মানহানির ফৌজধারি মামলা কিভাবে দায়ের করবেন



মানহানির ফৌজধারি মামলা
কিভাবে দায়ের করবেন
@@
দণ্ড বিধির ৪৯৯ ধারায় মানহানির
সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। উক্ত আইনের
বিধান অনুসারে কোনো মানুষ
উদ্দেশ্যমূলকভাবে যদি কোনো কথা,
প্রতীক বা দৃশ্যমান কোনো কিছু তৈরি
করে বা প্রকাশ করে অপর মানুষের
মানহানি ঘটান তবে তা মানহানি
হিসেবে বিবেচিত হবে।
এছাড়া কোনো মৃত মানুষের বিষয়ে
মানহানিকর কোন কিছু বললে বা
প্রকাশ করলেও তা মানহানির অপরাধ
হবে। এমনকি যদি কোনো কোম্পানির
বিরুদ্ধেও মানহানিকর কিছু বললে বা
প্রকাশ করলেও তা মানহানির
অপরাধের পর্যায়ে পড়বে।
তবে একটি মানহানিকর কার্য তখনি
অপরাধ হবে যখন বক্তব্যটি বা
প্রকাশনাটি সংশ্লিষ্ট মানুষটিকে
নৈতিক ভাবে হেয় করে বা তার
চরিত্রকে নিচু করে।
তবে মানহানির মামলা কে প্রতিহত
করতে আলোচ্য আইনের ধারাতে ১০ টি
ব্যতিক্রম রয়েছে যথাঃ-
১ - বক্তব্য টি সত্য এবং জনস্বার্থে
প্রকাশ করা বা বলা হয়েছে।
২ - জনসেবকের আচরন যখন সে, জন
দায়িত্ব পালন করছে।
৩ - জনস্বার্থ জড়িত এমন প্রশ্নের উত্তর
দেয়া হলে।
৪ - আদালতের কোনো কার্যক্রমের
ফলাফল প্রকাশ করা।
৫ - কোনো মামলার মেরিট বা
সাক্ষীদের আচরণ বর্ণনা করা।
৬ - জনকার্যক্রম এর ফলাফল বর্ণনা করলে।
৭ - সরল বিশ্বাসে ভৎসনা করা যখন
ক্ষমতা থাকে ভৎসনা করার।
৮ - সরল বিশ্বাসে কারো বিরুদ্ধে
নালিশ করলে।
৯ - নিজে বা অপরের বা জনস্বার্থ
রক্ষা করার জন্য বলা হলে।
১০ - অপরের বা জনস্বার্থের ভালোর
জন্য সতর্ক করলে।
দণ্ড বিধি আইনের ৫০০ ধারায় বলা
হয়েছে যে মানহানির জন্য ২ বছর পর্যন্ত
জেল অথবা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড
দেয়া যাবে।
মানহানির মামলা কগ্নিজিবল নয়।
অর্থাৎ কোর্ট সরাসরি মামলা আমলে
নিতে পারে না আবার পুলিশ
কোর্টের আদেশ ছাড়া আসামিকে
গ্রেপ্তার করতে পারেনা।
এসব মামলা মেজিসট্রেট কোর্টে
দায়ের করা হলে আদালত আসামিকে
সমন দিয়ে তলব করে মামলাটি বিচার
করতে পারেন।তবে এই মামলা
জামিনযোগ্য এবং মিমাংসাযোগ্য।

Comments

Popular posts from this blog

** 'হেবা' ও 'হেবা-বিল-এওয়াজ' কী? **

জেনে নিন ভায়োলেশন কেইস সম্পর্কে

শোন এরেস্ট (Shown Arrest) কাকে বলে ? ..শিশুদের গ্রেপ্তারে হাতকড়া পরানো যাবেনা