আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে কারও মৃত্যু হলে?
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে কারও মৃত্যু হলে?
আইনে বলা হয়েছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে আটক কোনো ব্যক্তির নির্যাতনের ফলে মৃত্যু হলে দোষী ব্যক্তি অন্যূন যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে অতিরিক্ত দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ ছাড়া হেফাজতে নির্যাতনের জন্য সর্বনিম্ন পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
নির্যাতনে প্ররোচিত বা সহায়তা করলেও জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। মামলা দায়েরের ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগ প্রথম লিপিবদ্ধ করার তারিখ থেকে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার বিধান রাখা হয়েছে।
কোনো সরকারি কর্মকর্তা অথবা তাঁর পক্ষে কোনো ব্যক্তির গাফিলতির কারণে অভিযোগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই প্রমাণ করতে হবে, তাঁর কারণে অভিযোগকারী ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হননি। যুদ্ধাবস্থা, যুদ্ধের হুমকি, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা
অথবা জরুরি অবস্থায় অথবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা সরকারি আদেশে নির্যাতনের অজুহাত অগ্রহণযোগ্য হবে। আদালতের সামনে কোনো ব্যক্তি যদি অভিযোগ করে যে, তাকে নির্যাতন করা হয়েছে, তাহলে আদালত তাৎক্ষণিক ওই ব্যক্তির বিবৃতি লিপিবদ্ধ করবেন এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসক দিয়ে তার শরীর পরীক্ষার আদেশ দেবেন।
হেফাজতের মৃত্যুর সংজ্ঞা হিসেবে বলা হয়েছে, ‘সরকারি কোনো কর্মকর্তার হেফাজতে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক গ্রেপ্তারকালে কোনো ব্যক্তির মৃত্যুকে বোঝানো হবে। কোনো মামলায় সাক্ষী হোক বা না হোক, জিজ্ঞাসাবাদের সময় মৃত্যুও হেফাজতে মৃত্যু হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে।
Comments
Post a Comment