Posts

Showing posts from October, 2015

মুসলিম বিবাহ আইন (শরিয়ত) সম্পর্কে কিছু তথ্য

Image
মুসলিম বিবাহ আইন (শরিয়ত) সম্পর্কে কিছু তথ্য ভারতবর্ষে মুসলিম আইন সৃষ্টি হয়েছে মূলতঃ কোরানের নির্দেশ থেকে। তবে নির্দেশগুলি সংশোধিত হয়েছে বিধানসভা ও লোকসভায় গৃহীত বিল এবং কোর্টের বিভিন্ন রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে। মুসলিম আইন (শরিয়ত) অনুসারে বিবাহ বা নিকা হল পরস্পরের উপভোগের জন্য এবং বৈধ সন্তান উত্পাদনের জন্য স্বেচ্ছায় চুক্তিবদ্ধ হওয়া। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল: মুসলিম বিবাহ হতে গেলে এক পক্ষ থেকে বিবাহের প্রস্তাব (ইজাব) আসতে হবে এবং অন্য পক্ষকে তাতে সন্মতি (কবুল) জানাতে হবে। সন্মতি ছাড়া বিবাহ বৈধ হবে না এবং এই সন্মতি কোনও শর্ত-সাপেক্ষ হওয়া চলবে না। উপরোন্তু এই সন্মতি আদায় করার জন্য কোনও রকম চাপ সৃষ্টি, মিথ্যার প্রশ্রয় নেওয়া বা কোনোরূপ প্রভাব খাটানো চলবে না। একই বৈঠকে প্রস্তাব ও সন্মতিদান সম্পন্ন করতে হবে এবং এগুলি করতে হবে সুস্পষ্টভাবে উচ্চারণ করে। সাক্ষী থাকবে দুই জন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুই জন নারী (সুন্নি আইন অনুসারে)। নারীসাক্ষীদের ক্ষেত্রে সাক্ষীদের হতে হবে প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমনা ও মুসলিম। শিয়া আইনে বিবাহের সময় সাক্ষীর প্রয়োজনীয়তা নেই। মুসলিম বিবাহ আইনে নাবালক ও অসুস্থমনা ব্যক্...

কোর্ট ম্যারেজ ও প্রাসঙ্গিক আইন:-) কাবিন রেজিষ্ট্রীর পরিবর্তে কোর্টম্যারেজ অধিকতর শক্তিশালী এ ভুল ধারণার ফাঁদে পড়ে

কোর্ট ম্যারেজ ও প্রাসঙ্গিক আইন:-) কাবিন রেজিষ্ট্রীর পরিবর্তে কোর্টম্যারেজ অধিকতর শক্তিশালী এ ভুল ধারণার ফাঁদে পড়ে অনেক নারী কোর্ট ম্যারেজ করে তাদের দাম্পত্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আইনের ছদ্মাবরণে একশ্রেণীর নোটারী পাবলিক এ অবৈধ কাজে সহায়তা করে চলেছেন। অথচ বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ‘কোর্ট ম্যারেজ’ এর কোন বৈধতা নেই, এর কোন অস্তিত্বও নেই। ৫০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে কিংবা ১৫০/-টাকার নন- জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয়ে গিয়ে হলফনামা করাকে বিয়ে বলে অভিহিত করা হয়। অথচ এ্যাফিডেভিট বা হলফনামা শুধুই একটি ঘোষণাপত্র। আইনানুযায়ী কাবিন রেজিষ্ট্রী সম্পন্ন করেই কেবল ঘোষণার জন্য এফিডেভিট করা যাবে। কিন্তু এ নিয়ম মানা হয় না। মুসলিম বিবাহ ও বিচ্ছেদ বিধি ১৯৭৫ এর ১৯(৩) ধারা অনুযায়ী ‘নিকাহ রেজিষ্ট্রার ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি যদি বিবাহ করান তাহলে সেই ব্যক্তি ১৫ দিনের মধ্যে ওই নিকাহ রেজিষ্ট্রারের নিকট অবহিত করবেন, যার এলাকায় উক্ত বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।’ মুসলিম বিবাহ ও বিচ্ছেদ আইন ১৯৭৪-এর ধারা ৫ (২) অনুযায়ী বিবাহ ...

আগাম জামিন কিভাবে পেতে হয়?

আগাম জামিন কিভাবে পেতে হয়? উওর: আগাম জামিন পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে আদালতের সামনে প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি সরকারের বিরাগভাজন হয়ে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করছেন। তাঁকে দেখাতে হবে যে, রাষ্ট্রপক্ষ অসৎ উদ্দেশ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চায় এবং এতে করে তাঁর সুনাম এবং স্বাধীনতায় অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে। পিএলডি ১৯৮৩ সালের একটি মামলায় বলা হয়েছে, পুলিশ যে তাঁকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে গ্রেপ্তার করতে চাইছে, আদালতের সামনে তা প্রমাণ করতে হবে। ১৯৮৫ সালের নথিভুক্ত একটি মামলায় আপিল বিভাগের পূর্ণ বেঞ্চের এক সিদ্ধান্তে বলা হয়, কাউকে খাটো করার উদ্দেশ্যে বিদ্বেষমূলক মামলায় জড়ানোর আশঙ্কা থাকলে একজন ব্যক্তি আগাম জামিন পেতে পারেন। তবে আসামি যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারেন এবং আদালতের নির্দেশমাত্র হাজির হতে পারে, আগাম জামিন মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

GENERAL DIARY FORMAT

To The Officer-in-Charge Tejgaon Police Station, D.M.P., Dhaka. Subject: About making a G.D. to the relation of passport Missing. Dear Sir, I beg most respectfully to inform you that I am Md. Abdullah-Al-Mamun, Permanent Address: Vill- Sujalpur, Post Office- Birganj, Police Station- Birganj, Dist.- Dinajpur. Present Address: 27/1 (2 nd  Floor 4F4), Dilu Road, New Eskaton (Ramna Police Station), Dhaka-1000. I am informing in this connection that on the last dated 17/04/06 at about 10.00 AM, I was coming to Farmgate area from my residence and in that period, my passport (No. W 0681216) was missed. I was then began to search out of it, but I did not get it any more even after a long searching it. Therefore, I hope and pray that you will be kind enough to attend the matter and will be made a Diary under your police Station for my future purpose and oblige thereby.          The Humble Applicant ...

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ 57

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬  ৫৭৷ (১) কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে  এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷  (২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি ১[ অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে] এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷  ৫৪৷ (১) যদি কোন ব্যক্তি কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মালিক বা জিম্মাদারের অনুমতি ব্যতিরেকে-  (ক) উহার ফাইলে রতিগত তথ্য বিনষ্ট করিবার বা ফাইল হইতে তথ্য উদ্ধার বা সংগ্রহ করিবার উদ্দেশ্যে উক্ত কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্...

মটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ মোতাবেক ট্রাফিক আইন অমান্য করিলে কি কি শাস্তি ও জরিমানা হয় তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ

মটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ মোতাবেক ট্রাফিক আইন অমান্য করিলে কি কি শাস্তি ও জরিমানা হয় তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ২   ধারা-১৩৭: মোতাবেক যদি কোন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ী চালায়,গাড়ীতে মেটালিক নাম্বার প্লেট ব্যবহার করে,ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়,নাম্বার প্লেট অস্পষ্ট,বাম্পার দ্বারা নাম্বার প্লেট আবৃত থাকে এবং রং পার্কিং করে; তাহলে উক্ত দ্বারা মোতাবেক ড্রাইভার বা মালিকের ২০০/-টাকা জরিমানা হবে। ধারা-১৩৯: এ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোন গাড়ীতে হাইড্রোলিক হর্ণ সংযোজিত পাওয়া গেল-উক্ত দ্বারা মোতাবেক ১০০/-টাকা জরিমানা করা হবে। ধারা-১৪০: এ ধারায় বলা হয়েছে যে,নিষিদ্ধ স্থানে হর্ণ বাজাইলে,ট্রাফিক নির্দেশাবলী অমান্য করিলে,বাঁধা সৃষ্টি ও তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানাইলে,ট্রাফিক সংকেত অমান্য করিলে, ওয়ান-ওয়ে অমান্য করিলে,নিষিদ্ধ ইউটার্ণ করিলে,নিষিদ্ধ সময়ে যানবাহন চলাচল করিলে-উক্ত দ্বারা মোতাবেক ২৫০/-টাকা জরিমানা করা হবে। ধারা-১৪২: এ ধারায় বলা হয়েছে আইনানুগ সর্ব্বোচ্চ গতিসীমা লংগন করিলে-জরিমানা হবে ৩০০/-টাকা মাত্র । ধারা-১৪৬: এ ধারায় বলা হয়েছে যে, দূর্ঘটনা সংক্রান্ত অপরাধ করিল...

অগ্র-ক্রয় বা Preemption

অগ্র-ক্রয় বা Preemption প্রি-এ্যামশন: আপনার পাশের জমির মালিক যদি আপনাকে না জানিয়ে জমিটি বিক্রি করে ফেলে তবে আপনি প্রি এ্যামশন বা অগ্রক্রয়ের অধিকারবলে ঐ জমাটি পুনরায় ক্রয় করে নিতে পারবেন । অগ্রক্রয় শব্দটির মানে হচ্ছে কোন সম্পত্তি ক্রয় করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার । আপনি অগ্রক্রয়ের অধিকারযোগ্য হবেন যখন….. 1. আপনার পাশের জমিটি আপনার অগোচরে বিক্রি হয়ে গেছে । 2. জমি বিক্রেতা যদি আপনার উত্তরাধীকারসূত্রে সহ অংশীদার হয় । আপনাকে এজন্য কোর্টে application করতে হবে….. 1. কৃষি জমির ক্ষেত্রে জমি বিক্রয়ের রেজিস্ট্রেশনের তারিখ হতে ৩ বছরের মধ্যে । 2. অকৃষি বা বসত ভিটা জমির ক্ষেত্রে এমন সময়ের কোন সীমাবদ্ধতা নেই । তবে যখন দাবি করতে যাবেন তখন প্রমান করতে হবে জমি বিক্রয়ের ব্যাপারটি আপনি এতদিন ধরে জানতেন না । application এর সথে কোর্টে জমা দিতে হবে….. কৃষি জমির জন্য: (SAT Act-1950, sec-96) * জমি বিক্রয়ের সমপরিমান অর্থ * ২৫% ক্ষতিপূরন (জমি মূল্যের উপর) * ৮% হারে বার্ষিক হার সুদ (জমি মূল্যের উপর) * জমিতে কোন উন্নয়ন বাবদ কোন খরচ করা হলে তার ব্যয় । অকৃষি জমির জন্য: (NAT Act-1949, sec-24) * জমি বিক্রয়ের ...

পোষা প্রাণীর ক্ষেত্রে সাবধানতা

পোষা প্রাণীর ক্ষেত্রে সাবধানতা অনেকে শখ করে বাড়িতেকুকুর পোষেণ। কুকুর যাতে মানুষকে কামড়াতে না পারে সে বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে কুকুরের মালিক বাধ্য । একইভাবে গরু, ঘোড়া, শূকর, বিড়ালসহ যে কোন প্রাণী যারা পোষেণ তাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার পোষা প্রাণী অন্যের বিপদের কারণ না হয়। এ ক্ষেত্রে যে কোন প্রকার অবহেলা দন্ডবিধি অনুসারে অপরাধ বলে গণ্য হবে। দন্ডবিধির ২৮৯ ধারা অনুসারে যে ব্যক্তি জ্ঞাতসারে বা অবহেলা করে তার দখলভূক্ত কোন প্রাণী সম্পর্কে – সেই প্রাণী হতে উদ্ভূত মানুষের জীবনের প্রতি কোন সম্ভাব্য বিপদের বা কোন সম্ভাব্য গুরুতর আঘাতের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বনের জন্য প্রয়োজনীয় আদেশ পালনে ত্রুটি করে সেই ব্যক্তি প্রাণী সম্পর্কে তাচ্ছিল্যপূর্ণ আচরণের অপরাধে অপরাধী হবে। এ অপরাধের শাস্তি ৬ মাস পর্যন্ত কারাদন্ড হতে পারে বা অর্থদন্ড যার পরিমাণ এক হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে বা উভয়বিধ দন্ডহতে পারে। এ ধারায় অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত করতে হলে নিম্নলিখিত তথ্যাবলী প্রমাণ করতে হয়ঃ ১। কোন প্রাণী অভিযুক্ত ব্যক্তির দখলে ছিল। ২। মানুষের জীবনের সম্ভাব্য বিপদ বা গুরুতর আঘাত উক্ত প্রাণী দ্বারা যাতে না...

অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (Temporary Injunction) কাকে বলে ?

অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (Temporary Injunction) কাকে বলে ? ১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫৩ ধারায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার (টেমপোরারি ইনজাংশন) সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, এটি এমন একধরনের নিরোধ, যা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অথবা আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকে। মামলার যে কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা যায় এবং দেওয়ানি কার্যবিধি দিয়ে তা নিয়ন্ত্রিত হয়। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজনীয়তা কোন জায়গায়? আইনের লিস পেনডেন্স নীতি অনুসারে, যাতে করে আদালতের ডিক্রি বা আদেশ ক্ষুণ্ন না হয়, সে জন্য সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৫২ ধারা অনুসারে বিচারাধীন মামলার সম্পত্তি আদালতের অনুমতি ছাড়া হস্তান্তর করা নিষিদ্ধ। এখন কেউ যদি অসদুদ্দেশ্যে বিচারাধীন কোনো সম্পত্তি হস্তান্তর করতে উদ্যোগী হয়, সে ক্ষেত্রে অস্থায় নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন পড়ে। দেওয়ানি কার্যবিধির ৩৯ নাম্বার আদেশের ১ নাম্বার নিয়মানুসারে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়ে থাকে। ওই নিয়মে বলা হয়েছে, যেসব ক্ষেত্রে মামলার এফিডেভিটের মাধ্যমে বা অন্য কোনোভাবে প্রমাণিত হয় যে মামলায় জড়িত বিরোধভুক্ত কোনো সম্পত্তি মামলার কোনো পক্ষ ...

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে কারও মৃত্যু হলে?

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে কারও মৃত্যু হলে? আইনে বলা হয়েছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে আটক কোনো ব্যক্তির নির্যাতনের ফলে মৃত্যু হলে দোষী ব্যক্তি অন্যূন যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে অতিরিক্ত দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ ছাড়া হেফাজতে নির্যাতনের জন্য সর্বনিম্ন পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। নির্যাতনে প্ররোচিত বা সহায়তা করলেও জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। মামলা দায়েরের ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগ প্রথম লিপিবদ্ধ করার তারিখ থেকে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার বিধান রাখা হয়েছে। কোনো সরকারি কর্মকর্তা অথবা তাঁর পক্ষে কোনো ব্যক্তির গাফিলতির কারণে অভিযোগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই প্রমাণ করতে হবে, তাঁর কারণে অভিযোগকারী ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হননি। যুদ্ধাবস্থা, যুদ্ধের হুমকি, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অথবা জরুরি অবস্থায় অথবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা সরকারি আদেশে নির্যাতনের অজুহাত অগ্রহণযোগ্য হবে। আদালতের সামনে কোনো ...

উত্তরাধিকার/ওয়ারিশসূত্রে নামজারী করার জন্য কি করতে হবে?

উত্তরাধিকার/ওয়ারিশসূত্রে নামজারী করার জন্য কি করতে হবে? ক) নিম্নবর্ণিত কাগজপত্রসহ সকল ওয়ারিশকে সংশ্লিষ্ট উপ-পরিচালক (এষ্টেট) বরাবর আবেদন করতে হবে : – মৃত্যু সনদপত্র (ঢাকা সিটি করপোরেশন/ রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত)। – ওয়ারিশান সার্টিফিকেট (ওয়ার্ড কমিশনার/ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত)। – সাক্সেশন সার্টিফিকেট (উপযুক্ত আদালত কর্তৃক প্রদত্ত)। – নমুনা মোতাবেক ১৫০ টাকার নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে সকল ওয়ারিশের অঙ্গীকারনামা। – সকল ওয়ারিশের পাসপোর্ট আকারের ছবি ১টি করে (গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত)। খ) পূর্ণাঙ্গ আবেদন প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে নামজারী ফিস জমা প্রদানের পত্র দেয়া হবে। গ) নির্ধারিত হারে নামজারী ফিস জমাদানের পত্র পাওয়ার পর আবেদনকারী কর্তৃক তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দিতে হবে। ঘ) নামজারী ফিস জমা প্রদানের রশিদ পাওয়ার ০৩ (তিন) দিনের মধ্যে নামজারী আদেশ প্রদান করা হবে।

অধীকার বা প্রথা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠলে, সে সব বিষয় প্রসঙ্গিক

অধীকার বা প্রথা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠলে, সে সব বিষয় প্রসঙ্গিক Evidence Act: 1872. Section: 13 ১. যখন কোন  অধিকার বা প্রথা  সম্পর্কে প্রশ্ন ওঠে, তখন, কিভাবে সেই অধিকার সৃষ্টি হয়েছে বা দাবি করা হয়েছে সংশোধন করা হয়েছে ঘোষণা বা স্বীকার করা হয়েছে বা অস্বীকার কারা হয়েছে তা Relevant Fact আবার যদি এমন হয় এমন কোন Fact পাওয়া যায় যা সেই  অধিকার বা প্রথার  যে দাবি করা হয় তার বিপরীতে যায় তাও প্রাসঙ্গিক। ২. উপরোক্ত সকল বিষয়ের সময়ও প্রাসঙ্গিক। উদাহরণ: ক’র বাব খ’কে একটি জমি ভোগ দখল করতে দিয়েছে, এখনে উপরোক্ত বিষয় গুলো বিচারের সময় জানার প্রয়োজনে প্রাসঙ্গিক হবে।

যে সব ঘটনা সাধারণত রিলেভেন্ট হয়না কিন্তু তা যখন বিশেষ ক্ষেত্রে রিলেভেন্ট হয়

যে সব ঘটনা সাধারণত রিলেভেন্ট হয়না কিন্তু তা যখন বিশেষ ক্ষেত্রে রিলেভেন্ট হয় Evidence Act: 1872. Section: 11 যে সব ঘটনা সাধারণত রিলেভেন্ট হয়না কিন্তু তা যখন বিশেষ ক্ষেত্রে রিলেভেন্ট হয় এরূপ ঘটনা দু সময়ে রিলেভেন্ট হতে পারে ১. যখন তারা অন্য কোন Fact in issue বা Relevant Fact এর সাথে অসামঞ্জস্য পূর্ণ হয়। ২. অথবা যখন কোন Fact নিজে বা অন্য কোন Fact এর সাথে মিলে, কোন fact বা Relevant Fact সত্য হওয়ার সম্ভাবনাকে খুব বাড়িয়ে দেয় বা খুব কমিয়ে দেয়। কারণ: যদি এমন হয় কোন সত্য ঘটনার বর্ণনায় বোঝা যায় যে আগের কোন Fact in issue বা Relevant Fact এর সাথে যাচ্ছে না বা কোন fact বা Relevant Fact সত্য হওয়ার সম্ভাবনাকে খুব বাড়িয়ে দেয় বা খুব কমিয়ে দেয়। তবে বোঝা যায় যে কোথাও কোন সমস্যা আছে / মিথ্যে আছে তাই সেই Fact টি যেটা কিনা স্বাভাবিক ভাবে Relevent Fact হিসেবে ধরা হত না তখন Relevent Fact হিসেবে ধরা হয়। উদাহরণ: ক কে খ খুন হতে দেখেছে, এখানে খ ৩০ মিনিট আগে কোথায় ছিল তা সাধারণ ভবে প্রসংঙ্গিক নয় কিন্তু সে যদি ৩০ মিনিট আগে বরিশাল থাকে, তবে দুইটি বিষয়ের যে কোন একটি মিথ্যা “ক কে খ খুন হতে দেখেছে” এই ঘ...

স্বীকৃতি (Admission) যার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায়

স্বীকৃতি (Admission) যার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায় Evidence Act – 18712, Section: 21 যে ব্যক্তি  স্বীকার  (Admission) করে (বা যদি অন্য কেউ তার পক্ষ হতে স্বীকার করে), তবে সেই  স্বীকারোক্তি  তার বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এই সেকশনটাকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করে বুঝতে পারি, I) একটি স্বীকারোক্তি, যে প্রদান করে তার বিরুদ্ধে প্রমাণ করা যেতে পারে, বা যদি অন্য কেউ তার পক্ষ হতে স্বীকার করে তবেও তার বিরুদ্ধে প্রমাণ করা যেতে পারে। ক ও খ এর মধ্যে মামলা হয়েছে, এখন একটি দলিল 'দ' সেটি ঠিক নাকি জাল সেটি বিচার্য বিষয়। এখানে, ক বলছে দলিলটি ঠিক আছে, আবার খ বলছে দলিলটি জাল। এখন প্রয়োজনে ক খ'য়ের কথাকে সূত্র ধরে এটা প্রমাণ করতে পারে যে দলিলটি জাল। আবার, প্রয়োজনে খ ক,য়ের কথাকে সূত্র ধরে এটা প্রমাণ করতে পারে যে দলিলটি জাল নয়। তবে তাদের কেউই নিজেদের কথা দ্বারা কোন কিছু প্রমাণ করতে পারেন না। II) সাধারণত যে নিজে স্বীকার করে (অথবা তার প্রতিনিধি) সে নিজের স্বার্থে সেটাকে ব্যবহার করতে পারেন না। III) তবে এর কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে: যদি কোন ব্যক্তি  স্বীকার করে ...

কোন দলিলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে যখন মৌখিক স্বীকারোক্তি (Admission) প্রসঙ্গিক

কোন দলিলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে যখন মৌখিক স্বীকারোক্তি (Admission) প্রসঙ্গিক Evidence Act 1872, Section: 22 কোন দলিলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে যখন মৌখিক স্বীকারোক্তি (Admission) প্রাসঙ্গিক। সাধারণত, কোন দলিলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে যখন মৌখিক স্বীকারোক্তি (Admission) প্রাসঙ্গিক নয়, তবে যদি কোন পক্ষ এটা প্রমাণ করতে পারে যে, দলিলের সত্যতা সম্পর্কে সংশয় আছে অথবা, তার ঐ দলিল সম্পর্কে Secondary Evidence দেওয়ার অধিকার রয়েছে। Section: 23 দেওয়ানি মামলা স্বীকৃত যখন প্রাসঙ্গিক। যদি কোন ক্ষেত্রে এমন হয় যে, ১) যেখান প্রকাশ্যে শর্ত দিয়ে বলা আছে যে, স্বীকৃতি সম্পর্কে কোন সাক্ষ্য দেওয়া যাবে না। অথবা ২) আদালত ঘটনা/ অবস্থা দেখে ধরে নেয় যে এমন কোন শর্ত হয়েছিল (পরোক্ষ ভাবে)।

Confession – কনফেসন

Image
Confession – কনফেসন আইনের কোথাও Confession  এর সংজ্ঞায়ন দেওয়া নেই, তবে এটা Admission (স্বীকার) এর একটি অংশ। তবে আমরা এভাবে Confession  এর সংজ্ঞায়ন করতে পারি, Confession  হচ্ছে এক ধরনের  Admission  যা অভিযুক্ত ব্যক্তি (স্বীকার)  করে থাকেন। আরো সহযে বলতে গেলে, যদি কোন অভিযুক্ত ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে আনা কোন অভিযোগ স্বিকার করে থাকেন তবে তাই হচ্ছে Confession. ধরি. ক এর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ উঠিছে এবং সে তা তার বন্ধুর কাছে  স্বীকার করছে, তখন এই  স্বিকারোক্তি -ই কনফেসন, এবং এটা তার বিরুদ্ধে প্রমান ব্যবহার করা যাবে। Classification of Confession: Judicial Confession: যেটা জজ বা ম্যজিষ্টেটের সামনে অথবা কোন জুডিশিয়াল প্রসেডিংসের/ এক্সমিনিশনের সময় দেওয়া হয়। Extra Judicial Confession: যে কনফেসন জজ বা ম্যজিষ্টেটের সামনে অথবা কোন জুডিশিয়াল প্রসেডিংসের/ এক্সমিনেশনের সময় দেওয়া হয় না। Retracted Confession: যখন কেউ কোন কনফেসন করে তা ফিরিয়ে নেয় তখন তা Retracted Confession হয়ে যায়। (এটা কোর্ট বাতিল করবে নাকি ধরে র...