জেনে নিন অগ্রক্রয়(প্রিয়েমশান)- আইনের বর্তমান অবস্থা:
জেনে নিন অগ্রক্রয়(প্রিয়েমশান)-
আইনের বর্তমান অবস্থা:
-------------------------------
অন্যদের চেয়ে একজনের
অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কোনো
জমি বা জমির খন্ড ক্রয় করাকে অগ্রক্রয়
বা প্রিয়েমশন বলা হয়। মূলত নালিশি
খতিয়ানের প্রজাদের স্বত্ব দখলীয় জমি
ভোগ-দখলের সুবিধা দেওয়ার জন্য
তাদের আইনে এ অধিকার দেওয়া
হয়েছে। ১৯৫০ সালের রাষ্ট্রীয়
অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ৯৬ ধারার
বিধানে ২০০৬ সালে ২০ সেপ্টেম্বর
কয়েকটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনা
হয়েছে।
আগে নালিশি খতিয়ানের সব শরিক
প্রজা অগ্রক্রয়ের মামলা করতে পারত,
কিন্তু বর্তমানে শুধু নালিশি
খতিয়ানের উত্তরাধিকারীসহ
শরিকেরা এ অধিকার প্রয়োগ করতে
পারবে।
আগের আইনে প্রার্থীকে নালিশি
জমির দলিলে উল্লিখিত বিক্রয় মূল্যের
সঙ্গে মাত্র ১০ শতাংশ ক্ষতিপূরণের
টাকা চালানযোগে কোর্টে জমা
দিতে হতো। এখন প্রার্থীকে ক্ষতিপূরণ
জমা দিতে হবে বিক্রয় মূল্যের ২৫%ও
নালিশি জমি রেজিস্ট্রির তারিখ
থেকে মামলা দায়ের তারিখ পর্যন্ত
আট শতাংশ সরল সুদ। উল্লেখ্য, কবলা
ক্রেতা নালিশি জমি কেনার পর যদি
তাতে উন্নয়ন বা সংস্কারমূলক কোনো
কাজ করে থাকে, তাহলে উপযুক্ত তদন্ত
সাপেক্ষে ওই কাজে ব্যয়িত অর্থ এবং
কবলাক্রেতা নালিশি জমির খাজনা
বা দায়মুক্তির জন্য কোনো অর্থ দিয়ে
থাকলে সে অর্থও কোর্ট যুক্তিসংগত
সময়ের মধ্যে প্রার্থীকে জমা দেওয়ার
জন্য নির্দেশ দেবেন।
আগে নালিশি বিক্রির বিষয় অবগত
হওয়ার বা নালিশি জমি রেজিস্ট্রি
হওয়ার তারিখ থেকে চার মাসের
মধ্যে মামলা করা যেত। এখন এ সময় করা
হয়েছে মাত্র দুই মাস।
আগে মূলত নালিশি দলিলের ওপর
অগ্রক্রয় হতো, তাই এ দলিলটা পুনরায়
রেজিস্ট্রি করার দরকার হতো না,
প্রার্থনা মঞ্জুর হলে প্রার্থীর ওপর ওই
দলিলটা বর্তাত। কিন্তু নতুন আইনে
প্রার্থী মামলায় জিতলেও তাকে ওই
জমি কবলাক্রেতা প্রতিপক্ষের কাছ
থেকে আবার রেজিস্ট্রি করে নিতে
হবে।
আগে নালিশি খতিয়ানের
উত্তরাধিকারী, কবলাক্রেতা, সংলগ্ন
জমির মালিক সবাইকে প্রতিপক্ষ
শ্রেণীভুক্ত করতে হতো নতুবা পক্ষদোষ
ঘটত। নতুন আইন মোতাবেক যেহেতু শুধু
উত্তরাধিকারী প্রজাদের এ অধিকার
রয়েছে, তাই এখন কেবল তাদের
প্রতিপক্ষ শ্রেণীভুক্ত করলেই চলবে।
উল্লেখ্য, দান, উইল, বিনিময়,
বাটোয়ারা, ওয়াকফ, দেবোত্তর,
খাইখালাসি বন্ধকমূলে কোনো
সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে হস্তান্তর
করলে সে ক্ষেত্রে প্রিয়েমশন কেস
করা যাবে না বা হবে না। আর কোনো
জমি রেজিস্ট্রি হওয়ার তিন বছর পর এ
মামলা করা যায় না।
আইনের বর্তমান অবস্থা:
-------------------------------
অন্যদের চেয়ে একজনের
অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কোনো
জমি বা জমির খন্ড ক্রয় করাকে অগ্রক্রয়
বা প্রিয়েমশন বলা হয়। মূলত নালিশি
খতিয়ানের প্রজাদের স্বত্ব দখলীয় জমি
ভোগ-দখলের সুবিধা দেওয়ার জন্য
তাদের আইনে এ অধিকার দেওয়া
হয়েছে। ১৯৫০ সালের রাষ্ট্রীয়
অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ৯৬ ধারার
বিধানে ২০০৬ সালে ২০ সেপ্টেম্বর
কয়েকটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনা
হয়েছে।
আগে নালিশি খতিয়ানের সব শরিক
প্রজা অগ্রক্রয়ের মামলা করতে পারত,
কিন্তু বর্তমানে শুধু নালিশি
খতিয়ানের উত্তরাধিকারীসহ
শরিকেরা এ অধিকার প্রয়োগ করতে
পারবে।
আগের আইনে প্রার্থীকে নালিশি
জমির দলিলে উল্লিখিত বিক্রয় মূল্যের
সঙ্গে মাত্র ১০ শতাংশ ক্ষতিপূরণের
টাকা চালানযোগে কোর্টে জমা
দিতে হতো। এখন প্রার্থীকে ক্ষতিপূরণ
জমা দিতে হবে বিক্রয় মূল্যের ২৫%ও
নালিশি জমি রেজিস্ট্রির তারিখ
থেকে মামলা দায়ের তারিখ পর্যন্ত
আট শতাংশ সরল সুদ। উল্লেখ্য, কবলা
ক্রেতা নালিশি জমি কেনার পর যদি
তাতে উন্নয়ন বা সংস্কারমূলক কোনো
কাজ করে থাকে, তাহলে উপযুক্ত তদন্ত
সাপেক্ষে ওই কাজে ব্যয়িত অর্থ এবং
কবলাক্রেতা নালিশি জমির খাজনা
বা দায়মুক্তির জন্য কোনো অর্থ দিয়ে
থাকলে সে অর্থও কোর্ট যুক্তিসংগত
সময়ের মধ্যে প্রার্থীকে জমা দেওয়ার
জন্য নির্দেশ দেবেন।
আগে নালিশি বিক্রির বিষয় অবগত
হওয়ার বা নালিশি জমি রেজিস্ট্রি
হওয়ার তারিখ থেকে চার মাসের
মধ্যে মামলা করা যেত। এখন এ সময় করা
হয়েছে মাত্র দুই মাস।
আগে মূলত নালিশি দলিলের ওপর
অগ্রক্রয় হতো, তাই এ দলিলটা পুনরায়
রেজিস্ট্রি করার দরকার হতো না,
প্রার্থনা মঞ্জুর হলে প্রার্থীর ওপর ওই
দলিলটা বর্তাত। কিন্তু নতুন আইনে
প্রার্থী মামলায় জিতলেও তাকে ওই
জমি কবলাক্রেতা প্রতিপক্ষের কাছ
থেকে আবার রেজিস্ট্রি করে নিতে
হবে।
আগে নালিশি খতিয়ানের
উত্তরাধিকারী, কবলাক্রেতা, সংলগ্ন
জমির মালিক সবাইকে প্রতিপক্ষ
শ্রেণীভুক্ত করতে হতো নতুবা পক্ষদোষ
ঘটত। নতুন আইন মোতাবেক যেহেতু শুধু
উত্তরাধিকারী প্রজাদের এ অধিকার
রয়েছে, তাই এখন কেবল তাদের
প্রতিপক্ষ শ্রেণীভুক্ত করলেই চলবে।
উল্লেখ্য, দান, উইল, বিনিময়,
বাটোয়ারা, ওয়াকফ, দেবোত্তর,
খাইখালাসি বন্ধকমূলে কোনো
সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে হস্তান্তর
করলে সে ক্ষেত্রে প্রিয়েমশন কেস
করা যাবে না বা হবে না। আর কোনো
জমি রেজিস্ট্রি হওয়ার তিন বছর পর এ
মামলা করা যায় না।
Comments
Post a Comment