Posts

Showing posts from May, 2014

স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে ৩ (তিন) উপায়ে তালাক চাইতে পারে :--

স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে ৩ (তিন) উপায়ে তালাক চাইতে পারে :-- ১.তালাক-ই-তৌফিজ ২. খুলা ৩. আদালতের মাধ্যমে তালাক-ই-তৌফিজ: তালাক-ই-তৌফিজ হল কাবিনে স্ত্রীকে তার স্বামীকে তালাক দেয়ার ক্ষমতা দেয়া। কাবিন নামার’ ১৮ নং কলামে এই ক্ষমতা অর্পন করা হয়। এই ক্ষমতার বলে স্ত্রী আদালতের সাহায্য ছাড়া তার স্বামীকে তালাক দিতে পারবে। (এর জন্য ১৯৬১ সালের মুসলিম পারবারিক অর্ডিন্যান্সের ৭ ধারায় বর্ণিত নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।)। খুলা: খুলা তালাক হল স্বামী স্ত্রীর আলোচনা স্বাপেক্ষে তালাক। ব্যবস্থা স্ত্রীকেই করতে হবে। প্রয়োজনে কোন চুক্তির মাধ্যমে স্বামীকে তালাকে রাজি করাতে হবে(চুক্তিতে কখন কখন স্ত্রী তার দেনমোহর ছাড় দিয়ে দেয়)। ইদ্দত পালনকালে স্ত্রী তাঁর গর্ভের সন্তানের জন্য স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী হবে। আদালতের মাধ্যমে: স্ত্রী চাইলে আদালতের মাধ্যমে তালাকের আবেদন করতে পারবে এর জন্য স্ত্রীকে তার কারণ দর্শাতে হবে। অভিযোগ প্রমানের দায়িত্ব স্ত্রীর। এ ক্ষেত্রে স্ত্রী মোহরানা ও পাবে ইদ্দত পালনকালে স্ত্রী তাঁর গর্ভের সন্তানের জন্য স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী হবে।

বাংলাদেশের আইন কানুন আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২

বাংলাদেশের আইন কানুন আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২ ২৷ (খ) “আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ” অর্থ- (অ) কোন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করিয়া বা বেআইনী বল প্রয়োগ করিয়া- (১) কোন ব্যক্তি, বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে চাঁদা, সাহায্য বা অন্য কোন নামে অর্থ বা মালামাল দাবী, আদায় বা অর্জন করা বা অন্য কোন প্রকার সুযোগ-সুবিধা আদায় করা বা আদায়ের চেষ্টা করা; বা (২) স্থলপথ, রেলপথ, জলপথ বা আকাশপথে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা বা বিঘ্ন সৃষ্টি করা বা কোন যান চালকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যানের গতি ভিন্ন পথে পরিবর্তন করা; অথবা (আ) ইচ্ছাকৃতভাবে কোন যানবাহনের ক্ষতিসাধন করা; অথবা (ই) ইচ্ছাকৃতভাবে সরকার, বা কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বা কোন প্রতিষ্ঠান, বা কোন ব্যক্তির স্থাবর বা অস্থাবর যে কোন প্রকার সম্পত্তি বিনষ্ট বা ভাংচুর করা; অথবা (ঈ) কোন ব্যক্তির নিকট হইতে কোন অর্থ, অলংকার, মূল্যবান জিনিসপত্র বা অন্য কোন বস্তু বা যানবাহন ছিনতাই এর চেষ্টা করা বা ছিনতাই করা বা জোরপূর্বক কাড়িয়া লওয়া; অথবা (উ) কোন স্থানে, বাড়ী-ঘরে, দোকান-পাটে, হাটে-বাজারে, রাস্তা-ঘাটে, যানবাহনে বা প্রতিষ্ঠানে পরিকল্পিতভাব...

অর্ধশত আইন কাগুজে বাঘ !!!দেশে প্রায় অর্ধশত আইনের কোন প্রয়োগ বা কার্যকারিতা নেই।

অর্ধশত আইন কাগুজে বাঘ !!!দেশে প্রায় অর্ধশত আইনের কোন  প্রয়োগ বা কার্যকারিতা নেই। আইনগুলো নামেমাত্র প্রচার ও নথিপত্রে লিপিবদ্ধ থাকলেও সরকারের সংশ্লিষ্টদের কার্যকর ব্যবস্থাপনাহীনতার কারণে এর প্রয়োগ বা কার্যকারিতা বলতে কিছুই নেই, ফলে এই আইনগুলো 'কাগুজে বাঘে' পরিণত হয়েছে। প্রয়োগবিহীন অকার্যকর আইনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ রয়েছেঃ- বিশুদ্ধ খাদ্য আইন'১৯৫৯, গ্রাম আদালত আইন'২০০৬, মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, ভবঘুরে, নিরাশ্রয় (পূনর্বাসন) আইন'২০১১, ট্রেডমার্ক আইন'২০০৯, নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন'২০০২, মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন'১৯৯৯, বাংলাদেশ পানি আইন'২০১৩, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন'২০১০, কপিরাইট আইন'২০০০, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন'২০১০, পলিথিন নিয়ন্ত্রণ আইন'২০০০, নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন'২০১৩, বাংলা ভাষা প্রচলন আইন'১৯৮৭, পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন'২০১২, মোটরযান নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ'১৯৮৩, ভোজ্যতেলে ভিটামিন "এ" সমৃদ্ধকরণ আইন'২০১৩, তথ্য ও যোগাযোগ ...

বণ্টন দলিল ও বাটোয়ারা মামলা বন্টন দলিল কি?

বণ্টন দলিল ও বাটোয়ারা মামলা বন্টন দলিল কি? ১৮৯৯ সালের স্ট্যাম্প এক্টের ২ (১৫) ধারায় বলা হয়েছে বণ্টন দলিল ও বণ্টক দলিল অর্থ একই ৷ যখন কোন সম্পত্তির সহ-শরিকগণ তাদের সম্পত্তি ব্যক্তিগত মালিকানায় পৃথকভাবে ভাগ করে নেয় বা নিতে সম্মত হয়ে কোন দলিল করে তাকেই বণ্টন দলিল বলে ৷ বণ্টন সম্পন্ন হওয়ার শর্ত: •সীমানা চিহ্নিতকরণ বা পরিমাপ দ্বারা সম্পত্তির প্রকৃত বিভাজন হতে হবে; •বন্টন তালিকায় প্রত্যেক সহ-মালিকের বরাদ্দকৃত সম্পত্তির উল্লেখ থাকতে হবে; •তালিকায় মালিকানার বিভাজন সকল সহ-মালিক কর্তৃক স্বীকৃত হতে হবে; •বন্টনের বিবরণ সুস্পষ্ট হতে হবে; •প্রত্যেকটি তালিকা সহ-মালিকবৃন্দ কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে; •যথাযথভাবে স্ট্যাম্প শুল্ক দিয়ে দলিলটি রেজিস্ট্রি করতে হবে; •সহ-শরীকগণ আপোষ বন্টন করে পরবর্তীতে তাদের কেউ তা না মানলে দেওয়ানী আদালতের মাধ্যমে তা কার্যকর করা যায় ৷ বন্টননামা রেজিষ্ট্রির ফি:সকল সহ-শরিকের মধ্যে জমি হিস্যানুযায়ী (স্ট্যাম্প এর উপর) বন্টন করে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দাখিল করে বন্টননামা দলিল রেজিষ্ট্রি করা যায় ৷ এ দলিল রেজিস্ট্রির জন্য স্ট্যাম্প খরচ লাগবে স্ট্যাম্প এর গায়ে জ...

ইসলাম ধর্মের পবিত্র উৎস্ গুলো থেকে শরীয়া আইন অনুযায়ী পরিচালিত বিধায় এই আইনকে মুসলিম আইন বলা হয়।

ইসলাম ধর্মের পবিত্র উৎস্ গুলো থেকে শরীয়া আইন অনুযায়ী পরিচালিত বিধায় এই আইনকে মুসলিম আইন বলা হয়। ইসলাম ধর্ম যেহেতু একটি সার্বিক জীবন বিধান, বিবাহের ব্যাপারেও এর কোন ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয় না। এখানে বিবাহের আইনগত গুরুত্ব, সামাজিক ও ধর্মীয় মর্যাদা বিশেষ ভাবে পরিলক্ষিত হয়। একটি ছেলে ও মেয়ের বা পুরুষ ও নারীর সহবাস, জীবন যাপন ও সংসার ধর্ম পালন এর লক্ষে, ধর্মীয় ও সামাজিক সুরক্ষা দিতেই বিবাহ প্রথার জন্ম। মুসলিম আইন অনুযায়ী বিয়ে হলো দেওয়ানী চুক্তি (Contractual Agreement)। মুসলিম পারিবারিক আইন এর অধীনে একটি আইন সম্মত নিকাহ/বিবাহ সম্পাদনের জন্য ৫ (পাঁচ) টি শর্ত অবশ্যই পালন করতে হবে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী একটি বৈধ বিবাহের জন্য নিম্ন বর্ণিত বিষয় গুলো উপস্থিত থাকতে মেনে চলতে হবে - ১। পক্ষ গণের প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে, অর্থাৎ বিয়েটি বাল্য বিবাহ হওয়া যাবে না। (এক্ষেত্রে ছেলেদের ২১ এবং মেয়েদের ১৮); ২। পক্ষ গণের বিয়েতে সম্মতি থাকতে হবে (ইজাব ও কবুল); বিশেষভাবে নারীদের ক্ষেত্রে জোরপূর্বক বিয়েতে বাধ্য করা যাবেনা; ৩। উপযুক্ত এবং প্রাপ্ত বয়স্ক/বয়স্কা ২ (দুই) জন সাক্ষীর উপস্...

•••প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার•••

•••প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার••• (১) প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সংক্রান্ত আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইন বা আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন দলিলের বিধিবিধানের সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী, প্রত্যেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নিম্নবর্ণিত অধিকার থাকিবে, যথা :- (ক) পূর্ণমাত্রায় বাঁচিয়া থাকা ও বিকশিত হওয়া; (খ) সর্বক্ষেত্রে সমান আইনী স্বীকৃতি এবং বিচারগম্যতা; (গ) উত্তরাধিকারপ্রাপ্তি; (ঘ) স্বাধীন অভিব্যক্তি ও মত প্রকাশ এবং তথ্যপ্রাপ্তি; (ঙ) মাতা-পিতা, বৈধ বা আইনগত অভিভাবক, সন্তান বা পরিবারের সহিত সমাজে বসবাস, বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন ও পরিবার গঠন; (চ) প্রবেশগম্যতা; (ছ) সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে, প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী, পূর্ণ ও কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ; (জ) শিক্ষার সকল স্তরে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তি সাপেক্ষে, একীভূত বা সমন্বিত শিক্ষায় অংশগ্রহণ; (ঝ) সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মে নিযুক্তি; (ঞ) কর্মজীবনে প্রতিবন্ধিতার শিকার ব্যক্তি কর্মে নিয়োজিত থাকিবার, অন্যথায়, যথাযথ পুনর্বাসন বা ক্ষতিপূরণপ্রাপ্তি; (ট) নিপীড়ন হইতে সুরক্ষা এবং ...

যৌতুক ও নারী নিপিড়ন

যৌতুক ও নারী নিপিড়ন বর্তমানে নারীরা পুরুষ কর্তৃক যত প্রকার নির্যাতিত হচ্ছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে যৌতুকের শিকার। বর্তমানে এ যৌতুক একটি প্রথা হিসেবে দেখা দিয়েছে। যা নারী সমাজের জন্য এক অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যৌতুকের ফলে কত নারীর সোনার সংসার ভেঙ্গে তছনছ হয়েছে তার কোন হিসেব নেই। কত নারী যে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে তারও কোন পরিসংখ্যান নেই। যুগ যুগ ধরে এ যৌতুক প্রথা আমাদের সমাজে প্রচলিত হয়ে আসছে। আজ যৌতুক নামক এ কু-প্রথাটি ক্রমান্বয়ে সমাজের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে। আজ প্রায় প্রতিটি ছেলে পরিবারের অভিভাবকরা প্রতিযোগিতায় লেগে যায় কে কত বেশি যৌতুক আনতে পারে। এই সমাজে যে যত ভাল পাত্র সে তত বেশি যৌতুকের দাবিদার। ঠিক বাজারের পণ্যের মতো। বাজারে যে পণ্যটি সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও মজাদার সেই পণ্যের দাম বেশি। বিয়ের বাজারে পাত্রের ক্ষেত্রেরও শিক্ষা-দীক্ষায়, গুণে মানে সুঠাম দেহের অধিকারীরা খুম দাবী পাত্র। বিয়ের মজলিশে ভাল পাত্রের বাবারা ফেভারিটের তালিকায় থাকেন। আগে যৌতুক হিসেবে উপটৌকন নেয়া হতো রেডিও, চার্জ লাইট, লেপ-তোষক, ঘড়ি, গরু-বাছুর, নগদ ১/২ হাজার টাকা ইত্যাদি। যুগ পাল্টানোর সাথে সাথে রঙিন ...

আইসিটি আইন

আইসিটি আইন ৫৭ ধারায় বলা আছে, (১) কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সমপ্রচার করেন, যা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়লে, দেখলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসত্ কাজে আগ্রহী হতে পারেন অথবা যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ ধে উস্কানি প্রদান করা হয়, তাহলে তার এই কাজ হবে একটি অপরাধ। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন ৭ বছর সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে।

সংবিধানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ-

সংবিধানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ- ১-৭ (বাংলাদেশের নাম, সীমানা, রাষ্ট্রধর্ম, জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা, প্রতীক, রাজধানী, নাগরিকত্ব, সংবিধানের প্রাধান্য) ৮- রাষ্ট্রপরিচালনার প্রধান মূলনীতি ১৫- মৌলিক প্রয়োজন (খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা, চিকিতসা) ১৭- শিক্ষা ১৮- জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা ১৮ক- পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র রক্ষা ২১- নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য ২২- নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আলাদা করা ২৫- বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি ২৭- আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিক সমান ২৮- নারী ও পুরুষের সমান অধিকার ২৯- চাকরীর ক্ষেত্রে সমান অধিকার ৩৩- আটক থেকে রক্ষা ৩৪- জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধ ৩৯- চিন্তা, বিবেক, মত প্রকাশ ও সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা ৪১- ধর্ম পালনের স্বাধীনতা ৪৭ক- যুদ্ধাপরাধের বিচার ৪৮- রাষ্ট্রপতি (নিয়োগ, ক্ষমতা, যোগ্যতা) ৫২- রাষ্ট্রপতির অভশংসন ৫৫- প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীসভা ৫৯- স্থানীয় শাসন ৬১- রাষ্ট্রপতি সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ৬৩- যুদ্ধের আগে সংসদের অনুমতি নেয়া ৬৫- জাতীয় সংসদ ৬৬- এমপি হওয়ার যোগ্যতা ৭০- ফ্লোর ক্রসিং ৭২-সংসদের অধিবেশন ৭৫- কোরাম ৭৭- ন্যায়পাল ৮০- সংসদ কর্তৃক আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া ৮১...

তালাকের আইনগত দিক

তালাকের আইনগত দিক [১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ৭] ১. কোনো ব্যক্তি স্ত্রীকে তালাক দিতে চাইলে তাকে যে কোনো পদ্ধতির তালাক ঘোষণার পর যথাশীঘ্রই সম্ভব স্থানীয় ইউপি/পৌর/সিটি চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে তালাকের নোটিশ দিতে হবে এবং স্ত্রীকে উক্ত নোটিশের নকল প্রদান করতে হবে । ২. নিম্নের (৫) উপ-ধারার ব্যবস্থাবলীর মাধ্যম ব্যতিত প্রকাশ্য অথবা অন্যভাবে প্রদত্ত কোনো তালাক, পূর্বাহ্নে বাতিল না হলে (১) উপ-ধারা অনুযায়ী চেয়ারম্যান নোটিশ প্রাপ্তির তারিখ থেকে নব্বই দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ হবে না। ৩. উপরোক্ত (১) উপ-ধারা অনুযায়ী নোটিশ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট পক্ষদ্বয়ের মধ্যে আপোষ বা সমঝোতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সালিশী পরিষদ গঠন করবে এবং উক্ত সালিশী পরিষদ এ জাতীয় সমঝোতার (পুনর্মিলনের) জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থাই অবলম্বন করবে। ৪. তালাক ঘোষণাকালে স্ত্রী গর্ভবতী থাকলে বা অন্তঃসত্ত্বা থাকলে উপরের (৩) উপ-ধারায় উল্লেখিত সময় অথবা গর্ভাবস্থা-এ দুইটির মধ্যে দীর্ঘতরটি অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তালাক বলবৎ হবে না। ৫. অত্র ধারা অনুযায়ী কার্যকরী তালাক দ্বারা যার বিবাহ বি...

* আসামীর ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ **

* আসামীর ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ ** ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ২০৫ ধারা মতে আদালত জামিনে থাকা আসামীর আবেদন বিবেচনায়, মামলার যে কোন পর্যায়ে, যে কোন সময়ের জন্য আসামীর ব্যক্তিগত হাজিরা (ধার্য্য তারিখে উপস্থিতি) মওকুফ পেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে নিম্ন লিখিত অবস্থায় আদালত ফৌঃ কাঃ আইনের ২০৫ ধারার আবেদন বিবেচনায় নেয়ঃ- ১। আসামী মহিলা, শিশু, ছাত্র, বৃদ্ধ বা হীনবল কিনা। ২। আসামী চাকুরীজীবী, পরীক্ষার্থী বা হজ্ব যাত্রী কিনা। ৩। আসামী অসুস্থ্য বা অপরাধ কম কিনা।

অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (Temporary Injunction) কাকে বলে ?

অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (Temporary Injunction) কাকে বলে ? ১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫৩ ধারায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার (টেমপোরারি ইনজাংশন) সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, এটি এমন একধরনের নিরোধ, যা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অথবা আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকে। মামলার যে কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা যায় এবং দেওয়ানি কার্যবিধি দিয়ে তা নিয়ন্ত্রিত হয়। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজনীয়তা কোন জায়গায়? আইনের লিস পেনডেন্স নীতি অনুসারে, যাতে করে আদালতের ডিক্রি বা আদেশ ক্ষুণ্ন না হয়, সে জন্য সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৫২ ধারা অনুসারে বিচারাধীন মামলার সম্পত্তি আদালতের অনুমতি ছাড়া হস্তান্তর করা নিষিদ্ধ। এখন কেউ যদি অসদুদ্দেশ্যে বিচারাধীন কোনো সম্পত্তি হস্তান্তর করতে উদ্যোগী হয়, সে ক্ষেত্রে অস্থায় নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন পড়ে। দেওয়ানি কার্যবিধির ৩৯ নাম্বার আদেশের ১ নাম্বার নিয়মানুসারে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়ে থাকে। ওই নিয়মে বলা হয়েছে, যেসব ক্ষেত্রে মামলার এফিডেভিটের মাধ্যমে বা অন্য কোনোভাবে প্রমাণিত হয় যে মামলায় জড়িত বিরোধভুক্ত কোনো সম্পত্তি মামলার কোনো পক্ষ কর্তৃক...

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে কারও মৃত্যু হলে?

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে কারও মৃত্যু হলে?  আইনে বলা হয়েছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে আটক কোনো ব্যক্তির নির্যাতনের ফলে মৃত্যু হলে দোষী ব্যক্তি অন্যূন যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে অতিরিক্ত দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ ছাড়া হেফাজতে নির্যাতনের জন্য সর্বনিম্ন পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয ়েছে। নির্যাতনে প্ররোচিত বা সহায়তা করলেও জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। মামলা দায়েরের ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগ প্রথম লিপিবদ্ধ করার তারিখ থেকে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার বিধান রাখা হয়েছে। কোনো সরকারি কর্মকর্তা অথবা তাঁর পক্ষে কোনো ব্যক্তির গাফিলতির কারণে অভিযোগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই প্রমাণ করতে হবে, তাঁর কারণে অভিযোগকারী ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হননি। যুদ্ধাবস্থা, যুদ্ধের হুমকি, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অথবা জরুরি অবস্থায় অথবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা সরকারি আদেশে নির্যাতনের অজুহাত অগ্রহণযোগ্য হবে। আদালতের সামনে কোনো ব্যক্তি ...

হিল্লা বিয়ে কি?

হিল্লা বিয়ে কি? তালাক দেওয়ার নিয়ম হলো – একবার তালাক দেওয়া হলো, এর মাঝে স্বামী-স্ত্রী যদি আবার ফিরে যেতে চায়, তাহলে ইদ্দত শেষ হওয়ার আগেই ফিরে যেতে পারবে। কিন্তু ইদ্দত শেষ হয়ে গেলে, তারা ফিরে যেতে পারবে কিন্তু নতুন করে বিয়ে করে নিতে হবে (প্রথমত তালাকের পর, একজন মুসলীম নারীকে তার তালাকের পর ৯০ দিন বা তিন চন্দ্রমাস অপেক্ষা করতে হবে ।এই ৯০ দিন হচ্ছে ইদ্দত কালীন সময়।) এইভাবে আবার যদি তালাক দেয়, পরে  আবার ফিরে যেতে পারবে। কিন্তু এর পরে তৃতীয় তালাক দেওয়া হয়ে গেলে আর ফিরে যাওয়ার সুযোগ নাই। কারণ এই ক্ষেত্রে যে এই কাজ করবে সে ছেলেখেলা হিসেবে নিয়েছে। তাই ঐ নারী তার জন্য আর হালাল হবেনা যতদিন পর্যন্ত না ঐ নারীর স্বাভাবিকভাবে অন্য কোথাও বিয়ে হচ্ছে, তারপর স্বাভাবিক ভাবে যদি ঐ নারীর স্বামী মারা যায় অথবা তাকে ডিভোর্স দেয় তাহলে ঐ নারী তার প্রথম স্বামীর জন্য বিয়ে করা হালাল হবে। এইখানে এইরকম নির্বোধ টাইপের পুরুষের জন্য শাস্তি স্বরূপ তার স্ত্রীকে ঘরে নেওয়ার একটা বাঁধা সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু কিছু মূর্খ, কাটমোল্লা এটাকে পাশ কাটিয়ে নিয়ম বানিয়ে দিয়েছে। এইরকম তিন তালাক দিয়ে দিলে কেউ যদি তার স্ত্রীকে আবার...

পাওয়ার-অব-এটর্নি কি ?

পাওয়ার-অব-এটর্নি কি ? পাওয়ার-অব-এটর্ণি বলতে এমন এক দলিল কে বোঝায় যার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি তার পক্ষে উক্ত দলিলে বর্নিত কার্য-সম্পাদনের জন্য আইনানুগভাবে অন্য কোন ব্যক্তির নিকট ক্ষমতা প্রদান করেন। সুতরাং,পাওয়ার-অব-এটর্নি'র অধীনে ক্ষমতা প্র াপ্ত ব্যক্তি মূল মালিকের ন্যায় প্রায় এক-ই ক্ষমতা উপভোগ করে থাকে। পাওয়ার-অব-এটর্নি প্রধাণত দুই প্রকা্রঃ ১। প্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার-অব-এটর্নি; এবং ২। অ-প্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার-অব-এটর্ণি অ-প্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার-অব-এটর্ণিঃ স্থাবর সম্পতি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে, বিক্রয় চুক্তি সম্পাদনের বা loan নেওয়ার বিপরীতে স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক প্রদানের জন্য প্রদত্ত পাওয়ার-অব-এটর্ণিকে উদ্দেশ্যে অ-প্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার-অব-এটর্ণি বলে। এরুপ পাওয়ার আব এটর্ণি-তে পাওয়ার গ্রহীতার মূল মালিকের ন্যায় প্রায় এক ই ক্ষমতা থাকে। অ-প্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার-অব-এটর্ণি'র ক্ষেত্রে পাওয়ার গ্রহীতার মৃত্যু হলে বা আইনগতভাবে দলিল সম্পাদনে অক্ষম হলে উক্ত মৃত বা অক্ষম পাওয়ার গ্রহীতার বৈধ ওয়ারিশ বা স্থলবর্তীর উপর দলিল থেকে সৃস্ট দায় বা অধিকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে অর্পিত হবে।

ধর্ষণ মামলায় ‘টু ফিঙ্গার’ পরীক্ষা নিষিদ্ধ‌:

ধর্ষণ মামলায় ‘টু ফিঙ্গার’ পরীক্ষা নিষিদ্ধ‌: বিতর্ক-আপত্তি-প্রতিবাদ বহু দিন ধরেই ছিল। অবশেষে নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কুখ্যাত ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ বা দু’আঙুলের পরীক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষণা করল। কী এই পরীক্ষা? সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষই মনে করেন, এই পরীক্ষাপদ্ধতি একটি মেয়ের পক্ষে অত্যন্ত অবমাননাকর। এখানে মহিলাদের যোনিমুখে আঙুল ঢুকিয়ে দেখা হয়, তাঁর হাইমেন (যোনিমুখের পর্দা) অটুট রয়েছে কি না। বহু দিন পর্যন্ত মনে করা হতো, এই পরীক্ষার মাধ্যমে একটি মেয়ের যৌন সহবাসের অভ্যাস রয়েছে কিনা তার প্রমাণ পাওয়া সম্ভব। ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলার ডাক্তারি প্রমাণ হিসেবে অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হতো। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানই বলে যে, এই পরীক্ষার কোনও কার্যকারিতা নেই। কারণ শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াও আরও নানা কারণে হাইমেন ছিন্ন হতে পারে। ফলে হাইমেন অটুট থাকার সঙ্গে সহবাস হয়েছে কি হয়নি, তার কোনও সম্পর্ক নেই। কলকাতার একটি মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রধান বলছিলেন, “ওই পর্দা অন্য নানা কারণেই ছিন্ন হতে পারে। তা ছাড়া, কোনও বিবাহিতা মহিলা ধর্ষিতা হলে টু...

দেনমোহর নির্ধারণ পদ্ধতি:

দেনমোহর নির্ধারণ পদ্ধতি: মোহরানার পরিমান সুনির্দিষ্টভাবে বেঁধে দেয়া হয়নি। তাই তা আপেক্ষিক। অর্থাৎ বর ও কণের উভয়ের দিক বিবেচনান্তে তা নির্ধারিত হয়।  দেনমোহর কত হবে তা নির্ণয়কালে স্ত্রীর পিতার পরিবারের অন্যান্য মহিলা সদস্যদের ক্ষেত্রে যেমন স্ত্রীর বোন, খালা, ফুফুদের ক্ষেত্রে দেনমোহরের পরিমাণ কত ছিল তা বিবেচনা করা হয়।তাছাড়া স্ত্রীর পিতার আর্থ-সামাজিক অবস্থানের ভিত্তিতে দেনমোহরের পরিমাণ নির্ধারণ করা  হয়। অপর দিকে বরের আর্থিক ক্ষমতার দিকটাও বিবেচনায় রাখা হয়। এসব দিক বিচার বিবেচনা করেই মূলতঃ দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়। ১৯৬১ সালের পারিবারিক আইনের ১০ ধারা অনুযায়ী দেনমোহর দেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে কাবিনে বিস্তারিত উল্লেখ না থাকলেও স্ত্রী চাওয়ামাত্র সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে হবে। দেনমোহরের পরিমাণ নির্ধারিত থাকলেও এর কোনো সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারিত নেই। তবে দেনমোহরের পরিমাণ বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করার সময়ে বা বিয়ের আসরে নির্ধারণ করতে হবে। তবে সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হল বিয়ের দিন নির্ধারণ করার পূর্বে উভয় পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে ধার্য্য করা।বর নিজেই এ চুক্তি করতে পারে।

দান বৈধ হওয়ার শর্তবলী:

হেবা কী ? ? দানকে মুসলিম আইনে হেবা বলে। সম্পত্তি হস্তান্তর আইন 1882এর 122 ধারায় বলা হয়েছে কোন সম্পত্তি দাতা কর্তৃক কোন ব্যক্তিকে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে এর কোন পণ গ্রহণ না করে তাৎক্ষণিকভাবে হস্তান্তর করলে এবং গ্রহীতা বা তার পক্ষে কোন ব্যক্তি সেটি গ্রহণ করলে তাকে দান বা হেবা বলে। দান বৈধ হওয়ার শর্তবলী: 1. দাতা কর্তৃক দানের (ইজাব) ঘোষণা প্রদান। 2. গ্রহীতা বা তার পক্ষ হতে দান গ্রহন (কবৃল) করা 3. দাতা  কর্তৃক গ্রহীতাকে দানকৃত সম্পত্তির দখল প্রদান। দান গ্রহণের পূবেই গ্রহীতা মারা গেলে দান বাতিল হয়ে যাবে। দানের উপাদানসমূহ: ক) দাতার জীবনকালের মধ্যে দান কার্য সম্পন্ন হতে হবে। খ) দান গ্রহণের পূবে দাতার মৃত্য হলে দান বাতিল বলে গণ্য হবে। গ) দানের সময় সম্পত্তিতে দাতার মালিকানা ও দখল থাকতে হবে। ঘ) দান স্বেচ্ছায় এবং পণবিহীন হতে হবে। ঙ)দাতাকে সুস্থ মস্তিস্কসম্পন্ন ও সাবালক হতে হবে। চ) দান গ্রহীতা মানসিক ভারসাম্যহীন বা নাবালক হলে তার পক্ষে অভিভাবক দান গ্রহন করতে পারবেন। ছ) মুসলিম আইন অনুযায়ী দাতা তার সমুদয় সম্পত্তি যে কাউকে দান করতে পারেন। তবে দায়ভাগ মতে একজন হিন্দু যাদের ভরণপোষণে আইনত বাধ্য তাদের জন...

যে যে কারণে অবৈধ বিবাহ হতে পারে:

যে যে কারণে অবৈধ বিবাহ হতে পারে: • দুই পক্ষের মধ্যে নিষিদ্ধ সম্পর্ক থাকলে।  • একজন মুসলিম নারীর সাথে অমুসলিমের বিবাহ হলে  • একজনের স্ত্রী জানা সত্ত্বেও তাকে বিবাহ করা • জোর করে অনুষ্ঠিত বিবাহ  অবৈধ বিবাহ কোন অধিকারের সৃষ্টি করেনা। সন্তানরাও স্বীকৃত হবেনা। এটি প্রকৃতপক্ষে কোন বিবাহই নয়। 

আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা হুমকিস্বরূপ:

আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা হুমকিস্বরূপ: এ আইনে পুলিশকে সরাসরি মামলা করার ও পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়। এ ছাড়া সংশোধিত আইনে কিছু অপরাধের অভিযোগকে অজামিনযোগ্য এবং আমলযোগ্য নয় এমন অপরাধকে আমলযোগ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।  ৫৭ ধারায় উল্লেখ করা মিথ্যা, অশ্লীল, মানহানিকর, উসকানিমূলক, রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন কিংবা ধর্মীয় অনুভূতি—এ শব্দগুলো কোন কোন ধরনের কর্মকাণ্ডকে অন্তর্ভুক্ত করবে সে ব্য াপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যায় না। এ ছাড়া এ আইনের অধীন অপরাধগুলোকে জামিন অযোগ্য ঘোষণা করায় তা নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ন করে। এ ধারাগুলো মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্যও হুমকিস্বরূপ, যা নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার-সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তিরও লঙ্ঘন। বাংলাদেশের সংবিধানেও মত প্রকাশের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৫৭ ধারায় আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। একই ধারায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে চারজন ব্লগারের বিচার চলছে।

মানহানি মামলা কী?

মানহানি মামলা কী? মানহানি এমন এক ধরনের ধরনের অপরাধ, যেটি ফৌজদারি ও দেওয়ানি উভয় প্রকারেরই হতে পারে। ফৌজদারি আদালতে মানহানি মামলা হউয়ার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে, সে কারা কিংবা অর্থদন্ডে দন্ন্ডিত হন।  পক্ষান্তরে, দেওয়ানি আদালতে মামলা হলে এবং সেই মামলায় বাদি জয়ী হলে বিবাদী থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ আদায় করতে পারেন। বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারা অনুসারে যে ব্যক্তি মানহানির উ দ্দেশ্যে বা মানহানিকর জেনে বা পাঠের জন্য উদ্দেশ্যমূলক শব্দাবলি বা চিহ্নাদি বা দৃশ্যমান কল্পস্মৃতির সাহায্যে কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে এমনভাবে কোনো নিন্দাবাদ প্রণয়ন বা প্রকাশ করে যে, সেই নিন্দাবাদ উক্ত ব্যক্তির সুনাম নষ্ট করবে, সেই ব্যক্তি কিছু ব্যতিক্রম অবস্থা ছাড়া উক্ত ব্যক্তির মানহানি করেছে বলে ধরা হবে। বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মানহানির শাস্তি বর্ণনায় বলা হয়েছে, এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে দুই বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয়বিধ দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে। 

প্রশ্নোত্তরঃ (বাড়িওয়ালা কতৃক উচ্ছেদ )

প্রশ্নোত্তরঃ (বাড়িওয়ালা কতৃক উচ্ছেদ )  আমার সঙ্গে আমার বাড়িওয়ালার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে চলতি মাসের ৩০ তারিখ। এটি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বাড়িভাড়া নেওয়ার সময় কথা ছিল তিনি চুক্তি বৃদ্ধি করবেন এবং আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমাকে উচ্ছেদ করবেন না।  অথচ এখন তিনি আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন যেন আমি চলে যাই। আমার ব্যবসাও এখন জমজমাট। এই মুহূর্তে আমাকে বাড়ি ছাড়তে হলে আমি আর্থিকভাবে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হব। আমি  এখন কী করব? লায়লা, ঢাকা সমাধান: আপনার সঙ্গে বাড়িওয়ালার লিখিত যেই চুক্তি হয়েছে আইনত সেটাই বৈধ। এর বাইরে তার বিরুদ্ধে করার মতো আপনার কিছুই নেই। আপনি ঢাকা জেলা জজ কোর্টে বাড়িওয়ালা যেন আপনাকে উচ্ছেদ না করেন তার জন্য নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি মামলা করতে পারেন। কারণ এটি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এটি যে কেউ ইচ্ছা করলেই যখন তখন বন্ধ করতে পারেন না। তবে শর্ত এই যে আপনি যদি অন্য কোনো ডিফল্টার না হন যেমন বাড়িভাড়া যদি নিয়মিত পরিশোধ করেন বা অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচাদি যদি সঠিকভাবে পরিশোধ করেন তাহলে আমার বিশ্বাস আদালত আপনার পক্ষেই অবস্থান নেবেন।

এডভোকেট হতে হলে একজন ব্যক্তিকে কি করতে হবে?

এডভোকেট হতে হলে একজন ব্যক্তিকে কি করতে হবে? এডভোকেট হতে হলে একজন ব্যক্তিকে দুই প্রকার শর্ত পূরন করতে হবে: প্রথম শর্ত অনুচ্ছেদ ২৭(১)  ১. তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে; এবং ২. ২১ বছর বয়স পূর্ণ করতে হবে; এবং  ৩. নিম্বের যেকোন একটি যোগ্যতা অর্জন করতে হবে; (i) বাংলাদেশ সীমার মধ্যে অবস্থিত কোন বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইন বিষয়ে ডিগ্রী থাকতে হবে; বা (ii) বার কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত বাংলাদেশের বাইরে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয়ে bachelor degree থাকতে হবে; অথবা (ii) তিনি একজন ব্যারিস্টার-এট-ল । দ্বিতীয় পর্যায়ের শর্তঃ (১) উপরোক্ত প্রাথমিক শর্ত পূরণ সাপেক্ষে একজন ব্যক্তিকে এডভোকেট হতে হলে তাকে বার কাউন্সিলের নির্দেশিত 'A' ফরমে আবেদন করতে হবে। উক্ত ফরমে নিম্নোক্ত সংযোক্তি করতে হবেঃ (i) আবেদনকারীর জন্মের সনদের সন্তোষজনক সাক্ষ্যপ্রমান; (ii) অনুচ্ছেদ ২৭ অনুযায়ী যোগ্যতার সন্তোষজনক সাক্ষ্যপ্রমান; (ii) আবেদনকারীর চরিত্র ও আচরন সম্পর্কে ভালো অবস্থানরত দুইজন ব্যক্তির প্রশংসাপত্র; (iv) ফরম 'A'- তে উল্লিখিত তথ্য সত্য ও নির্ভূল মর্মে একটি এফিডেফিট প্রদান করতে হবে; (v) ১,২০০.০০ টাকা প্রদানের রশিদ প...

জেলা প্রশাসক বা ডিসির কাজ বা ক্ষমতাঃ

জেলা প্রশাসক বা ডিসির কাজ বা ক্ষমতাঃ জেলা প্রশাসককে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে সরকারের পলিসি বাস্তবায়ন, জনকল্যাণ ও সেবা নিশ্চিত করার কাজ তদারকি করার। তার ক্ষমতা আছে যে কোনো বিষয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেওয়ার, সচিব, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সরাসরি পরামর্শ/আলাপ করার এবং সামরিক বাহিনী তলব করার। জেলা প্রশাসক অনিয়ম দেখলে কাজ বন্ধ করতে পারেন। কোনো ব্যক্তি আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি হলে তাকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন, ডিটেনশনে রাখতে পারেন, এমনকি কোনো কর্মকর্তাকে কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারেন এবং সে সম্পর্কে প্রতিবেদন দেন।

* সালিশী ব্যবস্থার আইনগত ভিত্তি **

* সালিশী ব্যবস্থার আইনগত ভিত্তি ** সালিশী ব্যবস্থা কোন সুষ্পষ্ট আইনের উপর প্রতিষ্টিত নয়। এটি একটি বিবাদ নিরসন মূলক সামাজিক ন্যায় বিচার প্রক্রিয়া। তবে বাংলাদেশে প্রচলিত কোন কোন আইনে সালিশী ব্যবস্থার উল্লেখ পাওয়া যায়। সল্প আইনীরীতি ও প্রতিষ্টিত প্রথা হিসেবে সালিশী ব্যবস্থা একটি শক্তিশালী সামাজিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে।  যে সকল আইনে সালিশী ব্যবস্থা সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে, তা হল:- ১। ফৌজদারী কার্ যবিধি ১৮৯৮ এর ৩৪৫ ধারা মতে, কিছু কিছু অপরাধ আদালতের অনুমতি নিয়ে বা এমনিতেই সালিশী ব্যবস্থায় আপোস নিষ্পত্তি করা যাবে। ২। দেওয়ানী কার্যবিধি ১৯০৮ এর ৮৯(ক) ধারা মতে, পক্ষগণ সম্মত হলে দেওয়ানী আদালতে বিচারাধীন মামলা সংশ্লিষ্ট আদালতের অনমতি নিয়ে সালিশী ব্যবস্থায় নিষ্পত্তি করা যেতে পারে। ৩। পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ ১৯৮৫ এর ১০ ধারা মতে, পারিবারিক আদালতে বিচারাধীন তালাক, ভরণপোষণ, দেনমোহর, অভিভাবকত্ব ও দাম্পত্য জীবন পূণরূদ্ধার ইত্যাদি ৫টি বিষয়ে বিচারাধীন মামলার রায় ঘোষণার পূর্বে যে কোন সময়ে পক্ষগণ সালিশী ব্যবস্থার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে পারবে। ৪। মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর ৬ ধারা মতে, স্ত্রী ...

## শতবর্ষী সস্তা আইনগুলো ##

## শতবর্ষী সস্তা আইনগুলো ## ১। দন্ডবিধির ৫১০ ধারা মতে, মাতাল হয়ে রাস্তাঘাটে জন উৎপাত করলে, সর্বোচ্চ ১০ টাকা জরিমান অথবা সর্বোচ্চ ২৪ ঘন্টা বিনাশ্রম কারাদন্ড হতে পারে। ২। দন্ডবিধির ৪৪৭ ধারা মতে, গৃহ বা অন্য কোথাও অপরাধজনক অনূপ্রবেশ করলে, সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা জরিমানা।  ৩। দন্ডবিধির ২৭২ ধারা মতে, অসাধু ব্যবসায়ী খাদ্যে ভেজাল মেশালে, সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা !---- এরকম শতবর্ষের পূরনো কিছু আইনের সস্তা শাস্তির বিধান হাস্যকর হলে আজ ও বলবৎ আছে 

জেনে নিন-পালিয়ে বিয়ে করার আইনি পদ্ধতি:

জেনে নিন-পালিয়ে বিয়ে করার আইনি পদ্ধতি: এই লেখার উদ্দেশ্য পালিয়ে বিয়ে করতে উথসাহিত করা নয়,বরং পালিয়ে বিয়ে করার পর রিস্কগুলো সম্বন্ধে সাবধান করা। পালিয়ে বিয়ে করতে গেলে অনেক ছেলে মেয়েদের, মনে নানা প্রশ্ন দেখা দেয় যেমন,বিয়ের পরে কোনো সমস্যা হবেনাতো বা বিয়েটার বৈধতা কেমন হবে। বিয়েটাই বা কোথায় করতে হবে? কোর্টে নাকি কাজি অফিসে? ছেলেরা ভাবে, মেয়ের বাবা যদি মামলা করে দেয় নারী নির্যাতনের? তাহলে কি জেল টেল খাটতে হবে? ইত্যাদি। অনেকে ভাবেন এসব ক্ষেত্রে হয়ত কোর্ট ম্যারেজ করতে হবে। কোর্ট ম্যারেজ টার্মটা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু এটা নিয়ে অনেকের একটু ভুল ধারনা আছে।অনেকে যারা অভিভাবকের সম্মতি ছাড়া বা পালিয়ে বিয়ে করতে চায় তারা কোর্ট মারেজ করতে যায় বা করতে চায়।অনেকে মনে করেন কোর্ট ম্যারেজ হয়তো কোর্টে গিয়ে বিয়ে করা।অথবা মাজিস্ট্রেট-এর সামনে বিয়ে করা।আসলে তা নয়। কোর্ট ম্যারেজ করতে হলে আপনাকে যেতে হবে কোন নোটারী পাবলিকের (সরকারী রেজিস্টার্ড উকিল) কাছে। তিনি আপনাদেরকে (বর কনে) ১০০বা ২০০ টাকার স্ট্যাম্পে একটি হলফনামায় সই করাবেন যাতে লিখা থাকবে আপ্নারা প্রাপ্তবয়স্ক এবং সজ্...

কেউ যদি সন্তানকে ত্যাজ্য করে তাহলে এই সন্তান কি সম্পত্তি পাবে ?

কেউ যদি সন্তানকে ত্যাজ্য করে তাহলে এই সন্তান কি সম্পত্তি পাবে ? উত্তরঃ  মুসলিম উত্তরাধিকার আইনে কোন সন্তানকে ত্যাজ্য করা যায় না। ফলে সম্পত্তি থেকে তাকে বঞ্চিতও করা যায় না।  তবে কোন ব্যক্তি রেজিস্ট্রিকৃতভাবে সম্পত্তি দান বা হস্তান্তর করে গেলে এবং সন্তানকে বঞ্চিত করার লক্ষ্যে সন্তানের অংশ উল্লেখ না করে গেলে ঐ সন্তান সম্পত্তি পাবে না।

স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে ৩ (তিন) উপায়ে তালাক চাইতে পারে :-

স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে ৩ (তিন) উপায়ে তালাক চাইতে পারে :- ১.তালাক-ই-তৌফিজ ২. খুলা ৩. আদালতের মাধ্যমে  তালাক-ই-তৌফিজ: তালাক-ই-তৌফিজ হল কাবিনে স্ত্রীকে তার স্বামীকে তালাক দেয়ার ক্ষমতা দেয়া। কাবিন নামার’ ১৮ নং কলামে এই ক্ষমতা অর্পন করা হয়। এই ক্ষমতার বলে স্ত্রী আদালতের সাহায্য ছাড়া তার স্বামীকে তালাক দিতে পারবে। (এর জন্য ১৯৬১ সালের মুসলিম পারবারিক অর্ডিন্যান্সের ৭ ধারায় বর্ণিত নিয়ম অনুসরণ করতে  হবে।)। খুলা: খুলা তালাক হল স্বামী স্ত্রীর আলোচনা স্বাপেক্ষে তালাক। ব্যবস্থা স্ত্রীকেই করতে হবে। প্রয়োজনে কোন চুক্তির মাধ্যমে স্বামীকে তালাকে রাজি করাতে হবে(চুক্তিতে কখন কখন স্ত্রী তার দেনমোহর ছাড় দিয়ে দেয়)। ইদ্দত পালনকালে স্ত্রী তাঁর গর্ভের সন্তানের জন্য স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী হবে। আদালতের মাধ্যমে: স্ত্রী চাইলে আদালতের মাধ্যমে তালাকের আবেদন করতে পারবে এর জন্য স্ত্রীকে তার কারণ দর্শাতে হবে। অভিযোগ প্রমানের দায়িত্ব স্ত্রীর। এ ক্ষেত্রে স্ত্রী মোহরানা ও পাবে ইদ্দত পালনকালে স্ত্রী তাঁর গর্ভের সন্তানের জন্য স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী হবে।
বর্তমান সময় কালের সবচেয়ে অালোচিত অপরাধ গোপন ক্যামেরা য় ধারন কৃত অশল্মিল ভিডিও ইনটারনেটে প্রকাশ ও পর্নোগ্রাফি সম্পর্কে কিছু গুরূত্ত পূর্ন তথ্য:: ১)কোন ব্যক্তি পর্নোগ্রাফি উৎপাদন করিলে বা উৎপাদন করিবার জন্য চুক্তি করিলে বা কোন নারী পুরূষ বা শিশুকে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করলে বা কোন নারী পুরূষের অগ্ঞতে স্তির চিত্র বা ভিডিও চিত্র ধারন করলে তার এরূপ কাজ অপরাধ বলে গন্য হবে এবং এর শাস্তি হবে: সর্বো চ্চ ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। ২)কোন ব্যক্তি পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে অন্য কোন ব্যক্তির সামাজিক বা ব্যক্তি মর্যাদা হানি করলে বা ভয় ভীতি র মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তিকে মানুষিক নির্যাতন করলে তার শাস্তি হবে: ৫ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড এবং ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড। ৩)কোন ব্যক্তি পর্নোগ্রাফি প্রদর্শন এর মাধ্যমে গন উপদ্রব সৃষ্টি করলে তার শাস্তি হবে: ২ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারা দন্ড এবং ১ লক্ষ টাকা পর্যনড জরিমানা। ৪) কোন ব্যক্তি ইন্টারনেট বা মোবাইল বা কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এর মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি সরবরাহ করলে তার শাস্তি হবে: ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। ৫) কোন ব্...

ভূমি জরিপ:

ভূমি জরিপ:  মৌজা ভিত্তিক ভূমির নকসা ও ভূমির মালিবানা সর্ম্পকিত খতিয়ন বা ভূমি রেকার্ড প্রস্তুত কার্যক্রমকে ভূমি জরিপ বলা হয়। জরিপের মাধ্যমে নতুন মৌজা নকসা ও রেকর্ড তৈরী করা হয় ও পূর্বে প্রস্তুতকৃত নকসা ও রেকর্ড সংশেধন কওে ভূমির শ্রেণীর পরিবর্তনের সাথে মিল রেখে এবং মালিকানার পরিবর্তনের ধারাবাহিবতার সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ কওে হালকরন করা হয়। এ যাবত কাল পর্যন্ত চার বার রেকর্ড কার্যক্রম চালান হয় এ দেশে।  রেকর্ড গুলো হল:- 1 C S -Cadastral survey 2 R S -Revitionel survey 3 P S - Pakistan survey 4 B S- Bangladesh survey ক) সি.এস. জরিপ (Cadastral Survey) বঙ্গীয় প্রজাতন্ত্র আইনের দশম অধ্যায়ের বিধান মতে দেশের সম জমির বিস্তারিত নকশা প্রস্তুত করার এবং প্রত্যেক মালিকের জন্য দাগ নম্বর উল্লেখপুর্বক খতিয়ান প্রস্তুত করার বিধান করা হয়। খ) এস.এ. জরিপ (State Acquisition Survey) ১৯৫০ সালে জমিদারী অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাশ হওয়ার পর সরকার ১৯৫৬ সালে সমগ্র পূর্ববঙ্গ প্রদেশে জমিদারী অধিপ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয় এরং রায়েতের সাথে সরকারের সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে জমিদারদেও প্রদেয় ক্ষতিপুরণ নির্ধারন এ...

এক জন মহিলা যে যে কারনে বিবাহ বিচ্ছেদ দাবী করতে পারে::

 এক জন মহিলা যে যে কারনে বিবাহ বিচ্ছেদ দাবী করতে পারে:: ১) স্বামী ভোরন পোষন দিতে ব্যর্থ হলে। ২) স্বামী যদি ৭ বছরের অধিক সময়ের জন্য কারাদন্ডে দন্ডিত হয়। ৩) স্বামীর নিষ্ঠুরতার জন্য। ৪)১৯৬১ এর পারিবারিক অাইন অডিন্যন্সের বিধান ভঙ্গ করে অারেক স্ত্রী বিবাহ করলে। ৫)স্বামীর মস্তিস্ক বিকৃতি বা মারাত্তক ব্যধি হলে। ৬) স্বামী পুরুষত্ব হীন হয়ে পড়লে।তবে স্বামীর অাবেদনের প্রেক্ষিতে অাদালত তাকে সন্তোষজনক পুরুষ ত্ব প্রমানের জন্য এক বছর সময় দিতে পারে। ৭) স্বামী দাম্পত্য কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হলে।

** জামিন লাভের উপায় **

** জামিন লাভের উপায় ** সাধারণতঃ জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন পাওয়া আসামীর অধিকার, আর জামিন অযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন প্রদান কর আদালতের এখতিয়ার। তবে জামিন অযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন প্রদানের ক্ষেত্রে আদালতকে সূক্ষ্ম বিচার-বিবেচনার ওপর নির্ভর করতে হয়। এরূপ বিচার-বিবেচনার বেশ কিছু নির্ধারক উপাদান (Defining Factor) আছে।  ¤¤¤ জামিন অযোগ্য মামলায় জামিন লাভে বিবেচ্য উপাদান সমূহ ¤¤ ¤ ১। আসামী শিশু, বৃদ্ধ, নারী কিংবা হীনবল কিনা। ২। আসামীর দুগ্ধপোষ্য শিশু সন্তান আছে কিনা। ৩। আসামী দাগী, দূর্ধষ বা অভ্যাসগত অপরাধীর দূর্নামবিহীন কিনা। ৪। ডাক্তারী সনদ মতে আসামী রোগাক্রান্ত বা জখমপ্রাপ্ত কিনা। ৫। আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যুক্তিসঙ্গত কিনা। ৬। আসামী হাজতে থাকলে মামলা পরিচালনা কঠিন হবে কিনা। ৭। আসামী ছাত্র বা পরীক্ষার্থী কিনা। ৮। আসামী স্বনাক্তকরণ মহড়ায় (T.I.P) স্বাক্ষী আসামীকে স্বনাক্ত করেছে কিনা। ৯। বাদী/আসামী উভয়পক্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা বা পূর্ব শক্রতা আছে কিনা। ১০। আসামী দীর্ঘদিন হাজতে আছে কিনা। ১১। আসামী ফৌঃকাঃবিধির ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দিয়েছে কিনা। ১...