অগ্রক্রয় মামলায় উচ্চ আদালতের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সমূহ
যদি কোনো দলিল হন্তান্তরের মাধ্যমে কার্যকরী হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে সেই দলিলটি রেজিস্ট্রির তারিখই হলো অগ্রক্রয় বা Pre-Emption মামলা দায়ের করার অধিকার সৃস্টির তারিখ। যদি কোনো দলিল ২/১২/১৯৭৫ইং তারিখে রেজিস্ট্রির জন্য উপস্থাপন করা হয় এবং ঐ দলিলটি যদি ২৪/১০১৯৭৯ তারিখে রেজিস্ট্রি হয় এবং অগ্রক্রয় মামলাটি যদি ১৩/২/১৯৮০ইং তারিখে দায়ের করা হয় সেক্ষেত্রে আপিল আদালত ঐ মামলাটি তামাদি বলে বারিত করতে পারবে না। {31DLR (AD) (111)}
হোল্ডিং তথা কোনো জমির খন্ড বা খন্ড সমূহের কোনো আংশিক অংশের জন্য অগ্রক্রয় মামলা করার অনুমোদন এর বিধান নাই। {28DLR 400}
যদি কোনো ক্রেতা কোনো জমি ক্রয় করার পর ঐ জমিটি অগ্রক্রয়কারীর সামনে চাষাবাদ করে থাকে সেক্ষেত্রে ঐ জমি বিক্রয় সম্পর্কে অজ্ঞতা বা অজানার অজুহাতে ১২ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায় না। {33DLR 39}
অগ্রক্রয় অধিকারটি উত্তরাধিকার সূত্রে অধিকার অর্থাত্ কোনো ব্যক্তি অগ্রক্রয়ের মামলা করে যদি মারা যান সেক্ষেত্রে ঐ মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারিগণও ঐ অগ্র্রক্রয় মামলার স্থলাবর্তী হয়ে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন। {45DLR(AD) 118}
অগ্রক্রয়ের মামলা চালু থাকায় যদি কোনো সহ অংশীদার তার কোনো জমি ফেরত পায় তাহলেও অংশীদারদের অগ্রক্রয়ের মামলার অধিকারের কোনো ক্ষতি হয় না। {47DLR 607}
যদি একই দলিলে কয়েকটি হোল্ডিং বা জমির খন্ড হস্তান্তর করা হয়ে থাকে তাহলে এরূপ জমি খন্ডের সহ অংশীদার ঐ জমি খন্ডের প্রিএমশন মামলা করার জন্য দরখাস্ত করতে পারবেন। ২টি পৃথক জমি খন্ডের জন্য একই দরখাস্তে অগ্রক্রয় মামল করা যেতে পারে। {23DLR 68}
১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ৯৬ ধারা অনুযায়ী একজন ঘোষিত (Notified) বা অঘোষিত (Non Notified) সহ অংশীদার নোটিশ জারীর পর থেকে ৪ মাসের মধ্যে অগ্রক্রয় মামলা করতে পারবে এবং হস্তান্তরিত জমির পাশ্ববর্তী জমির মালিক ও জমিটি হস্তান্তরের বিষয় জানার ৪ মাসের মধ্যে অগ্রক্রয় মামলার জন্য দরখাস্ত করতে পারবেন ।{21DLR 463}
১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনন্সি এক্টের ১১৭ ধারার বিধান অনুযায়ী কোনো জমির সকল সহ অংশীদারগণের উপর নোটিশ জারীর পর জমাভাগ করা হয়েছে তা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত মূল জমা অক্ষত বা অখন্ড থাকবে এবং কোনো জমির (হোল্ডিং) সহ অংশীদার ঐ জমির সহ অংশীদার হিসাবে বিদ্যমান থাকবেন এবং তার অগ্রক্রয় মামলা করার অধিকার বলবত্ থাকবে। {52DLR 223}
অগ্রক্রয় মামলা করতে কোনো আগ্রহী ব্যক্তি বা দরখাস্তকারী ব্যক্তি যদি ১৯৫০ সালের স্টেট একুই জিশন এন্ড টেনন্সি এক্টের ৯০ ধারা অনুযায়ী জোত জমি দখলে রাখার সীমাবদ্ধতার ব্যাপারে যা প্রয়োজনীয় যেরূপ কোনো তথ্য উল্লেখ করতে কিংবা উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়। যেক্ষেত্রে দরখাস্ত কারীর দরখাস্ত খারিজ হয়ে যাবে। {33DLR 318}
দীর্ঘদিন অতিবাহিত পর যদি কোনো ব্যক্তি ১৯৫০ সালের স্টেট একুইজশন এন্ড টেনসি এক্টের ৯৬(১) ধারা অনুযায়ী তার (প্রি এমটর) অগ্রক্রয় অধিকার প্রয়োগ করতে চায় তাহলে ঐ ব্যক্তিকে বিতর্কিত জমিটির হস্তান্তরের বিষয়ে দেরীতে অবগত হওয়া বা জানার ব্যাপারটি তাকেই বিশ্বাসযোগ্য স্বাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। {50DLR-193}
কোনো অগ্রক্রয় মামলার দরখাস্তকারী যদি সহ অংশীদার হয়ে থাকেন তাহলে তিনি অবশিষ্ট সকল সহ-অংশীদারকে এবং দরখাস্তকারী যদি হস্তান্তরিত জমির সংযুক্ত বা পাশ্ববর্তী জমির মালিক হন তাহলে হস্তান্তরিত জমির সংযুক্ত বা পাশ্ববর্তী জমির মালিক হন তাহলে হস্তান্তরিত জমির পাশ্ববর্তী জমির মালিকগণকে এবং হস্তান্তর গ্রহীতাকে পক্ষ করে প্রি এমশন মামলা দায়ের করতে হবে। {33DLR(AD) 113}
উত্তরাধিকার সূত্রে রেকর্ডকৃত বা অ-রেকর্ডকৃত সকল সহ অংশীদারকে অগ্রক্রয় মামলায় আবশ্যকীয় পক্ষ করতে হবে অন্যথায় ঐ মামলার প্রয়োজনীয় বিষয় ব্যর্থ হয়ে যাবে। {28DLR(AD) 5, 33DLR(AD) 113}
অগ্রক্রয় মামলার জন্য দরখাস্ত কারী ব্যক্তিকে মামলা করার সময় পনের টাকা এবং ক্ষতিপূরণর টাকা জমা না দিলেও মামলা করা যাবে কিন্তু আদালত কর্তৃক প্রদত্ত সময় সীমার মধ্যে পনের টাকা এবং ক্ষতিপূরণের টাকা দাখিল করতে হবে। {IBLD(HCD) 328. }
সহ অংশীদার তার উপর নোটিশ জারীর পর মূল অগ্রক্রয় মামলায় যোগ দিতে পারবেন অথবা সময় সীমার মধ্যে স্বতন্ত্রভাবেও মামলা দায়ের করতে পারবেন তবে তাকে যে নন জয়ন্ডার অফ পার্টিজ করা হয়েছে তাকে সেই সুযোগটি প্রথমেই নিতে হবে নইলে ঐ আপত্তি গ্রহণ যোগ্য হবে না। (20DLR 480)
যদি কখনও ১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এক্টের ৯৬(১) ধারা অনুযায়ী অগ্রক্রয়ের দরখাস্তটি রক্ষনীয় নয় বলে খারিজ (ডিসমিস) হয়ে যায় তাহলে তার অর্থ এই নয় যে, যারা এই আইনের ৮৯ ধারা মতে নোটিশ জারীর পর মামলায় শরিক হন বা যোগদান করেন তাদের প্রি-এমশনের অধিকার বাতিল হয়ে যাবে। তাদের ও পরিস্কার যে, সহ দরখাস্তকারীগণের ক্ষেত্রে হস্তান্তরের বিষয়টি অবগত হওয়ার তারিখ নোটিশ জারীর তারিখ হতে হিসাব করতে হবে। {36DLR 250}
১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ৯৬ (৫) ধারা অনুযায়ী উত্তরাধিকার সূত্রে অংশীদারদের অগ্রক্রয় মামলার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকবে তারপর ক্রয়সূত্রে সহ অংশীদারের এবং তারপর পাশ্ববর্তী জমির মালিকের অধিকার আসবে।
যদি কোনো জমির হস্তান্তর হেবা বিল এওয়াজের মাধ্যমে হয়ে থাকে এবং হস্তান্তর গ্রহীতাগণ রক্তের সম্পর্কের ৩ তিন ডিগ্রীর মধ্যে না হন তাহলে অগ্রকয় বা প্রি এমশনের মামলার দরখাস্ত মঞ্জুর করা যাবে। {49DLR 477}
যদি কোনো জমির হস্তান্তর হেবা বিল এওয়াজের মাধ্যমে হয়ে থাকে এবং হস্তান্তর গ্রহীতাগণ রক্তের সম্পর্কের ৩ তিন ডিগ্রীর মধ্যে না হন তাহলে অগ্রকয় বা প্রি এমশনের মামলার দরখাস্ত মঞ্জুর করা যাবে। {49DLR 477}
১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনন্সি এক্টের ৯৬(১০) ধারা অনুযায়ী উইল বা ইচ্ছাপত্র বা দান কিংবা এওয়াজ বদলের মাধ্যমে কোন জমি হস্তান্তরিত হলে সেই হস্তান্তরের অগ্রক্রয় বা প্রি-এমশন মামলা হতে মুক্ত বা বহির্গত বলে গণ্য হবে । {48DLR 170}
কোনো ব্যক্তির পিতা যদি মূল মালিকের নিকট হতে প্রি-এমশনভুক্ত জমিটির মালিক হয়ে থাকেন এবং পিতার মৃত্যুর পর পূত্রগণ/উত্তরাধিকারী গণ ঐ জমির মালিক বলে গণ্য হবেন এবং পূত্রগণ উত্তরাধিকার সূত্রে জমিটির মূল মালিকের সহ-অংশীদার বলে গন্য হবেন। {35DLR(AD) 54}
১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ৯৬ ধারার ১০ উপধারায় উল্লেখিত ব্যতিক্রম অনুযায়ী যদি কোনো জমির হস্তান্তর আর্থিক বিবেচনা ব্যতীত হেবা বিল এওয়াজ কোন জমির হস্তান্তর আর্থিক বিবেচনা ব্যতীত হেবা বিল এওয়াজের মাধ্যমে হস্তান্তরিত হয় তাহলে হস্তান্তরিত জমিটির ক্ষেত্রে অগ্রক্রয় বা প্রি-এমশন মামলা করা যাবে না ।যদিও হস্তান্তরটি হস্তান্তর গ্রহীতা ও দাতার মধ্যে রক্ত সম্পর্কীয় ৩ (তিন) ডিগ্রীর মধ্যে না হয়। {50DLR544.}
Comments
Post a Comment