন্ত জরুরী। পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ ১৯৮৫ অনুসারে, সাধারণত একজন শিশু সন্তানের তত্ত্বাবধানের অধিকার বা দায়িত্ব পেয়ে থাকে ঐ শিশু সন্তানটির মাতা [এই অধিকারকে বলা হয় হিজানাত (Hizanat)] যদি না তিনি: * পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, * ঐ শিশু সন্তানটি সহ অন্যত্র বসবাসের জন্য চলে যান যা পিতার বসবাসের স্থান থেকে অনেক দূরে হয়, * শিশুটিকে অবহেলা বা অযত্ন করেন, * অনৈতিক জীবন যাপন করেন, * ধর্ম ত্যাগ করেন, * দুশ্চরিত্র বান হন, * বিশ্বস...

পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩

পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩ এই আইনের ধারা ৩ মোতাবেক, (১) প্রত্যেক সন্তানকে তাহার পিতা-মাতার ভরণ পোষণ নিশ্চিত করিতে হইবে। (২) কোন পিতা-মাতার একাধিক সন্তান থাকিলে সেইক্ষেত্রে সন্তানগণ নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করিয়া তাহাদের পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করিবে। (৩) এই ধারার অধীন পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করিবার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে পিতা-মাতার একইসঙ্গে একই স্থানে বসবাস নিশ্চিত করিতে হইবে। (৪) কোন সন্তান তাহার পিতা বা মাতাকে বা উভয়কে তাহার, বা ক্ষেত্রমত, তাহাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে, কোন বৃদ্ধ নিবাস কিংবা অন্য কোথাও একত্রে কিংবা আলাদা আলাদাভাবে বসবাস করিতে বাধ্য করিবে না। (৫) প্রত্যেক সন্তান তাহার পিতা এবং মাতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখিবে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও পরিচর্যা করিবে। (৬) পিতা বা মাতা কিংবা উভয়, সন্তান হইতে পৃথকভাবে বসবাস করিলে, সেইক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে নিয়মিতভাবে তাহার, বা ক্ষেত্রমত, তাহাদের সহিত সাক্ষাত করিতে হইবে। (৭) কোন পিতা বা মাতা কিংবা উভয়ে, সন্তানদের সহিত বসবাস না করিয়া পৃথকভাবে বসবাস করিলে, সেইক্ষেত্রে উক্ত পিতা বা মাতার প্রত্যেক সন্তান...

পুলিশি নির্যাতনের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে বা পুলিশি হয়রানির পর করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন

‘মুক্তিযুদ্ধ’ বাংলাদেশ পুলিশের ট্র্যাডিশনাল চরিত্রে বিরাট পরিবর্তন এনে দিয়েছিলো। কিন্তু সাম্প্রতিক বিতর্কিত কিছু ঘটনায় পুলিশের সেই ভাবমূর্তি এখন ম্লান হয়ে উঠেছে। জনগণের জানমাল ও সম্পদের হেফাজত না করে পুলিশের কিছু অংশ এখন সাধারণ মানুষকে নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে।  তাই পুলিশি নির্যাতনের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে বা পুলিশি হয়রানির পর করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন।  ‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩’ অনুসারে ঘটনা সংশ্লিষ্ট যে কেউ অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন। এই আইনের অধীনে ‘অভিযোগকারী’ হতে পারেন অভিযোগ উত্থাপনকারী বা ভুক্তভোগী উভয়ে।  ‘ক্ষতিগ্রস্ত অথবা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি’ অর্থ ওই ব্যক্তি যাকে এই আইনের অধীনে তার উপর অথবা তার সংশ্লিষ্ট বা উদ্বিগ্ন এমন কারো উপর নির্যাতন করা হয়েছে। এছাড়াও কোনো ব্যক্তিকে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্যাতন করেছে বা করছে এরকম কোনো তথ্য তৃতীয় কোনো ব্যক্তি আদালতকে অবহিত করলে আদালত অভিযোগকারীর বিবৃতির ওপর নিজের মন্তব্য লিপিবদ্ধ করে উক্ত ব্যক্তির নিরাপত্তা বিধান করবেন। আইনত যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যাবে:  আইন অনুসারে ‘আইন ...

"মুসলিম আইনে তালাকের বিধি-বিধান"

"মুসলিম আইনে তালাকের বিধি-বিধান" আইনের ভাষায় তালাক হচ্ছে ‘বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করা অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক যদি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, একত্রে বসবাস করা উভয়ের পক্ষেই বা যে কোন এক পক্ষের সম্ভব হয় না, সেক্ষেত্রে তারা নির্দিষ্ট উপায়ে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে।’ সুমির (ছদ্ম নাম) দাম্পত্য জীবনে এমনটিই ঘটেছিল। অবশেষে তিনি তার স্বামীকে তালাক প্রদান করেন। কাবিননামার ১৮ নম্বর ঘরে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দেওয়া ছিল। সেই অধিকারের ভিত্তিতে সুমী স্থানীয় কাজি অফিস থেকে তালাকের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে তালাকনামা স্বামীর বরাবর পাঠিয়ে দেন। কিন্তু স্বামীর বসবাসরত স্থানীয় চেয়ারম্যান অফিসে পাঠানো হয়নি কোনো তালাকের কপি। সুমীর এ বিষয়টি জানা ছিল না। স্থানীয় কাজি অফিস থেকেও পাঠানো হয়নি কোনো কপি। কিন্তু আইন অনুযায়ী স্বামী বা স্ত্রী যে কেউ একে অপরকে তালাক দিতে চাইলে তাকে যে কোন পদ্ধতির তালাক ঘোষণার পর যথাশীঘ্রই সম্ভব স্থানীয় ইউপি/পৌর/সিটি মেয়রকে লিখিতভাবে তালাকের নোটিশ দিতে হবে এবং তালাক গ্রহীতাকে উক্ত নোটিশের নকল প্রদান করতে হবে। চেয়ারম্যান/মেয়...

দেওযানি মামলার বিভিন্ন ধাপ

দেওযানি মামলার বিভিন্ন ধাপ: আদালত সম্পর্কে বিচার প্রার্থীদের অনভিজ্ঞতা এবং ভয় ভীতি পরোক্ষভাবে আদালতের দাড়গোড়ায় তাদের ভোগান্তি বৃদ্ধি করে। মামলা সাধারণত ফৌজদারী বা দেওয়ানী এই দুই প্রকারের হয়। জমি জমা বা সম্পদ এবং পদ সংক্রান্ত মামলাকে দেওয়ানী মামলা বলা হয়। দেওয়ানী মামলা বিচারে কয়েকটি ধাপ আছে এবং প্রতিটি ধাপের জন্য আইনের কিছু নির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। দেওয়ানী মামলার পূর্ব শর্ত আরজি গঠন। বাদীর নালিশের লিখিত বিবরণকে আরজি বলা হয়। ১। মামলা দায়ের ও আরজি গ্রহণ: দেওয়ানী মামলা শুরু হয় আরজি গ্রহণের মাধ্যমে। দেওয়ানী আদালতের সেরেস্তাদার বা তার অনুপস্থিতিতে সেরেস্তাদার হিসেবে কর্মরত কর্মচারী মামলার আর্জি গ্রহণ করে আরজির গায়ে বা তার সাথে যুক্ত অর্ডারশিটে বা স্লিপে মামলার ফাইলিং নম্বর লিখবেন। যেমন- দেওয়ানী মামলা নং - ১০০/২০২৫(এর অর্থ হল ঐ আদালতের ২০২৫ সালের ১০০ নম্বর দেওয়ানী মামলা)। এরপর সেরেস্তাদার অর্ডারশিটে আলাদা করে এবং সিল মোহর লাগিয়ে যিনি আর্জি উপস্থাপন করবেন তার কাছে ফেরত দিবেন। এরপর আর্জির সাথে দাখিল হতে পারে এরূপ সকল কাগজ পত্রে মামলার নম্বর উল্লেখ করতে হবে। সেরেস্তা...

জুডিসিয়াল নোটিশ ও কিছু কথা

জুডিসিয়াল নোটিশ ও কিছু কথা  -------------------------------- ১) কোন মামলার বিচারকালে আদালত যেসব ঘটনা বিচারক্রুপে অবহিত হবেন  যা প্রমানের দরকার পরেনা -সে বিষয়গুলোকে জুডিসিয়াল নোটিশ বলা হয় । ২) সাক্ষ্য আইনের ৫৬ এবং ৫৭ ধারায় জুডিসিয়াল নোটিশ সম্পর্কে বিধৃত  করা হয়েছে ।৫৬ ধারায় বিধান করা করা হয়েছে যে ,যেসকল ঘটনা বিচারকের দৃষ্টি গোচরে যাওয়ার যোগ্য সেগুলো প্রমান করার দরকার নেই । ৩) আইনের সাধারন নিয়ম হলো যিনি যা দাবী করবেন তিনি তা প্রমান করতে বাধ্য ।এই সাধারন নিয়মের একটি ব্যাতিক্রম হলো ৫৬ ধ্রায় জুডিসিয়াল নোটিশ ।অর্থাত কোন মামলার বিচারকালে আদালত যেসব ঘটনা বিচারক্রুপে অবহিত হবেন যা প্রমানের দরকার হবেনা । ৪) ৫৭ ধারায় বিধান করা হয়েছে যে ,নিম্নলিখিত বিষয় সমুহে আদালত অবশ্যই জুডিসিয়াল নোটিশে নিবে ; (১) বাংলাদেশের আইন সমুহ ; (২) সসসরো বাহিনীর জন্য প্রণীত যুদ্ধ বিধিসমুহ ; (৩) সংসদের কার্যপদ্ধতি ; (৪) আদালত কত্রিক ব্যাবরিত সিল ৫) এখানে স্মরণ রাখা দরকার যে ,দেশের সমস্ত আইনসমুহ রীতিমত গেজেটে প্রকাশিত হয়।আদালত সেগুলো পাবার কথা ।আইনে একটি নীতিতে বলা হয়েছে যে ," জানিনা বলে ...

জেনে নিন ভায়োলেশন কেইস সম্পর্কে

জেনে নিন ভায়োলেশন কেইস সম্পর্কে মোঃ আল-ইমরান খান, লেকচারার, আইন বিভাগ,স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ঘটনাঃ ধরুন, আপনি আপনার প্রতিবেশির সাথে জমি জমা সংক্রান্ত একটি বিষয়ে বিরোধের প্রেক্ষিতে দুই পক্ষের মধ্যে চলমান মামলার এক পর্যায়ে আদালতের কাছে এই মর্মে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছিলেন যে,যেহেতু আপনি জমির দখলে আছেন এবং আপনার কাছে জমির কাগজ পত্রাদি ও রয়েছে সুতরাং মামলার চূড়ান্ত নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমির ভোগ দখলে যাতে আপনার প্রতিবেশী- বিবাদী কোনরুপ হস্তক্ষেপ না করতে পারে সেইমর্মে তাকে আদেশ দেওয়া হোক। আদালত দুই পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে আপনার পক্ষে আস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করলেন এবং বিবাদীকে এই মর্মে নির্দেশ দিলেন যে, তিনি যেন পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত আপনার ভোগ দখলে বাঁধা না দেয়। কিন্তু আদেশ দেওয়ার সপ্তাহান্ত না পেরুতেই বিবাদী তার ছেলেদের নিয়ে উক্ত তর্কিত ভূমিতে প্রবেশ করতঃ গাছের ফল ও ডালপালা কেটে নিয়ে গিয়েছে; শুধু তাই নয় আপনাকে এই মর্মে শাসিয়েছে যে, আপনি যদি তিন দিনের মধ্যে জমি ছেড়ে না দেন তাহলে আপনাকে দেখে নেওয়া হবে। অর্থাৎ তিনি আদালতের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করেছেন। আলোচ্য বিষয়...

সংবিধান শর্টকাটে মনে রাখার টেকনিক।

সংবিধান শর্টকাটে মনে রাখার টেকনিক। ------------------------------ ------------------- সংবিধানের ১১টি ভাগ মনে রাখার উপায়ঃ প্র রা মৌ নি আ বি নি ম বাং জ সং বি আসুন, মিলিয়ে নেই- ১। প্র - প্রজাতন্ত্র ২। রা - রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ৩। মৌ - মৌলিক অধিকার ৪। নি - নির্বাহী বিভাগ ৫। আ - আইন সভা ৬। বি - বিচার বিভাগ ৭। নি - নির্বাচন ৮। ম - মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক ৯। বাং- বাংলাদেশের কর্মবিভাগ ৯ক। জ- জরুরী বিধানাবলী ১০। সং-সংবিধান সংশোধন ১১। বি- বিবিধ চলুন, এইবার আলাদা ভাবে অনুচ্ছেদ গুলোর দিকে দৃষ্টি দেই। অনুচ্ছেদ ১-১২ অনুচ্ছেদ ১-১২ মোটামুটি এমনি মনে থাকে। এই অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে গুরুত্তপূর্ন অনুচ্ছেদ গুলো হল- ২ - প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা ২ক - রাষ্ট্রধর্ম ( মনে রাখবেন কোন সংশোধনীর মাধ্যমে এটি হয়েছে) ৪ক - প্রতিকৃতি [১৫ তম সংশোধনীতে পরিবর্তন হয়েছে এখানে- জাতির পিতার প্রতিকৃতি] ৬ - নাগরিকত্ব [১৫ তম সংশোধনীতে পরিবর্তন হয়েছে এখানে- ৬(২)-বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসাবে বাঙালী এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশী বিলয়া পরিচিত হইবেন। ] ৭ - সংবিধানের প্রাধান্য [১৫ তম সংশোধনীতে পরিবর্তন হয়েছে এখানে- ৭ক ...