যদি কোন স্ত্রী স্বামীকে তালাক দেয় তবে স্ত্রী কি স্বামীর কাছ থেকে কোন টাকা পাবে?
যদি কোন স্ত্রী স্বামীকে তালাক দেয় তবে স্ত্রী কি স্বামীর কাছ থেকে কোন টাকা পাবে?
১। যদি কোন স্ত্রী স্বামীকে তালাক দেয় তবে স্ত্রী কি স্বামীর কাছ থেকে কোন টাকা পাবে?
স্ত্রী তালাক টাকা দিলে পাবে কিন্তু বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে কারণ স্ত্রী তো অনেক কারণেই স্বামীকে তালাক দিতে পারে! কারণটা যদি স্বামীর ব্যর্থতার দরুণ যেমন- স্বামী মিলনে অক্ষম, দির্ঘ্যদিন নিঁখোজ, মৃত্যুদন্ড বা গুরুতর দন্ডের ক্ষেত্রে, স্বামীর একাধিক স্ত্রী বা পরকীয়া প্রকাশ পেলে ইত্যাদি ক্ষেত্রে স্ত্রীর সুযোগ থাকে স্বামীকে তালাক দেয়ার। সেক্ষেত্রে স্ত্রী বিলম্বিত মোহরানা বা deffered dower স্বামীর কাছ থেকে পাবে। এখানে, MFLO সহ কয়েকটা মুসলিম আইন যেমন মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইনে এসব বিষয়ে গভীরভাবে আলোকপাত করা হয়েছে তবে “খাঁটি শরীয়া”তে বলা আছে স্ত্রী তালাক দিলে কিছুই পাবেনা সেক্ষেত্রে তালাকের ধরণটা বেশ কঠিন, স্ত্রীর তেমন সুযোগ থাকেনা। তাছাড়া খাঁটি শরীয়া মান্যকারী দম্পত্তির তালাক বা বিচ্ছেদের ঘটনা নেহাতই নগন্য তবে মানবনিয়ন্ত্রিত আইনেই বাংলাদেশের আদালতে মুসলিম পারিবারিক আইনী সুরাহা হয়ে থাকে। বিলম্বিত দেনমোহর (deffered dower) যা স্বামীর মৃত্যুর পর অথবা তালাকের পর পরিশোধ করতে হয়। আবার, স্ত্রী যদি বিবাহের সময় বিশেষকরে বিবাহ নিবন্ধণে স্বামী কর্তৃক তালাকের আইনগত ডেলেগেশন পাওয়ার পেয়ে থাকে এবং স্ত্রী যদি সে ক্ষমতা পরবর্তীতে ব্যবহার করে তবে সে কোন দেনমোহর বা ভরণপোষণ পাবে না তবে শরীয়াতে আছে স্ত্রী যদি “খুলা তালাক” যা স্ত্রী কর্তৃক উত্থাপনে এবং স্বামী কর্তৃক অনুমোদনে তালাক সম্পাদন করে থাকে সেক্ষেত্রে স্ত্রী কোন মোহরানা পাবে না তবে ইদ্দত পালনকালে স্ত্রী ও তার গর্ভস্থ সন্তান স্বামীর নিকট হতে ভরণপোষণ পাবে আবার যদি স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীকে যে ইদ্দত পালন করতে হয়, সেই ইদ্দতের সময়ের জন্য কোনো খোরপোষ বা ভরণপোষণ পাবে না তবে মানবনিয়ন্ত্রিত MFLO’61 এর ধারা ৭এর ৫ উপধারা অনুযায়ী তালাক কিন্তু হবে না যদি স্ত্রী গর্ভবতী থাকে এবং সেক্ষেত্রে বিবাহত্তর ভরণপোষণের প্রশ্নই আসেনা। কারণ, স্ত্রী স্বাভাবিকভাবেই স্ত্রী হিসেবে স্বামীর পোষণ পাচ্ছে। আবার, মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন ১৯৩৯ এর ২ ধারায় অনেক কারণ উল্লেখ আছে যেমন স্বামীর একাধিক স্ত্রী, স্বামী গুরুতর অপরাধে কমপক্ষে ৭ বছর দন্ডিত, স্বামীর নিষ্ঠুরতা, পাগলামি, কঠিন রোগ, মারাত্নক অসামাজিকতা ইত্যাদি কারণে যদি তালাক দেয় স্ত্রী, সেক্ষেত্রে এই আইনের কোন ধারাই তাকে বাধাগ্রস্থ করবে না বরং সে পরিপূর্ণ বিলম্বিত দেনমোহর পাবে যা এই আইনের ধারা ৫ নিশ্চিত করেছে।
২। স্ত্রীর ৬ মাসের একটি বাচ্চা আছে, এখন বাচ্চা কার কাছে থাকবে? স্ত্রীর কাছে নাকি দাদা-দাদী বা তার বাচ্চার কাকার কাছে? বাচ্চা কি কোন টাকা পাবে?
কোর্ট যদি মনে করে বাচ্চা মায়ের পরিবারে নাকি বাবার পরিবারে ভালো থাকবে? নিরাপদে কোথায় থাকবে? তবে সে অনুযায়ী কোর্ট নির্দেশ দিবে তবে মায়ের অগ্রাধিকার সর্বগন্য। বাবাকে অবশ্যই বাচ্চাকে সাবালক বা সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত ভরণপোষণ দিতে হবে।
৩। ওনার (?) দুইটা বাচ্চা, একটা ছেলে ও আরেকটা মেয়ে। ছেলেটার বয়স ১৪বছর আর মেয়ের বয়স ৮ বছর। এখন তাদের কে পাবে মা নাকি বাবা? তাদের ভরণপোষণ কি বাবা দিবে?
নাবালকের অভিভাবকত্বের অধিকার মায়ের বেশী, মায়ের অবর্তমানে মায়ের পরিবার এমনকি মা ও মায়ের পরিবারের অবর্তমানে বাবার অধিকারভিত্তিতে সন্তানের
পিতা বা পিতার পিতা বা পিতার আপন ভাই ইত্যাদি শ্রেণীগত অভিভাবক দায়িত্বপ্রাপ্ত হবে তবে অবশ্যই আদালতের নির্দেশে। এবং সেই বাচ্চা পিতার কাছ থেকে ভরণপোষণ পাবে যতদিন না বাচ্চাটা সাবালক হয়। সেই শিশু পিতার উত্তরাধিকার সূত্রে স্থাবর সম্পত্তির অধিকারী হবে এমনকি সন্তানের মা সেই সম্পত্তি আদালতের অনুমোদন ও শিশুর উপর সন্তুষ্টিতে হস্তান্তর বা বিক্রি করতে পারবে এই মর্মে যে হস্তান্তর বা বিক্রয় শিশুর জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজন।
পিতা বা পিতার পিতা বা পিতার আপন ভাই ইত্যাদি শ্রেণীগত অভিভাবক দায়িত্বপ্রাপ্ত হবে তবে অবশ্যই আদালতের নির্দেশে। এবং সেই বাচ্চা পিতার কাছ থেকে ভরণপোষণ পাবে যতদিন না বাচ্চাটা সাবালক হয়। সেই শিশু পিতার উত্তরাধিকার সূত্রে স্থাবর সম্পত্তির অধিকারী হবে এমনকি সন্তানের মা সেই সম্পত্তি আদালতের অনুমোদন ও শিশুর উপর সন্তুষ্টিতে হস্তান্তর বা বিক্রি করতে পারবে এই মর্মে যে হস্তান্তর বা বিক্রয় শিশুর জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজন।
Comments
Post a Comment