জামিন অযোগ্য মামলায় জামিন লাভে বিবেচ্য উপাদান সমূহ/দণ্ডবিধি ধারা ৩৭৫ অনুসারে নিম্নোক্ত পাঁচটির যেকোন অবস্থায় কোন স্ত্রীলোকের সহিত যৌনসঙ্গম করলে সেটা ধর্ষণ বলে কথিত হবে/** চুরি**/[ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধনী) আইন – ২০০৩ (ধারা ৪ )]

জামিন অযোগ্য মামলায় জামিন লাভে বিবেচ্য উপাদান সমূহ:-
১। আসামী শিশু, বৃদ্ধ, নারী কিংবা হীনবল কিনা।
২। আসামীর দুগ্ধপোষ্য শিশু সন্তান আছে কিনা।
৩। আসামী দাগী, দূর্ধষ বা অভ্যাসগত অপরাধীর দূর্নামবিহীন কিনা।
৪। ডাক্তারী সনদ মতে আসামী রোগাক্রান্ত বা জখমপ্রাপ্ত কিনা।
৫। আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যুক্তিসঙ্গত কিনা।
৬। আসামী হাজতে থাকলে মামলা পরিচালনা কঠিন হবে কিনা।
৭। আসামী ছাত্র বা পরীক্ষার্থী কিনা।
৮। আসামী স্বনাক্তকরণ মহড়ায় (T.I.P) স্বাক্ষী আসামীকে স্বনাক্ত করেছে কিনা।
৯। বাদী/আসামী উভয়পক্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা বা পূর্ব শক্রতা আছে কিনা।
১০। আসামী দীর্ঘদিন হাজতে আছে কিনা।
১১। আসামী ফৌঃকাঃবিধির ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দিয়েছে কিনা।
১২। আসামী জেল হাজতে থাকায় তার পরিবারের লোকজন অর্থাভাবে বা অনাহারে আছে কিনা।
১৩। আসামী এজাহারনামীয় না হয়ে সন্ধিগ্ন কিনা।
১৪। জামিন পেলে তদন্তে বিঘ্ন বা স্বাক্ষ্য নষ্ট হবে কিনা।
১৫। আসামী জামিন পাইলে পলাতক হবে কিনা।
১৬। আসামী স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণকারী বা পূলিশ কর্তৃক গ্রেফতারকৃত কিনা।
১৭। মামলার সহযোগী আসামী জামিনে আছে কিনা।
১৮। মামলায় আপোষ-মিমাংশার সম্ভাবনা আছে কিনা॥


দণ্ডবিধি ধারা ৩৭৫ অনুসারে নিম্নোক্ত পাঁচটির যেকোন অবস্থায় কোন স্ত্রীলোকের সহিত যৌনসঙ্গম করলে সেটা ধর্ষণ বলে কথিত হবে:
১) স্ত্রীলোকটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে।
২) স্ত্রীলোকটির সম্মতি ব্যতিত।
৩)স্ত্রীলোকের সম্মতিতেই, কিন্তু মৃত্যু বা জখমের ভয় দেখিয়ে সম্মতি আদায় করলে।
৪) স্ত্রীলোকের সম্মতিতেই, কিন্তু পুরুষটি জানে যে, সে স্ত্রীলোকটির স্বামী নয়, এবং পুরুষটি এও জানে যে, স্ত্রীলোকটি তাকে এমন অন্য একজন পুরুষ বলে ভুল করেছে, যে পুরুষটির সহিত আইনসম্মতভাবে বিয়ে হয়েছে বা বিবাহিত।
৫) স্ত্রীলোকের সম্মতিতে কিংবা সম্মতি ব্যতীত, যদি স্ত্রীলোকটির বয়স চৌদ্দ বছরের কম হয়।

** চুরি**
দণ্ডবিধি ধারা ৩৭৮ অনুযায়ী চুরির সজ্ঞা:-
যে ব্যক্তি, কোন ব্যক্তির দখল হইতে কোন অস্থাবর সম্পত্তির উক্ত ব্যক্তির সম্মতি ব্যতিরেকে অসাধুভাবে গ্রহণ করিবার অভিপ্রায়ে অনুরূপ গ্রহণের উদ্দেশ্যে উক্ত সম্পত্তি স্থানান্তর করে, সেই ব্যক্তি চুরি করে বলিয়া গণ্য হইবে।
দণ্ডবিধি ধারা ৩৭৯ অনুযায়ী চুরির শাস্তি:-
যে ব্যক্তি চুরি করে, সেই ব্যক্তি যেকোন বর্ণনার কারাদন্ডে-যাহার মেয়াদ তিন বছর পর্যন্ত হইতে পারে বা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
দণ্ডবিধি ধারা ৩৮০ অনুযায়ী বাসগৃহ ইত্যাদিতে চুরির শাস্তি:-
যে ব্যক্তি, মনুষ্য বসবাস বা সম্পত্তি সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয় এইরূপ অট্টালিকা, তাঁবু বা জাহাজে চুরি অনুষ্ঠান করে, সেই ব্যক্তি যেকোন বর্ণনার কারাদন্ডে-যাহার মেয়াদ সাত বছর পর্যন্ত হইতে পারে- দন্ডিত হইবে এবং তদুপরি অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবে।

[ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধনী) আইন – ২০০৩ (ধারা ৪ )]
(ক) যদি কোন ব্যক্তি দহনকারী , ক্ষয়কারী কিংবা বিষাক্ত পদার্থ দ্বারা কোন নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটান বা ঘটানোর চেষ্ঠা করেন তাহা হইলে
শাস্তি – মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ৩ লক্ষ টাকা অনুর্ধ জরিমানা দিতে হবে।
(খ) শ্রবনশক্তি , দৃস্টিশক্তি বা কোন অঙ্গহানি করা হলেও একি শাস্তি বিদ্যমান
(গ) ঐ পদার্থ দ্বারা শারিরীক বা মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হলেও -
শাস্তি- সাত বছরের বেশি নয় এবং তিন বছরের কম নয় কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন।সাথে পঞ্চাস হাজার টাকার বেশি নয় এমন অর্থদন্ড।

Comments

Popular posts from this blog

শোন এরেস্ট (Shown Arrest) কাকে বলে ? ..শিশুদের গ্রেপ্তারে হাতকড়া পরানো যাবেনা

জেনে নিন ভায়োলেশন কেইস সম্পর্কে

Detention (ডিটেনশন) কি ? একজন ব্যক্তিকে কতদিন বিনা বিচারে আটক রাখা যায় ?ইম্পয়াউনড কেস -Impound Case ঃ